ঢাকা, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

গোলাম রব্বানী আইন অঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন: প্রধান বিচারপতি

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৯:০৬:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২
  • / ১৩০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আপিল বিভাগের সদ্য প্রয়াত সাবেক বিচারপতি গোলাম রব্বানীকে দেশের আইন অঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েস সিদ্দিকী। আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে গোলাম রব্বানীর জানাজার নামাজে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। হাসান ফয়েস সিদ্দিকী বলেন, উনি (বিচারপতি গোলাম রব্বানী) আমাদের বিচার ও আইনাঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন। আপনারা যারা রেগুলার প্র্যাকটিস করেছেন তারা সবাই তা জানেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, গোলাম রব্বানী সাহেব সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির উত্তর পাশের হলরুমে বসতেন। আমিও ঠিক উত্তর পাশের হলরুমে বসতাম। ওঁর জুনিয়র ছিলেন একেএম আসাদুজ্জামান সাহেব। কাজ পাগল মানুষ ছিলেন তিনি। সারাজীবন কাজ করে গেছেন। আমরা দেখতাম সকালে এসে ফাইলে মনোনিবেশ করতেন। ওখানে বসেই ডিক্টেশন দিতেন। একের পর এক ডিক্টেশন দিতেন। কাজ করেই যেতেন। তিনি বলেন, উনি (গোলাম রব্বানী) প্রচ- পরিশ্রমী মানুষ ছিলেন। পরবর্তীতে বিচারপতি হওয়ার পর এমন কোনো দিন নেই যে উনি ছয় থেকে সাতটি ক্রিমিনাল আপিল হেয়ারিং করে নিষ্পত্তি করেননি। একদিন আমি ওনাকে বললাম- স্যার আপনার জাজমেন্টগুলো ছোট হয়ে যাচ্ছে। উনি তখন বললেন- ‘কী নাই আমার জাজমেন্টে সেটা বলো।’ ওঁর ছোট জাজমেন্টে সব কিছুই থাকতো। প্রধান বিচারপতি বলেন, যতদিন বিচারাঙ্গন থাকবে, আইনাঙ্গন থাকবে ততদিন গোলাম রব্বানী সাহেব বেঁচে থাকবেন। বিশেষ করে কোড অব সিভিল প্রসিডিউর কোডের জন্য। আল্লাহ উনাকে যেন জান্নাত দান করেন, সেই দোয়া করি। এরপর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মসজিদের পেশ ইমাম জানাজার নামাজে ইমামতি করেন। জানাজার নামাজে অংশ নেন- প্রধান বিচারপতি, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা। এছাড়াও অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সাবেক সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, জয়নুল আবেদীন, বারের সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুন নুর দুলালসহ সুপ্রিম কোর্টের অন্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, উনি (গোলাম রব্বানী) প্রচ- পরিশ্রমী মানুষ ছিলেন। পরবর্তীতে বিচারপতি হওয়ার পর এমন কোনো দিন নেই যে উনি ছয় থেকে সাতটি ক্রিমিনাল আপিল হেয়ারিং করে নিষ্পত্তি করেননি। একদিন আমি ওনাকে বললাম- স্যার আপনার জাজমেন্টগুলো ছোট হয়ে যাচ্ছে। উনি তখন বললেন- ‘কী নাই আমার জাজমেন্টে সেটা বলো।’ ওঁর ছোট জাজমেন্টে সব কিছুই থাকতো। প্রধান বিচারপতি বলেন, যতদিন বিচারাঙ্গন থাকবে, আইনাঙ্গন থাকবে ততদিন গোলাম রব্বানী সাহেব বেঁচে থাকবেন। বিশেষ করে কোড অব সিভিল প্রসিডিউর কোডের জন্য। আল্লাহ উনাকে যেন জান্নাত দান করেন, সেই দোয়া করি। এরপর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মসজিদের পেশ ইমাম জানাজার নামাজে ইমামতি করেন। জানাজার নামাজে অংশ নেন- প্রধান বিচারপতি, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা। এছাড়াও অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সাবেক সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, জয়নুল আবেদীন, বারের সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুন নুর দুলালসহ সুপ্রিম কোর্টের অন্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

