জামায়াতের যে ভুলে আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে, জানালেন মান্না

- আপডেট সময়ঃ ০৭:১০:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১৭ বার পড়া হয়েছে
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ আবারও রাজনৈতিকভাবে ফিরে আসতে পারে। তার মতে, আওয়ামী লীগের বিদ্যমান ভোটব্যাংক এই পদ্ধতিতে তাদের ফেরার পথ তৈরি করবে। জামায়াত যে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাচ্ছে- তা রাজনৈতিক ভুল বলে মনে করেন মান্না।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তাও তিন দিনের বিক্ষোভের কর্মসূচি। আমার একদম প্রথম প্রশ্ন, দাবি একটা করা যেতে পারে। এই দাবিতে বিক্ষোভ কার বিরুদ্ধে? কার কাছে দাবি? যে সরকার আছে, সে বলছে যে দরজা খোলা আছে, আমি যখন তখন পালিয়ে যাব। আমি থাকবো না।
সেই তাদের কাছে এমন একটা দাবি দেওয়া হলো, পিআর! পিআর কি আমি নিজেই ভালো করে বুঝি না। বুঝি না মানে কিভাবে করা যায়, এটার ইমপ্যাক্ট সম্পর্কে আমার কোন অভিজ্ঞতা নাই। এই পিআর নিয়ে পাবলিকের কাছে যদি যান পাবলিক কিছুই বুঝবে না। আমাদের দেশের মানুষ এখনো প্রার্থী দেখে ভোট দিতে অভ্যস্ত।
মান্না আরও বলেন, ‘তারপরে আবার কথা আছে, এতো মেজরিটি মাইনরিটির প্রশ্ন আছে। না হলে আপনি পিয়ার চাচ্ছেন কেন? আমাদের এখানকার যে স্ট্রাকচার এইবার হয়তো মেজরিটি মাইনরিটি হবে বাট নরমালি যে সমস্ত জায়গাতে অলমোস্ট অন ইকুয়াল বেসিস লড়াই হয় আর অন্য পার্টিও আছে, তখন দেখা যাবে বড় পার্টি খুব বড় পার্টি ৪০ পারসেন্ট পেয়েছে। আর অন্যান্য আরেক পার্টি ৩০ পারসেন্ট পেয়েছে। আর খুচরা সব মিলে ৪০, তখন গভমেন্ট হবে কিভাবে? অনেক জায়গা পিআরতো ফেল করেছে। কোথাও কোথাও ভালো চলে, আমি খারাপ বলছি না।
তো এইটা আপনি প্রস্তাব করলেন, কখন? নিজে নিজের মধ্যে করেছেন প্রথমে। আমাদের যে ১৬৬টা প্রশ্নমালা দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে তো পিআর নাই। যে সমস্ত দল পিআর নিয়ে এখন বলছে এতো সিরিয়াস তারা, তাদের মূল দাবির মধ্যে তো পিআর ছিল না।’
পিআরে আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে উল্লেখ করে মান্না বলেন, ‘যেমন ধরেন, আমরা কিন্তু পিআরের পক্ষে ছিলাম। যখন দেখি যে আওয়ামী লীগও ভোট করতে পারে, তো পিআরে আওয়ামী লীগের কাছে তো আমরা কিছুই না! দল ক্ষমতাচুত হয়েছে বটে। কিন্তু ভোট যদি তাদের এভারেজ ধরেন ৩৫ পারসেন্ট থাকে, কমে গেলে ২০ পারসেন্টেই হলো। তাও তো ওই অপজিশনে বসে সেই আসলো। আপনি যে স্বৈরতন্ত্রকে উৎখাত করতে চেয়েছেন, নির্বংশ করতে চেয়েছেন। তাদের ফিরে আসা আপনি ইমপসিবল করতে চেয়েছেন, তা তো পারছেন না।’
পিআর নিয়ে জটিলা আছে জানিয়ে মান্না আরও বলেন, ‘এরপরে আবার দুই পার্লামেন্টের কথা আসলো। মানে উচ্চকক্ষ নিম্নকক্ষ। ঠিক আছে উচ্চ কক্ষে হোক নিম্ন কক্ষে দরকার নেই। এখন বিএনপি বলছে না কোনো কক্ষেই দরকার নাই। আবার জামায়াত বা ইসলামী আন্দোলন তারা বলছে না দুই কক্ষেই দিতে হবে। এগুলো এত জটিল বিষয় যেগুলো আলোচনার জন্য আপনার সময় লাগবে, বুঝতে হবে, মানুষ বুঝতে হবে, বোঝাতে হবে, ধৈর্য ধরতে হবে। একবারই আমি সব চেয়ে বসবো, এটা ঠিক না।’