ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে সোনা আনায় বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে চার্জশিট

- আপডেট সময়ঃ ০৮:১৪:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩
- / ১৪০ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ভিজিট ভিসায় দুবাই ভ্রমণে ট্যাক্স ফাঁকি দিতে গিয়ে নিজের পায়ুপথে সোনাসহ গ্রেপ্তার প্রবাসী মোয়াজ্জেম হোসাইন ও তার ছেলে মো. রাজিব খালাশী বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। এদের মধ্যে মোয়াজ্জেম জামিনে এবং মামলার শুরু থেকে আসামি রাজিব পলাতক রয়েছে। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। সম্প্রতি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এনামুল হক। স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগে ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট ঢাকা কাস্টম হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা দিবাকর মন্ডল বাদী হয়ে প্রবাসী মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন। মামলার চার্জশিটে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আসামি মো. মোয়াজ্জেম হোসাইন মালয়েশিয়ায় হোটেলে চাকরি করতেন। করোনায় আর্থিক অবস্থা খারাপ হলে দেশে চলে আসে। আসামি সংসার চালাতে হিমশিম অবস্থায় পড়ে ব্যবসা খুঁজতে থাকেন। তখন আসামি ভিজিট ভিসা দুবাই ভ্রমণে যান। সেখান থেকে গোল্ড বার এনে বিক্রি করলে ভালো লাভ হবে মনে করেন। প্রথমবার দুবাই গিয়ে ১৭২ গ্রাম গোল্ডবার ট্যাক্স দিয়ে নিয়ে আসে। পরে ২০২২ সালের ২৮ আগস্ট ঢাকায় বিমান বন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানে রাত ১২টায় দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা করেন। পরের দিন আসামির সহযোগী ও তার ছেলে তদন্তে প্রাপ্ত আসামি মো. রাজিব ওরফে মো. রাজিব খালাশী দুবাই যান। ওই বছরের ৩০ আগস্ট ৫১২ গ্রাম ওজনে চারটি স্বর্ণের বার ও অন্য একটি স্বর্ণের বারের অর্ধেক দুটি খন্ডিত অংশ ক্রয় করেন। এ স্বর্ণ আসামি মোয়াজ্জেমের কাছে রেখে আসামি রাজিব দুবাই থেকে বাংদেশের উদ্দেশ্যে রওনা করেন। ফাঁকি দিতে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট সকালে আসামি মোয়াজ্জেম ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর এসে পৌঁছান। স্বর্ণ চোরাচালান কৌশল অনুযায়ী দুইটি স্বর্ণ বারের ট্যাক্স পরিশোধ করেন। এরপর আসামি মোয়াজ্জেমের কাছে থাকা বাকি ২.৫ বার বিমান বন্দরের বাথরুমে গিয়ে তার পায়ুপথে ঢুকান। ২.৫ স্বর্ণ বারের শুল্ক কর ফাঁকি দিয়ে আসামি বিমানবন্দরের বাইরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গ্রীন চ্যানেল পার হন। তখন কাস্টম কর্তৃপক্ষ তার কাছে স্বর্ণ আছে কি না জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি অস্বীকার করেন। পরে তাকে আর্চওয়ে করা হলে তার শরীরে ধাতব পদার্থের সংকেত পায়। তখন ক্লিনিকে নিয়ে এক্স-রে করানো হলে তার রেক্টামে স্বর্ণ থাকার ইমেজ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে আসামিকে বিমানবন্দর নিয়ে এসে তার রেক্টাম থেকে ২.৫ টি স্বর্ণবার বের করে দেয়।