ঢাকা, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫ | ই-পেপার

গাজায় মুক্তি পেলেন হামাসের হাতে আটক ২০ জিম্মি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ০৫:৪৫:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৩২ বার পড়া হয়েছে

সাত ইসরাইলি বন্দিকে ছেড়ে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর অবশিষ্ট ১৩ জনকেও মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

সোমবার স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে তারা মুক্তি পেয়েছেন বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।

এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, সকল জীবিত ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আজ গাজা থেকে প্রথম ধাপে সাতজন এবং দ্বিতীয় ধাপে আরও ১৩ জন, মোট ২০ জন ইসরাইলি বন্দিকে আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রেড ক্রস এরইমধ্যে ওই বন্দিদের ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে।

হামাসের কাছে এখনও ৪৮ ইসরাইলি বন্দির মরদেহ আছে। সেগুলোও সোমবারের মধ্যেই রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরাইলের কাছে হস্তান্তরের কথা রয়েছে।

এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরাইলের কারাগারে বন্দি থাকা প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। মুক্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের বহনকারী বাসগুলোর বেশ কয়েকটি পশ্চিম তীর শহর রামাল্লাহ এবং গাজা উপত্যকায় পৌঁছেছে।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য নতুন একটি পরিকল্পনা প্রস্তাব আকারে পেশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরাইল ও হামাস উভয়ে সেই পরিকল্পনায় সম্মতি জানানোর পর গত শুক্রবার থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।

চুক্তি অনুযায়ী, হামাসের হাতে থাকা জীবিত সব বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হলো এবং বিনিময়ে ইসরাইলও দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে।

এই মুক্তি প্রক্রিয়া চলাকালেই ট্রাম্প সোমবার সকালে এয়ার ফোর্স ওয়ানে করে তেল আবিবে যান। বেন গুরিওন বিমানবন্দরে ট্রাম্পকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ।

এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরাইলে এই দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালায় গাজার হামাস সরকার। এসময় ২৫০ জন ইসরাইলিকে বন্দি করে হামাস।

দুই হাজার ফিলিস্তিনি জিম্মির বিনিময়ে ২০ ইসরাইলিকে মুক্তি দেবে হামাসদুই হাজার ফিলিস্তিনি জিম্মির বিনিময়ে ২০ ইসরাইলিকে মুক্তি দেবে হামাস
কাতার-সৌদির মধ্যস্থতায় থামলো পাক-আফগান সংঘর্ষকাতার-সৌদির মধ্যস্থতায় থামলো পাক-আফগান সংঘর্ষ
এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল অভিযান শুরু করে ইসরাইল। এ আগ্রাসনে ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

এই শান্তি চুক্তি গত দুই বছরের সংঘাতের পর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং গাজার ভবিষ্যৎ শাসন ব্যবস্থা নিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা এখনও জটিল এবং অনিশ্চিত।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় মুক্তি পেলেন হামাসের হাতে আটক ২০ জিম্মি

আপডেট সময়ঃ ০৫:৪৫:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

সাত ইসরাইলি বন্দিকে ছেড়ে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর অবশিষ্ট ১৩ জনকেও মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

সোমবার স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে তারা মুক্তি পেয়েছেন বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।

এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, সকল জীবিত ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আজ গাজা থেকে প্রথম ধাপে সাতজন এবং দ্বিতীয় ধাপে আরও ১৩ জন, মোট ২০ জন ইসরাইলি বন্দিকে আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রেড ক্রস এরইমধ্যে ওই বন্দিদের ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে।

হামাসের কাছে এখনও ৪৮ ইসরাইলি বন্দির মরদেহ আছে। সেগুলোও সোমবারের মধ্যেই রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরাইলের কাছে হস্তান্তরের কথা রয়েছে।

এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরাইলের কারাগারে বন্দি থাকা প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। মুক্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের বহনকারী বাসগুলোর বেশ কয়েকটি পশ্চিম তীর শহর রামাল্লাহ এবং গাজা উপত্যকায় পৌঁছেছে।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য নতুন একটি পরিকল্পনা প্রস্তাব আকারে পেশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরাইল ও হামাস উভয়ে সেই পরিকল্পনায় সম্মতি জানানোর পর গত শুক্রবার থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।

চুক্তি অনুযায়ী, হামাসের হাতে থাকা জীবিত সব বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হলো এবং বিনিময়ে ইসরাইলও দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে।

এই মুক্তি প্রক্রিয়া চলাকালেই ট্রাম্প সোমবার সকালে এয়ার ফোর্স ওয়ানে করে তেল আবিবে যান। বেন গুরিওন বিমানবন্দরে ট্রাম্পকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ।

এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরাইলে এই দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালায় গাজার হামাস সরকার। এসময় ২৫০ জন ইসরাইলিকে বন্দি করে হামাস।

দুই হাজার ফিলিস্তিনি জিম্মির বিনিময়ে ২০ ইসরাইলিকে মুক্তি দেবে হামাসদুই হাজার ফিলিস্তিনি জিম্মির বিনিময়ে ২০ ইসরাইলিকে মুক্তি দেবে হামাস
কাতার-সৌদির মধ্যস্থতায় থামলো পাক-আফগান সংঘর্ষকাতার-সৌদির মধ্যস্থতায় থামলো পাক-আফগান সংঘর্ষ
এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল অভিযান শুরু করে ইসরাইল। এ আগ্রাসনে ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

এই শান্তি চুক্তি গত দুই বছরের সংঘাতের পর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং গাজার ভবিষ্যৎ শাসন ব্যবস্থা নিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা এখনও জটিল এবং অনিশ্চিত।