০১:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫ | ই-পেপার

চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির একতরফা নির্বাচন বাতিলের দাবি

  • দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৯:৩১:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম ব্যুরো :

চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতিতে একতরফা নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত কর আইনজীবি সমন্বয় পরিষদের নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরীর আগ্রাবাদস্থ একটি রেস্টেুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে তারা এ দাবি জানান। একই সাথে দ্রুত সময়ের মধ্যে পুনরায় নির্বাচন দাবী করা হয়।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সম্মিলিত কর আইনজীবি সমন্বয় পরিষদের আহবায়ক আলহাজ্ব মোহাম্মদ নূর হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সম্মিলিত কর আইনজীবি সমন্বয় পরিষদের আনিসুর রহমান, মো. সালাহউদ্দিন, সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন প্রমূখ।

আহবায়ক আলহাজ্ব মোহাম্মদ নূর হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতিতে দীর্ঘদিন যাবৎ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে সমিতি পরিচালনার জন্য ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি নির্বাচিত হয়ে আসছে। অতীতের ন্যায় এই বৎসর সাধারণ সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোট ব্যতিত প্রহসনমূলকভাবে এক তরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ঐক্য পরিষদ ক্ষমতা দখল করেছে।

তিনি বলেন, গত ৯ মার্চ নির্বাচন কমিশন ১০ এপ্রিল নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা করে, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গত বছরের ১৮ মার্চ নির্বাচনে অংশগ্রহণ কারী ৩টি দল মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে গেলে ঐক্য পরিষদ এবং বহিরাগতদের বাধার মুখে সম্মিলিত কর আইজীবী সমন্ময় পরিষদ এবং দল নিরেপেক্ষ সংগঠন সম্মিলিত পরিষদ মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে পারেননি। নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীগণ এবং সম্মিলিত পরিষদের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ শারিরিক হেনস্তার স্বীকার হন। একমাত্র ঐক্য পরিষদের মনোনিত প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশন, কার্যকরী কমিটি এবং বহিরাগতদের সহায়তায় মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। এতে সমিতির দীর্ঘদিন যাবৎ প্রত্যক্ষ ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি ব্যাহত হয়েছে এবং সমিতির কার্যক্রম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।

আলহাজ্ব মোহাম্মদ নূর হোসেন আরো বলেন, বিগত সরকারের আমলে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত ভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধিত্ব নির্বাচিত হয়ে আসছিল। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে সাধারণ সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চারুকলায় ফ্যাসিবাদের মুখায়ব পুড়িয়েছে হাসিনার দোসররা: ফারুকী

চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির একতরফা নির্বাচন বাতিলের দাবি

আপডেট সময়ঃ ০৯:৩১:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

চট্টগ্রাম ব্যুরো :

চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতিতে একতরফা নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত কর আইনজীবি সমন্বয় পরিষদের নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরীর আগ্রাবাদস্থ একটি রেস্টেুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে তারা এ দাবি জানান। একই সাথে দ্রুত সময়ের মধ্যে পুনরায় নির্বাচন দাবী করা হয়।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সম্মিলিত কর আইনজীবি সমন্বয় পরিষদের আহবায়ক আলহাজ্ব মোহাম্মদ নূর হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সম্মিলিত কর আইনজীবি সমন্বয় পরিষদের আনিসুর রহমান, মো. সালাহউদ্দিন, সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন প্রমূখ।

আহবায়ক আলহাজ্ব মোহাম্মদ নূর হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতিতে দীর্ঘদিন যাবৎ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে সমিতি পরিচালনার জন্য ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি নির্বাচিত হয়ে আসছে। অতীতের ন্যায় এই বৎসর সাধারণ সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোট ব্যতিত প্রহসনমূলকভাবে এক তরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ঐক্য পরিষদ ক্ষমতা দখল করেছে।

তিনি বলেন, গত ৯ মার্চ নির্বাচন কমিশন ১০ এপ্রিল নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা করে, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গত বছরের ১৮ মার্চ নির্বাচনে অংশগ্রহণ কারী ৩টি দল মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে গেলে ঐক্য পরিষদ এবং বহিরাগতদের বাধার মুখে সম্মিলিত কর আইজীবী সমন্ময় পরিষদ এবং দল নিরেপেক্ষ সংগঠন সম্মিলিত পরিষদ মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে পারেননি। নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীগণ এবং সম্মিলিত পরিষদের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ শারিরিক হেনস্তার স্বীকার হন। একমাত্র ঐক্য পরিষদের মনোনিত প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশন, কার্যকরী কমিটি এবং বহিরাগতদের সহায়তায় মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। এতে সমিতির দীর্ঘদিন যাবৎ প্রত্যক্ষ ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি ব্যাহত হয়েছে এবং সমিতির কার্যক্রম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।

আলহাজ্ব মোহাম্মদ নূর হোসেন আরো বলেন, বিগত সরকারের আমলে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত ভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধিত্ব নির্বাচিত হয়ে আসছিল। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে সাধারণ সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।