০৬:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫ | ই-পেপার

চাপ এড়াতে পুরনো ফর্মুলা বেছে নিতে চান নেওয়াজ

  • দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ১০:০৩:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৫২১ বার পড়া হয়েছে

স্পোর্টস ডেস্ক :
চূড়ান্ত সাফল্যের কোনো অতীত ছিল না বলে আকবর আলীরা ছিলেন একদম নির্ভার। চ্যাম্পিয়ন হতেই হবেÑএমন কোনো শর্তের ঘেরাটোপেও কেউ তাঁদের বন্দি করে ফেলেনি। কিন্তু আকবরদের সাফল্য তাঁদের উত্তরসূরিদের পৃথিবী কঠিন করে দিয়েছে অনেকটাই। আগামী মার্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজে আরেকটি যুব বিশ্বকাপ খেলার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত আইচ মোল্লাদের সঙ্গে যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জুড়ে গেছে ‘বর্তমান চ্যাম্পিয়ন’-এর তকমা। যা তাঁদের সচেতনে কিংবা অবচেতনে হলেও মনে করিয়ে দিচ্ছে যে এটি শুধুই আরেকটি বিশ্বকাপ নয়, শিরোপা ধরে রাখার অভিযানও। মাত্র ১৯ বছর বয়সী ক্রিকেটারদের পক্ষে এই বাড়তি চাপ সামলে নেওয়া কঠিন বলেই মনে করেন ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় আকবরদের বিশ্বজয়ী দলের কোচ নাভিদ নেওয়াজ, ‘দেখুন, বর্তমান চ্যাম্পিয়নের তকমাটা এই ছেলেদের জন্য বড্ড কঠিন ব্যাপার হয়ে যায়। কারণ এটি একদমই নতুন একটি দল। এমন তো নয় যে আমরা গতবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া দল নিয়েই খেলছি। একদম নতুন একটি দল, যারা এরইমধ্যে অনেকটা সময় হারিয়েও ফেলেছে (করোনা মহামারির কারণে)। অবশেষে যখন প্রস্তুতির জন্য অল্প কিছু মাস সময় ওরা পেয়েছে, তখন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য আরেকটি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আলোচনায় ওদের মানসিকভাবে আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ রয়েই যায়।’ এই মুহূর্তে নাভিদ নেওয়াজের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জও এটিই যে, বাড়তি চাপে পিষ্ট হওয়া থেকে শিষ্যদের সুরক্ষার উপায় খুঁজে বের করা। অস্ট্রেলিয়ায় থিতু হওয়া এই শ্রীলঙ্কান কোচ অবশ্য এমন কোনো মহৌষধ আবিষ্কার করেছেন বলেও দাবি করছেন না। তিনি বরং আগেরবার আকবরদের নিয়ে যেভাবে কাজ করে সফল হয়েছেন, এবারও আইচদের জন্য সেই একই ফর্মুলা বেছে নেওয়ার কথা বললেন। বাড়তি চাপ হয়ে যায়, দলীয় আলোচনায় এমন কিছু ঢুকতেই দিচ্ছেন না, ‘এমনকি গতবারও আমরা কখনো বিশ্বকাপ জেতা নিয়ে কোনো কথা বলিনি। যা বলেছি, তা প্রক্রিয়া ঠিকঠাক রাখা নিয়ে। ছোটখাটো ব্যাপারগুলোই আমরা সঠিকভাবে করতে চেয়েছি, যাতে চূড়ান্ত ফলটা ভালো পাই। এবারও তা-ই করছি আমরা। চেষ্টা করছি, খুব বেশি সামনে না তাকিয়ে কাজগুলোকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নিতে।’ প্রত্যেক খেলোয়াড় ধরে ধরে তাই কাজ করছেন নেওয়াজ, ‘আমি কাজ করছি দলে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের ভূমিকা নিয়ে। নিজের ভূমিকায় সে কেমন পারফরম করছে, দেখছি এটাও। এতে করে একজন কতটা উন্নতি করতে সক্ষম, সে বোঝাপড়াটা হয়ে যায়। এভাবে ব্যক্তি ধরে ধরে কাজ করছি, ১৫ জনকে নিয়েই। এভাবে কাজ করে যদি প্রত্যেকের পারফরম্যান্সে ১০ ভাগ উন্নতিও হয়, সেটিও দলে মূল্যবান প্রভাব রাখবে। আগেও এভাবেই কাজ করে সাফল্য এসেছে। এবারও সেভাবেই সামনে এগোনোর পরিকল্পনা।’ আকবররা বিশ্বকাপ জিতে আসার পর বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে নিয়ে বোর্ডের ব্যাপক পরিকল্পনাও ভেস্তে যায় মহামারির কারণে। যেখানে এত দিনে দেশে-বিদেশে বিস্তর ম্যাচ খেলে ফেলার কথা, সেখানে মাত্রই আফগানিস্তান সিরিজ দিয়ে শুরু হলো আইচ মোল্লাদের প্রস্তুতি। ওয়ানডে সিরিজ জিতলেও একমাত্র যুব টেস্টে হেরে যাওয়া দলটি গত জানুয়ারিতে সিলেটে একটি অনুশীলন শিবির করার পর থেকেই ছিল তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষায়। মাঝখানে নিজেদের মধ্যে কিছু ম্যাচ খেললেও সত্যিকারের প্রস্তুতি তো আর তাতে হচ্ছিল না। তবে এখন প্রস্তুতির দুয়ারও খুলতে শুরু করেছে। দেশে আফগানদের বিপক্ষে খেলা যুব দল ৭ অক্টোবর যাচ্ছে শ্রীলঙ্কায়। সেখানে খেলবে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভাগাড়সহ কোনো স্থানেই ময়লা পোড়ানো যাবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা

