০৫:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫ | ই-পেপার

চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের শীর্ষ পদ পেতে আগ্রহী ১৪০০ জন

  • দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ১০:২৩:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রায় এক যুগ পর চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের জন্য জীবনবৃত্তান্ত জমা নিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এ কমিটি গঠনকে ঘিরে নেতা-কর্মীদের উৎসাহ উদ্দীপনার কমতি নেই। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে তদবির। গত বৃহস্পতিবার জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। ওইদিন পর্যন্ত দলের শীর্ষ পদ পেতে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জন। নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জাকারিয়া দস্তগীর বলেন, দল দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় ছাত্রলীগে এখন নেতাকর্মীর ভিড় পড়েছে। রেকর্ড সংখ্যক পদপ্রত্যাশী বায়োডাটা জমা দিয়েছে। বায়োডাটা যাচাই-বাছাই করেই দ্রুত কমিটি ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান বলেন, সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য পদপ্রত্যাশীরা জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। সেটি হাজারের ওপরে। আমরা সবাইকে স্বাগত জানিয়েছি। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল। এখন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। সম্মেলন কিংবা কর্মিসভা করার ইচ্ছে রয়েছে আমাদের। তিনি আরও বলেন, আমরা বলয়ের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। সবাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনীতি করি। আপসহীন, ত্যাগীদের সমন্বয়ে একটা সুন্দর কমিটি চট্টগ্রামের জন্য আমরা করতে চাই। এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি নগর ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের জন্য কেন্দ্র থেকে জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করা হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে জীবনবৃত্তান্ত জমা নেওয়ার কাজ শুরু হয়, শেষ হয় বৃহস্পতিবার রাতে। নগর ছাত্রলীগের কমিটির জন্য ইতোমধ্যে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলয়ের পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে অনেকেই শীর্ষ দুটি পদের জন্য জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে নগরের কলেজগুলোর পাশাপাশি থানা কমিটির নেতারাও আছেন। নগর ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নূরুন নবী সাহেদ, ডবলমুরিং থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হায়দার, কোতোয়ালি থানা ছাত্রলীগের সভাপতি অনিন্দ্য দেব, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম, মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পলাশ, মহসিন কলেজের মায়মুন উদ্দীন, ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের জাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ হানিফ, সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের আশীষ সরকার, মুহাম্মদ তাসিন, ইসলামিয়া কলেজ ছাত্রলীগের মীর মুহাম্মদ ইমতিয়াজ, শাহাদাত হোসেন হীরা, ইমন হোসেন, আজিজুর রহমান, মিজানুর রহমান, নগর ছাত্রলীগের উপ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রাশেদ চৌধুরী, উপ-ছাত্রবৃত্তিবিষয়ক সম্পাদক এস এম হুমায়ন কবির আজাদ, নগর ছাত্রলীগ নেতা ফাহাদ আনিস ও খালেকুজ্জামান, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা বোরহান উদ্দিন প্রমুখ। সভাপতি পদপ্রত্যাশী আনোয়ার পলাশ বলেন, দীর্ঘদিন চট্টগ্রামের ছাত্র রাজনীতিতে নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের অভিভাবক শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ভাই। তিনি ও কেন্দ্রের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক যেটা ভালো মনে করবেন, সেভাবে কমিটি হবে। ২০১৩ সালের ৩০ অক্টোবর ইমরান আহমেদ ইমুকে সভাপতি ও নুরুল আজিম রনিকে সাধারণ সম্পাদক করে নগর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। ২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন নুরুল আজিম রনি। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরকে। ওই কমিটির ২৯১ জনের অধিকাংশ নেতা এখন বিবাহিত। ছাত্রত্ব নেই বেশিরভাগের।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভাগাড়সহ কোনো স্থানেই ময়লা পোড়ানো যাবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা

চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের শীর্ষ পদ পেতে আগ্রহী ১৪০০ জন

আপডেট সময়ঃ ১০:২৩:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রায় এক যুগ পর চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের জন্য জীবনবৃত্তান্ত জমা নিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এ কমিটি গঠনকে ঘিরে নেতা-কর্মীদের উৎসাহ উদ্দীপনার কমতি নেই। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে তদবির। গত বৃহস্পতিবার জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। ওইদিন পর্যন্ত দলের শীর্ষ পদ পেতে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জন। নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জাকারিয়া দস্তগীর বলেন, দল দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় ছাত্রলীগে এখন নেতাকর্মীর ভিড় পড়েছে। রেকর্ড সংখ্যক পদপ্রত্যাশী বায়োডাটা জমা দিয়েছে। বায়োডাটা যাচাই-বাছাই করেই দ্রুত কমিটি ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান বলেন, সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য পদপ্রত্যাশীরা জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। সেটি হাজারের ওপরে। আমরা সবাইকে স্বাগত জানিয়েছি। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল। এখন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। সম্মেলন কিংবা কর্মিসভা করার ইচ্ছে রয়েছে আমাদের। তিনি আরও বলেন, আমরা বলয়ের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। সবাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনীতি করি। আপসহীন, ত্যাগীদের সমন্বয়ে একটা সুন্দর কমিটি চট্টগ্রামের জন্য আমরা করতে চাই। এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি নগর ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের জন্য কেন্দ্র থেকে জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করা হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে জীবনবৃত্তান্ত জমা নেওয়ার কাজ শুরু হয়, শেষ হয় বৃহস্পতিবার রাতে। নগর ছাত্রলীগের কমিটির জন্য ইতোমধ্যে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলয়ের পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে অনেকেই শীর্ষ দুটি পদের জন্য জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে নগরের কলেজগুলোর পাশাপাশি থানা কমিটির নেতারাও আছেন। নগর ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নূরুন নবী সাহেদ, ডবলমুরিং থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হায়দার, কোতোয়ালি থানা ছাত্রলীগের সভাপতি অনিন্দ্য দেব, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম, মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পলাশ, মহসিন কলেজের মায়মুন উদ্দীন, ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের জাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ হানিফ, সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের আশীষ সরকার, মুহাম্মদ তাসিন, ইসলামিয়া কলেজ ছাত্রলীগের মীর মুহাম্মদ ইমতিয়াজ, শাহাদাত হোসেন হীরা, ইমন হোসেন, আজিজুর রহমান, মিজানুর রহমান, নগর ছাত্রলীগের উপ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রাশেদ চৌধুরী, উপ-ছাত্রবৃত্তিবিষয়ক সম্পাদক এস এম হুমায়ন কবির আজাদ, নগর ছাত্রলীগ নেতা ফাহাদ আনিস ও খালেকুজ্জামান, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা বোরহান উদ্দিন প্রমুখ। সভাপতি পদপ্রত্যাশী আনোয়ার পলাশ বলেন, দীর্ঘদিন চট্টগ্রামের ছাত্র রাজনীতিতে নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের অভিভাবক শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ভাই। তিনি ও কেন্দ্রের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক যেটা ভালো মনে করবেন, সেভাবে কমিটি হবে। ২০১৩ সালের ৩০ অক্টোবর ইমরান আহমেদ ইমুকে সভাপতি ও নুরুল আজিম রনিকে সাধারণ সম্পাদক করে নগর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। ২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন নুরুল আজিম রনি। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরকে। ওই কমিটির ২৯১ জনের অধিকাংশ নেতা এখন বিবাহিত। ছাত্রত্ব নেই বেশিরভাগের।