ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

গায়েব হওয়া প্রায় ২৭ হাজার নথি উদ্ধারের তথ্য দিল রাজউক

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:১৮:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩
  • / ১৩৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সার্ভার থেকে গায়েব হওয়া ভবন নির্মাণের অনুমোদনসংক্রান্ত ৩০ হাজার নথির মধ্যে ২৬ হাজার ৭৭৭টি নথি উদ্ধার করার তথ্য হাই কোর্টকে জানিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউক। রাজউকের আইনজীবী ইমাম হাসান আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি শওকত আলী চৌধুরীর হাই কোর্ট বেঞ্চে এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, “হ্যাকাররা সার্ভার থেকে নথি হ্যাক করেছিল। প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের গায়েব হয়ে যাওয়া নথির মধ্যে ২৬ হাজার ৭৭৭ নথি উদ্ধার করা হয়েছে।“ সার্ভার কারা কীভাবে ‘হ্যাক’ করেছিল সে বিষয়ে তথ্য জানাতে রাজউক এবং ঘটনার তদন্তে থাকা দুদককে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গত বছরের ৬ ডিসেম্বর খবর আসে রাজউকের সার্ভার থেকে ভবন নির্মাণের অনুমোদনসংক্রান্ত প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের আবেদনের নথিপত্র গায়েব হয়ে গেছে। এরপর চলতি বছরের ২ জানুয়ারি নথি গায়েবের ঘটনায় রাজউকের কাছে ব্যাখ্যা চায় বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ। ওইদিন আদালতে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। সেদিন আদালত দুদককে এ ঘটনা অনুসন্ধান করে দেখার নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ওই ঘটনা তদন্তে পরিচালক (সিস্টেম অ্যানালিস্ট) মো. রাজিব হাসানকে প্রধান করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করে দুদক। এ ছাড়া দুদকের উপপরিচালক সুভাষ চন্দ্র দত্ত, সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান আছেন ওই কমিটিতে। কমিটি এরইমধ্যে অনুসন্ধান কাজ শুরু করেছে এবং কমিটি গঠনের কথা জানিয়ে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাই কোর্টে দাখিল করেছে। এছাড়া নথি গায়েবের ঘটনা তদন্তে রাজউককে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ-১) মো.অলিউল্লাহ বলেন, “প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে রাজউককে একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। কমিটি সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেবে।“ এই কর্মকর্তা বলেন, নথি গায়েবের ঘটনায় সাধারণ মানুষ কতটা ক্ষতিগ্রস্ত সে বিষয়ে প্রতিবেদনে তথ্য থাকতে হবে। এ ছাড়া ওই ঘটনায় কারিগরি ত্রুটি ছিল কি না এবং ষড়যন্ত্র করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখবে কমিটি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

গায়েব হওয়া প্রায় ২৭ হাজার নথি উদ্ধারের তথ্য দিল রাজউক

আপডেট সময়ঃ ০৬:১৮:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সার্ভার থেকে গায়েব হওয়া ভবন নির্মাণের অনুমোদনসংক্রান্ত ৩০ হাজার নথির মধ্যে ২৬ হাজার ৭৭৭টি নথি উদ্ধার করার তথ্য হাই কোর্টকে জানিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউক। রাজউকের আইনজীবী ইমাম হাসান আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি শওকত আলী চৌধুরীর হাই কোর্ট বেঞ্চে এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, “হ্যাকাররা সার্ভার থেকে নথি হ্যাক করেছিল। প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের গায়েব হয়ে যাওয়া নথির মধ্যে ২৬ হাজার ৭৭৭ নথি উদ্ধার করা হয়েছে।“ সার্ভার কারা কীভাবে ‘হ্যাক’ করেছিল সে বিষয়ে তথ্য জানাতে রাজউক এবং ঘটনার তদন্তে থাকা দুদককে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গত বছরের ৬ ডিসেম্বর খবর আসে রাজউকের সার্ভার থেকে ভবন নির্মাণের অনুমোদনসংক্রান্ত প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের আবেদনের নথিপত্র গায়েব হয়ে গেছে। এরপর চলতি বছরের ২ জানুয়ারি নথি গায়েবের ঘটনায় রাজউকের কাছে ব্যাখ্যা চায় বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ। ওইদিন আদালতে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। সেদিন আদালত দুদককে এ ঘটনা অনুসন্ধান করে দেখার নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ওই ঘটনা তদন্তে পরিচালক (সিস্টেম অ্যানালিস্ট) মো. রাজিব হাসানকে প্রধান করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করে দুদক। এ ছাড়া দুদকের উপপরিচালক সুভাষ চন্দ্র দত্ত, সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান আছেন ওই কমিটিতে। কমিটি এরইমধ্যে অনুসন্ধান কাজ শুরু করেছে এবং কমিটি গঠনের কথা জানিয়ে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাই কোর্টে দাখিল করেছে। এছাড়া নথি গায়েবের ঘটনা তদন্তে রাজউককে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ-১) মো.অলিউল্লাহ বলেন, “প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে রাজউককে একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। কমিটি সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেবে।“ এই কর্মকর্তা বলেন, নথি গায়েবের ঘটনায় সাধারণ মানুষ কতটা ক্ষতিগ্রস্ত সে বিষয়ে প্রতিবেদনে তথ্য থাকতে হবে। এ ছাড়া ওই ঘটনায় কারিগরি ত্রুটি ছিল কি না এবং ষড়যন্ত্র করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখবে কমিটি।