চাপ এড়াতে পুরনো ফর্মুলা বেছে নিতে চান নেওয়াজ

আপডেট সময়ঃ ১০:০৩:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

স্পোর্টস ডেস্ক :
চূড়ান্ত সাফল্যের কোনো অতীত ছিল না বলে আকবর আলীরা ছিলেন একদম নির্ভার। চ্যাম্পিয়ন হতেই হবেÑএমন কোনো শর্তের ঘেরাটোপেও কেউ তাঁদের বন্দি করে ফেলেনি। কিন্তু আকবরদের সাফল্য তাঁদের উত্তরসূরিদের পৃথিবী কঠিন করে দিয়েছে অনেকটাই। আগামী মার্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজে আরেকটি যুব বিশ্বকাপ খেলার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত আইচ মোল্লাদের সঙ্গে যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জুড়ে গেছে ‘বর্তমান চ্যাম্পিয়ন’-এর তকমা। যা তাঁদের সচেতনে কিংবা অবচেতনে হলেও মনে করিয়ে দিচ্ছে যে এটি শুধুই আরেকটি বিশ্বকাপ নয়, শিরোপা ধরে রাখার অভিযানও। মাত্র ১৯ বছর বয়সী ক্রিকেটারদের পক্ষে এই বাড়তি চাপ সামলে নেওয়া কঠিন বলেই মনে করেন ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় আকবরদের বিশ্বজয়ী দলের কোচ নাভিদ নেওয়াজ, ‘দেখুন, বর্তমান চ্যাম্পিয়নের তকমাটা এই ছেলেদের জন্য বড্ড কঠিন ব্যাপার হয়ে যায়। কারণ এটি একদমই নতুন একটি দল। এমন তো নয় যে আমরা গতবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া দল নিয়েই খেলছি। একদম নতুন একটি দল, যারা এরইমধ্যে অনেকটা সময় হারিয়েও ফেলেছে (করোনা মহামারির কারণে)। অবশেষে যখন প্রস্তুতির জন্য অল্প কিছু মাস সময় ওরা পেয়েছে, তখন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য আরেকটি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আলোচনায় ওদের মানসিকভাবে আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ রয়েই যায়।’ এই মুহূর্তে নাভিদ নেওয়াজের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জও এটিই যে, বাড়তি চাপে পিষ্ট হওয়া থেকে শিষ্যদের সুরক্ষার উপায় খুঁজে বের করা। অস্ট্রেলিয়ায় থিতু হওয়া এই শ্রীলঙ্কান কোচ অবশ্য এমন কোনো মহৌষধ আবিষ্কার করেছেন বলেও দাবি করছেন না। তিনি বরং আগেরবার আকবরদের নিয়ে যেভাবে কাজ করে সফল হয়েছেন, এবারও আইচদের জন্য সেই একই ফর্মুলা বেছে নেওয়ার কথা বললেন। বাড়তি চাপ হয়ে যায়, দলীয় আলোচনায় এমন কিছু ঢুকতেই দিচ্ছেন না, ‘এমনকি গতবারও আমরা কখনো বিশ্বকাপ জেতা নিয়ে কোনো কথা বলিনি। যা বলেছি, তা প্রক্রিয়া ঠিকঠাক রাখা নিয়ে। ছোটখাটো ব্যাপারগুলোই আমরা সঠিকভাবে করতে চেয়েছি, যাতে চূড়ান্ত ফলটা ভালো পাই। এবারও তা-ই করছি আমরা। চেষ্টা করছি, খুব বেশি সামনে না তাকিয়ে কাজগুলোকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নিতে।’ প্রত্যেক খেলোয়াড় ধরে ধরে তাই কাজ করছেন নেওয়াজ, ‘আমি কাজ করছি দলে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের ভূমিকা নিয়ে। নিজের ভূমিকায় সে কেমন পারফরম করছে, দেখছি এটাও। এতে করে একজন কতটা উন্নতি করতে সক্ষম, সে বোঝাপড়াটা হয়ে যায়। এভাবে ব্যক্তি ধরে ধরে কাজ করছি, ১৫ জনকে নিয়েই। এভাবে কাজ করে যদি প্রত্যেকের পারফরম্যান্সে ১০ ভাগ উন্নতিও হয়, সেটিও দলে মূল্যবান প্রভাব রাখবে। আগেও এভাবেই কাজ করে সাফল্য এসেছে। এবারও সেভাবেই সামনে এগোনোর পরিকল্পনা।’ আকবররা বিশ্বকাপ জিতে আসার পর বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে নিয়ে বোর্ডের ব্যাপক পরিকল্পনাও ভেস্তে যায় মহামারির কারণে। যেখানে এত দিনে দেশে-বিদেশে বিস্তর ম্যাচ খেলে ফেলার কথা, সেখানে মাত্রই আফগানিস্তান সিরিজ দিয়ে শুরু হলো আইচ মোল্লাদের প্রস্তুতি। ওয়ানডে সিরিজ জিতলেও একমাত্র যুব টেস্টে হেরে যাওয়া দলটি গত জানুয়ারিতে সিলেটে একটি অনুশীলন শিবির করার পর থেকেই ছিল তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষায়। মাঝখানে নিজেদের মধ্যে কিছু ম্যাচ খেললেও সত্যিকারের প্রস্তুতি তো আর তাতে হচ্ছিল না। তবে এখন প্রস্তুতির দুয়ারও খুলতে শুরু করেছে। দেশে আফগানদের বিপক্ষে খেলা যুব দল ৭ অক্টোবর যাচ্ছে শ্রীলঙ্কায়। সেখানে খেলবে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।