গোলাম রব্বানী আইন অঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন: প্রধান বিচারপতি

আপডেট সময়ঃ ০৯:০৬:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আপিল বিভাগের সদ্য প্রয়াত সাবেক বিচারপতি গোলাম রব্বানীকে দেশের আইন অঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েস সিদ্দিকী। আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে গোলাম রব্বানীর জানাজার নামাজে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। হাসান ফয়েস সিদ্দিকী বলেন, উনি (বিচারপতি গোলাম রব্বানী) আমাদের বিচার ও আইনাঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন। আপনারা যারা রেগুলার প্র্যাকটিস করেছেন তারা সবাই তা জানেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, গোলাম রব্বানী সাহেব সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির উত্তর পাশের হলরুমে বসতেন। আমিও ঠিক উত্তর পাশের হলরুমে বসতাম। ওঁর জুনিয়র ছিলেন একেএম আসাদুজ্জামান সাহেব। কাজ পাগল মানুষ ছিলেন তিনি। সারাজীবন কাজ করে গেছেন। আমরা দেখতাম সকালে এসে ফাইলে মনোনিবেশ করতেন। ওখানে বসেই ডিক্টেশন দিতেন। একের পর এক ডিক্টেশন দিতেন। কাজ করেই যেতেন। তিনি বলেন, উনি (গোলাম রব্বানী) প্রচ- পরিশ্রমী মানুষ ছিলেন। পরবর্তীতে বিচারপতি হওয়ার পর এমন কোনো দিন নেই যে উনি ছয় থেকে সাতটি ক্রিমিনাল আপিল হেয়ারিং করে নিষ্পত্তি করেননি। একদিন আমি ওনাকে বললাম- স্যার আপনার জাজমেন্টগুলো ছোট হয়ে যাচ্ছে। উনি তখন বললেন- ‘কী নাই আমার জাজমেন্টে সেটা বলো।’ ওঁর ছোট জাজমেন্টে সব কিছুই থাকতো। প্রধান বিচারপতি বলেন, যতদিন বিচারাঙ্গন থাকবে, আইনাঙ্গন থাকবে ততদিন গোলাম রব্বানী সাহেব বেঁচে থাকবেন। বিশেষ করে কোড অব সিভিল প্রসিডিউর কোডের জন্য। আল্লাহ উনাকে যেন জান্নাত দান করেন, সেই দোয়া করি। এরপর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মসজিদের পেশ ইমাম জানাজার নামাজে ইমামতি করেন। জানাজার নামাজে অংশ নেন- প্রধান বিচারপতি, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা। এছাড়াও অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সাবেক সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, জয়নুল আবেদীন, বারের সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুন নুর দুলালসহ সুপ্রিম কোর্টের অন্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, উনি (গোলাম রব্বানী) প্রচ- পরিশ্রমী মানুষ ছিলেন। পরবর্তীতে বিচারপতি হওয়ার পর এমন কোনো দিন নেই যে উনি ছয় থেকে সাতটি ক্রিমিনাল আপিল হেয়ারিং করে নিষ্পত্তি করেননি। একদিন আমি ওনাকে বললাম- স্যার আপনার জাজমেন্টগুলো ছোট হয়ে যাচ্ছে। উনি তখন বললেন- ‘কী নাই আমার জাজমেন্টে সেটা বলো।’ ওঁর ছোট জাজমেন্টে সব কিছুই থাকতো। প্রধান বিচারপতি বলেন, যতদিন বিচারাঙ্গন থাকবে, আইনাঙ্গন থাকবে ততদিন গোলাম রব্বানী সাহেব বেঁচে থাকবেন। বিশেষ করে কোড অব সিভিল প্রসিডিউর কোডের জন্য। আল্লাহ উনাকে যেন জান্নাত দান করেন, সেই দোয়া করি। এরপর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মসজিদের পেশ ইমাম জানাজার নামাজে ইমামতি করেন। জানাজার নামাজে অংশ নেন- প্রধান বিচারপতি, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা। এছাড়াও অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সাবেক সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, জয়নুল আবেদীন, বারের সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুন নুর দুলালসহ সুপ্রিম কোর্টের অন্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।