ঢাকা, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

গণতান্ত্রিক সৌজন্যে পরাজয় মেনে নিলেন ছাত্রদলের মায়েদ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ০৭:৫৭:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৬ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী তানভীর আল হাদি মায়েদ পরাজয় মেনে নিয়ে ছাত্ররাজনীতিতে তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

বুধবার বিকেলে ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে তিনি নির্বাচনি ফলাফল নিয়ে নিজের অনুভূতি শেয়ার করেন।

মায়েদ জানান, ২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবর্ষে অধ্যয়নকালে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো ১০ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চান। সে সময় তিনি সাহসিকতার সঙ্গে বলেছিলেন, ১০ বছর পর আমি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি হতে চাই।

‘আমি কখনও ভাবিনি, এত অল্প বয়সেই আমার সংগঠন আমাকে ডাকসুর মতো বড় মঞ্চে উপস্থাপন করবে,’ লিখেছেন তিনি, সংগঠনের অপ্রত্যাশিত আস্থার কথা উল্লেখ করে।

যদিও জয়লাভ করতে পারেননি, তবু তার প্রতিক্রিয়ায় উঠে এসেছে রাজনৈতিক পরিপক্বতা।

‘গণতন্ত্রের কর্মী হিসেবে পরাজয় মেনে নেওয়া আমার রাজনীতিশিক্ষার অংশ,’ মন্তব্য করেছেন মায়েদ, যা তার রাজনৈতিক যাত্রাকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে সংযুক্ত করে।

তিনি স্বীকার করেন যে, সংগঠনের আস্থা পূরণ করতে পারেননি এবং শিক্ষার্থীদের মন জয় করতেও ব্যর্থ হয়েছেন।

তবে ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক অংশগ্রহণে তিনি অটল থাকবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন। পড়াশোনার টেবিলে, রাজপথে মিছিলে এবং আলোচনার টেবিলে তিনি শিক্ষার্থীদের সমস্যার সমাধানে পাশে থাকবেন বলে জানান।

‘শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যা সমাধানে আমি তাদের কণ্ঠে কথা বলবো,’ তার সমর্থকদের উদ্দেশে আশ্বাস দেন মায়েদ।

রাজনৈতিক পথচলাকে তিনি সমুদ্র সাঁতরে পার হওয়ার সঙ্গে তুলনা করে লেখেন, ‘আমি সাগর সাঁতরে পাড়ি দেওয়ার পণ করেছি, অন্তত একটি দ্বীপে এসে পৌঁছেছি।’

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

গণতান্ত্রিক সৌজন্যে পরাজয় মেনে নিলেন ছাত্রদলের মায়েদ

আপডেট সময়ঃ ০৭:৫৭:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী তানভীর আল হাদি মায়েদ পরাজয় মেনে নিয়ে ছাত্ররাজনীতিতে তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

বুধবার বিকেলে ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে তিনি নির্বাচনি ফলাফল নিয়ে নিজের অনুভূতি শেয়ার করেন।

মায়েদ জানান, ২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবর্ষে অধ্যয়নকালে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো ১০ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চান। সে সময় তিনি সাহসিকতার সঙ্গে বলেছিলেন, ১০ বছর পর আমি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি হতে চাই।

‘আমি কখনও ভাবিনি, এত অল্প বয়সেই আমার সংগঠন আমাকে ডাকসুর মতো বড় মঞ্চে উপস্থাপন করবে,’ লিখেছেন তিনি, সংগঠনের অপ্রত্যাশিত আস্থার কথা উল্লেখ করে।

যদিও জয়লাভ করতে পারেননি, তবু তার প্রতিক্রিয়ায় উঠে এসেছে রাজনৈতিক পরিপক্বতা।

‘গণতন্ত্রের কর্মী হিসেবে পরাজয় মেনে নেওয়া আমার রাজনীতিশিক্ষার অংশ,’ মন্তব্য করেছেন মায়েদ, যা তার রাজনৈতিক যাত্রাকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে সংযুক্ত করে।

তিনি স্বীকার করেন যে, সংগঠনের আস্থা পূরণ করতে পারেননি এবং শিক্ষার্থীদের মন জয় করতেও ব্যর্থ হয়েছেন।

তবে ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক অংশগ্রহণে তিনি অটল থাকবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন। পড়াশোনার টেবিলে, রাজপথে মিছিলে এবং আলোচনার টেবিলে তিনি শিক্ষার্থীদের সমস্যার সমাধানে পাশে থাকবেন বলে জানান।

‘শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যা সমাধানে আমি তাদের কণ্ঠে কথা বলবো,’ তার সমর্থকদের উদ্দেশে আশ্বাস দেন মায়েদ।

রাজনৈতিক পথচলাকে তিনি সমুদ্র সাঁতরে পার হওয়ার সঙ্গে তুলনা করে লেখেন, ‘আমি সাগর সাঁতরে পাড়ি দেওয়ার পণ করেছি, অন্তত একটি দ্বীপে এসে পৌঁছেছি।’