নিজস্ব প্রতিবেদক :
ডিজেল-কেরোসিনের দাম বাড়ার প্রতিবাদে চলমান পরিবহন ধর্মঘটে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ ছিল পণ্য খালাস কার্যক্রম। সকাল থেকে বন্দরে পণ্য খালাসের কোনো গাড়ি ঢুকতে বা বের হতে দেখা যায়নি। তবে বন্দর থেকে বিভিন্ন ডিপোতে আমদানি-রপ্তানি পণ্য আনা-নেওয়া হয় এবং বন্দরের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। গত বুধবার রাতে বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। নতুন দাম ভোক্তা পর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়। যা কার্যকর হয় ওইদিন রাত ১২টা থেকে। এ নিয়ে পরদিন বৃহস্পতিবার পরিবহন খাতের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়াই গত শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে সারাদেশে পরিবহন ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছেন মালিক-শ্রমিকরা। জ¦ালানি তেলের বর্ধিত দাম না কমানো পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে বলেও জানানো হয়েছে। এদিকে ধর্মঘটের কারণে দেশের প্রায় ৯২ ভাগ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রক চট্টগ্রাম বন্দরে গত শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে বন্ধ রয়েছে পণ্য খালাস কার্যক্রম। বন্দরে ইয়ার্ডে বর্তমানে কনটেইনার জমা রয়েছে ৩৬ হাজার টিইইউস (টুয়েন্টি ফিট ইক্যুইভেলেন্ট ইউনিটস)। আপাতত পণ্যজট না হলেও দ্রুত এ সমস্যার সমাধান না হলে সংকটের আশঙ্কা করছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা। বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, ধর্মঘটের কারণে বন্দরে দ্বিতীয় দিনের মতো পণ্য ডেলিভারি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও বন্দরের অন্যান্য কাজ স্বাভাবিক রয়েছে। জাহাজে মালামাল লোড-আনলোড হচ্ছে। বন্দর থেকে মালামাল আনা-নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ডিপোতে। তিনি আরও বলেন, আপাতত খুব বেশি সমস্যা হচ্ছে না। বন্দরে আরও ১৪ হাজার টিইইউস কনটেইনার রাখা যাবে। তবে দ্রুত ধর্মঘট প্রত্যাহার না হলে পণ্যজট তৈরি হতে পারে।
সর্বশেষঃ
চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস বন্ধ
-
দৈনিক আইন বার্তা
- আপডেট সময়ঃ ০৭:৩৩:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ নভেম্বর ২০২১
- ৩০২ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