• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
‘মুজিবনগর দিবস’ বাঙালির পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্তির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী শ্রম আইনের মামলায় ড. ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়ল জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গুরুত্ব থাকবে জনস্বাস্থ্যেও: পরিবেশ মন্ত্রী অনিবন্ধিত অনলাইনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ: তথ্য প্রতিমন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনায় বিকল্পভাবে পণ্য আমদানির চেষ্টা করছি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী স্বাস্থ্যসেবায় অভূতপূর্ব অর্জন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে: রাষ্ট্রপতি শান্তি আলোচনায় কেএনএফকে বিশ্বাস করেছিলাম, তারা ষড়যন্ত্র করেছে: সেনাপ্রধান বন কর্মকর্তার খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়: পরিবেশমন্ত্রী পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদাম: ১৪ বছর ধরে সরানোর অপেক্ষা ভাসানটেক বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করা হবে : মেয়র আতিক

জরায়ুমুখ ক্যানসার রোধে ১০-১৫ বছরের মেয়েদের এইচপিভি টিকা দেবে সরকার

Reporter Name / ১২৪ Time View
Update : সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
জরায়ুমুখ ক্যানসার রোধে আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে ১০-১৫ বছর বয়সী মেয়েদের হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) ভ্যাকসিন দেবে সরকার। আজ সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা জানিয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নারীদের জরায়ুমুখ ক্যানসার বাড়ছে। তাই স্ক্রিনিং বাড়ানোর জন্য পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের দেশের নারীদের এইচপিভি ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ভাবছি। এটি সরকারি কার্যক্রম। রুটিন ভ্যাকসিনের মতোই এটি দেওয়া হবে। ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সী মেয়েদের এ ভ্যাকসিন দিলে তা কার্যকর হবে। তিনি বলেন, এটি খুবই দামি ভ্যাকসিন হলেও বিনামূল্যে দেওয়া হবে। প্রত্যেককে একটি করে ডোজ দেওয়া হবে। এই ভ্যাকসিন একবার নিলে তারা আজীবন এ রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। তবে বেশি বয়স হলে এ ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কমে যায়। তিনি আরও বলেন, ব্রেস্ট ক্যানসারেও অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন। সেটি যেন দ্রুত শনাক্ত করা যায়, সেজন্য যন্ত্রগুলো উপজেলা পর্যায়ে নেওয়ার চেষ্টা করব। আমাদের দেশের মেয়েরা রক্তশূন্যতায় ভোগে, এটি নিয়ে কর্মসূচি রয়েছে। যদিও খাদ্য নিরাপত্তার মাধ্যমে এটি কমে আসছে। ডলার সংকটের কারণে এলসি বন্ধ হওয়ায় জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের এমন মন্তব্য বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের হাসপাতালগুলোতে এ ধরনের সমস্যার কথা শুনিনি। আমাদের স্টক আছে, এবং প্রয়োজনীয় সবকিছুই পাচ্ছি। সরকার খুবই আন্তরিক। স্বাস্থ্যসেবার কোনো কিছু প্রয়োজন হলে সেটি অন্য কিছু বন্ধ রেখে হলেও পূরণ করা হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন কোনো সমস্যা হবে না। তবে সরকারি হাসপাতালে এখন পর্যন্ত কোনো কিছুর ঘাটতি নেই। আবেদন সাপেক্ষে সরকারি চার ব্যাংক থেকে এলসি খোলা যাবে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নিপা ভাইরাস প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, নিপা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আছে। নতুন কোনো রোগী পাচ্ছি না। কোনো মৃত্যুও হয়নি। বক্ষব্যাধী হাসপাতালে একটি ইউনিট করা হয়েছে। আইসিইউ রয়েছে। নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে যেন যথাযথ চিকিৎসাসেবা পায় সে ব্যবস্থাও রয়েছে। দেশে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নিপাহ ভাইরাস ইনশাআল্লাহ এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। এখানে নতুন কোনো রোগী আমরা সেভাবে পাচ্ছি না। কোনো মৃত্যুও হয়নি। তিনি বলেন, আমরা প্রস্তুতি হিসেবে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে একটা ইউনিট করে দেওয়া হয়েছে। আইসিইউ তৈরি করা হয়েছে। যেখানে নিপাহ বা এ ধরনের কোনো ভাইরাসে আক্রান্ত হলে যাতে সঠিক চিকিৎসা পেতে পারে। যাতে সংক্রমণটা না ছড়ায়, সে জন্য আমরা এ সুন্দর ইউনিটটি করেছিলাম। এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি স্বাস্থ্যমন্ত্রী সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, চলতি বছর নিপাহ ভাইরাসে আটজন আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর হার ৭০ শতাংশ। গত বছরের চেয়ে এবার নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণটা বেশি বলেও জানান ওইদিন জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পরে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১০ জন হয়। এর মধ্যে মারা যায় সাতজন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নিপাহ ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক নেই। কোনো ভ্যাকসিন নেই। বাদুর এ ভাইরাসের বাহক। কেউ বাদুরে খাওয়া কাঁচা খেজুরের রস ও কোনো ফল খেলে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। সরকারি খরচে ছয় জেলার ১৫ লাখ পরিবার বছরে ৫০ হাজার টাকা সমপরিমাণ স্বাস্থ্যসেবা বিনামূল্যে পাবে বলে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা পাঁচশটি পরিবার কল্যাণ সেন্টার ঘোষণা দিয়েছি, পর্যায়ক্রমে এগুলো হয়ে যাবে। প্রাথমিক সেবাকে জোরদার করার জন্য ইউনিয়ন হেলথ সেন্টারকেও এর সঙ্গে যুক্ত করে দিতে চাচ্ছি, একীভূত করে দিতে চাচ্ছি। এতে স্বাস্থ্যসেবায় ডুপ্লিকেশন কম হবে, জনবলও কম লাগবে। আমরা স্কুল হেলথ প্রোগ্রামের জন্য একটি নির্দেশিকা বা বুকলেট তৈরি করেছি। সেটি সব স্কুলে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, কীভাবে ছোট ছেলে-মেয়েরা সুস্থ থাকবে, কী খাওয়া উচিত- এ ধরনের সব বিষয়ে সেখানে রয়েছে। এক লাখের বেশি মানুষ প্রতি বছর হজ্জে যান, তাদের যে ওষুধ লাগে, সেগুলো অনেক সময় সেখানে পাওয়া যায় না। আমরা সেগুলোর বিষয়ে ভাবছি। হজ্জ পালনের সময় তারা কীভাবে চলবে, সেই নির্দেশনা জানিয়ে একটি স্বাস্থ্য বিধি বই আকারে তৈরি করে তাদের দিচ্ছি। মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি এক জেলা থেকে ছয় জেলায় বিস্তৃত করেছি। এতে ১৫ লাখ পরিবার বছরে ৫০ হাজার টাকা পরিমাণ স্বাস্থ্যসেবা পাবে। মানিকগঞ্জ, বরিশাল, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, কুড়িগ্রাম, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে এ সেবা দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব জেলায় এটি নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজের আওতায় এটি করা হচ্ছে। জাহিদ মালেক বলেন, দরিদ্র পরিবারকে টার্গেট করেই এ সেবা দেওয়া হবে। একটি উপজেলায় ১৫ থেকে ২০ হাজার পরিবারকে তালিকায় নেওয়া হয়েছে। চতুর্থ ডোজ করোনা টিকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চতুর্থ ডোজ যেটি দেওয়া হচ্ছে। তার কোনোটিই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়নি। এটি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কেউ যেন গুজবে কান না দেয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category