জাহাজে আগুন জাতীয় জ¦ালানি নিরাপত্তা বিঘিœত করার অপচেষ্টা: বিএসসি

- আপডেট সময়ঃ ০৮:১৭:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪
- / ৯৩ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএসসির পর পর দুইটি অয়েল ট্যাংকারে অগ্নিকা- জাতীয় জ¦ালানি নিরাপত্তা বিঘিœত করার অপচেষ্টা বলে আশঙ্কা করছেন বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মাহমুদুল মালেক। আজ শনিবার সকালে বিএসসির সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ আশঙ্কার কথা জানান। তিনি বলেন, রাত সাড়ে ১২ টায় জাহাজে কোনো কাজ ছিল না। জাহাজে চারটা পয়েন্টে আগুন দেখা যায়। তাই আমাদের আশঙ্কা নাশকতা। বিএসসির এমডি বলেন, কয়েকদিন আগে বাংলার জ্যোতিতে আগুন লেগেছিল। এরপর আগুন লাগল বাংলার সৌরভে। তাই আমরা ধারণা করছি, এ ঘটনা জাতীয় জ¦ালানি নিরাপত্তা হুমকিতে ফেলার অপচেষ্টা। এ ঘটনায় কারা জড়িত তা শনাক্ত করা উচিত। কমডোর মাহমুদুল মালেক বলেন, কোন বিস্ফোরণ থেকে এ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেনি। এরপরও জাহাজটির এক সঙ্গে চার স্থানে আগুন জ¦লে উঠেছে। গ্যাস ফর্ম কিংবা অন্য কোনো কারণে এ আগুন লাগার ঘটেনি। এ ছাড়াও যখন জাহাজে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে, ঠিক একইসময়ে পাশ দিয়ে একটি স্পিডবোটও যায়। তাই আমরা ধারণা করছি, এটি নাশকতামূলক অগ্নিকা- হতে পারে। এরপরও সবকিছু তদন্তের পরেই জানা যাবে। এ ঘটনা তদন্তে আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমডোর মাহমুদুল মালেক বলেন, জাহাজে অগ্নিকা-ের সময় সমুদ্র খুব উত্তাল ছিল। বাতাসের গতিবেগ বেশি থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা কষ্টকর হয়ে পড়েছিল। অল্প সময়ের মধ্যে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাতটি টাগবোট একযোগে অপারেশন পরিচালনা করে। পরবর্তী সময়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জাতীয় জ¦ালানির জন্য ব্যাক টু ব্যাক (পর পর) এ ধরনের দুটি ঘটনা জাতীয় জ¦ালানি নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ। জাতীয় জ¦ালানি নিরাপত্তাকে বিঘিœত করতে এটি কোনো নাশকতা কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বাংলার সৌরভ জাহাজে তেল ছিল ১১ হাজার ৫৫ টন। জাহাজে জনবল ছিল ৪৮ জন। আগুনের পর কেউ কেউ আত্মরক্ষার জন্য পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সবাইকেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের মধ্যে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়া জাহাজের স্টুয়ার্ড পদে কর্মরত সাদেক মিয়া (৬০) নামে একজন মারা গেছেন। উদ্ধারের পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে গত শুক্রবার) দিবাগত রাত ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে ‘বাংলার সৌরভ’ জাহাজে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে। প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষ মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় মারা যাওয়া স্টুয়ার্ড সাদেক মিয়া (৬০) কুমিল্লা জেলার লাঙ্গলকোট এলাকায় মৃত ইউনুস মিয়ার ছেলে। বিএসসির এমডি বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে নাশকতার বিষয় নিশ্চিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বছরে বিপিসির ১২-১৪ লাখ টন অপরিশোধিত তেল পরিবহন করে বিএসসি। বড় জাহাজে বিদেশ থেকে এসব তেল আমদানি করে বহির্নোঙরে আনা হয়। এরপর সাগরে বিএসসির বাংলার জ্যোতি ও বাংলার সৌরভে লাইরারিং করে কর্ণফুলী নদীর ডলফিন জেটিতে ইস্টার্ন রিফাইনারিকে দেওয়া হয়।