ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

ট্রেনযোগে ঈদযাত্রা শুরু, টিকিট ছাড়া প্রবেশে কড়াকড়ি

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ১০:৩৭:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১৩৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেসের মাধ্যমে ট্রেনযোগে ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে এ ট্রেনটি রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। যদিও সকাল ৬টায় ছাড়ার কথা ছিল। অন্যদিকে কমলাপুর স্টেশনে টিকিট ছাড়া কেউ প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন না। টিকিট না থাকলে তাকে দাঁড়ানো টিকিট কেটে স্টেশনে প্রবেশ করতে হচ্ছে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এবারের ঈদযাত্রা চলবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত। এরইমধ্যে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি সম্পন্ন হয়েছে। এ বছর ঈদযাত্রা ও ঈদের ফিরতি যাত্রার শতভাগ টিকিট অনলাইন মাধ্যমে সংগ্রহ করতে হচ্ছে যাত্রীদের। এদিকে গত রোববার দুর্ঘটনার কারণে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের সাতটি কোচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় গতকাল সোমবার ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের যাত্রা বাতিল করা হয়। ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের অসুবিধার কথা বিবেচনায় নতুন রেক প্রস্তুত করে বাতিল হওয়া ট্রেনটি ১৯ এপ্রিল সকাল ৮টায় ঢাকা স্টেশন থেকে ছেড়ে যাবে। এদিকে ঈদযাত্রায় উত্তরাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা ৭টি ট্রেন রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশনে থামবে না। ট্রেনগুলো সরাসরি কমলাপুর স্টেশনে চলে যাবে। ঈদযাত্রায় ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঠেকাতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। রেলপথ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ঈদযাত্রা শুরুর দিন অর্থাৎ ১৭ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস, দ্রুতযান, পঞ্চগড়, নীলসাগর, কুড়িগ্রাম, লালমনি ও রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে না। এছাড়া ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আন্তঃদেশীয় মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন ১৮ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত এবং মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন ২০ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে আন্তঃদেশীয় বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন যথারীতি চলাচল করবে। এবারের ঈদযাত্রায় টিকিট ছাড়া তথাকথিত কোনো যাত্রীর ট্রেনে ভ্রমণ করার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, প্রত্যেক যাত্রীকে টিকিট প্রদর্শনপূর্বক স্টেশনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। টিকিটবিহীন যাত্রীর প্রবেশ বন্ধে ঢাকামুখী ট্রেনগুলো এবার ঈদযাত্রায় বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে না। এবার ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয় গত ৭ এপ্রিল। ওইদিন বিক্রি হয় ১৭ এপ্রিলের টিকিট। এরপর ৮ এপ্রিল ১৮ এপ্রিলের, ৯ এপ্রিল ১৯ এপ্রিলের, ১০ এপ্রিল ২০ এপ্রিলের এবং ১১ এপ্রিল বিক্রি হয় ২১ এপ্রিলের টিকিট। একইভাবে ঈদের ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে ১৫ এপ্রিল থেকে। ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরুর প্রথম দিন অর্থাৎ ১৫ এপ্রিল বিক্রি হয়েছে ২৫ এপ্রিলের টিকিট। ১৬ এপ্রিল বিক্রি হয়েছে ২৬ এপ্রিলের, ১৭ এপ্রিল ২৭ এপ্রিলের, ১৮ এপ্রিল ২৮ এপ্রিলের, ১৯ এপ্রিল ২৯ এপ্রিলের এবং ২০ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ৩০ এপ্রিলের টিকিট। ঈদযাত্রার সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, আমাদের শতভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এবারই প্রথমবারের মতো শতভাগ অনলাইন মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। ট্রিকিট প্রদর্শন করেই স্টেশনে প্রবেশ করতে পারবেন। তাছাড়া যাত্রার দিনে স্টান্ডবাই টিকিট দেওয়া হবে। টিকিট ছাড়া তথাকথিত যাত্রীরা ট্রেন ভ্রমণ করতে পারবেন না। প্রতিদিন আন্তঃনগর ট্রেনে টিকিট ও দাঁড়ানো টিকিট মিলে প্রায় ৪৫ হাজার যাত্রী ঢাকা ছাড়বেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রেনযোগে ঈদযাত্রা শুরু, টিকিট ছাড়া প্রবেশে কড়াকড়ি

আপডেট সময়ঃ ১০:৩৭:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেসের মাধ্যমে ট্রেনযোগে ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে এ ট্রেনটি রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। যদিও সকাল ৬টায় ছাড়ার কথা ছিল। অন্যদিকে কমলাপুর স্টেশনে টিকিট ছাড়া কেউ প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন না। টিকিট না থাকলে তাকে দাঁড়ানো টিকিট কেটে স্টেশনে প্রবেশ করতে হচ্ছে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এবারের ঈদযাত্রা চলবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত। এরইমধ্যে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি সম্পন্ন হয়েছে। এ বছর ঈদযাত্রা ও ঈদের ফিরতি যাত্রার শতভাগ টিকিট অনলাইন মাধ্যমে সংগ্রহ করতে হচ্ছে যাত্রীদের। এদিকে গত রোববার দুর্ঘটনার কারণে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের সাতটি কোচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় গতকাল সোমবার ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের যাত্রা বাতিল করা হয়। ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের অসুবিধার কথা বিবেচনায় নতুন রেক প্রস্তুত করে বাতিল হওয়া ট্রেনটি ১৯ এপ্রিল সকাল ৮টায় ঢাকা স্টেশন থেকে ছেড়ে যাবে। এদিকে ঈদযাত্রায় উত্তরাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা ৭টি ট্রেন রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশনে থামবে না। ট্রেনগুলো সরাসরি কমলাপুর স্টেশনে চলে যাবে। ঈদযাত্রায় ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঠেকাতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। রেলপথ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ঈদযাত্রা শুরুর দিন অর্থাৎ ১৭ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস, দ্রুতযান, পঞ্চগড়, নীলসাগর, কুড়িগ্রাম, লালমনি ও রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে না। এছাড়া ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আন্তঃদেশীয় মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন ১৮ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত এবং মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন ২০ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে আন্তঃদেশীয় বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন যথারীতি চলাচল করবে। এবারের ঈদযাত্রায় টিকিট ছাড়া তথাকথিত কোনো যাত্রীর ট্রেনে ভ্রমণ করার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, প্রত্যেক যাত্রীকে টিকিট প্রদর্শনপূর্বক স্টেশনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। টিকিটবিহীন যাত্রীর প্রবেশ বন্ধে ঢাকামুখী ট্রেনগুলো এবার ঈদযাত্রায় বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে না। এবার ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয় গত ৭ এপ্রিল। ওইদিন বিক্রি হয় ১৭ এপ্রিলের টিকিট। এরপর ৮ এপ্রিল ১৮ এপ্রিলের, ৯ এপ্রিল ১৯ এপ্রিলের, ১০ এপ্রিল ২০ এপ্রিলের এবং ১১ এপ্রিল বিক্রি হয় ২১ এপ্রিলের টিকিট। একইভাবে ঈদের ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে ১৫ এপ্রিল থেকে। ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরুর প্রথম দিন অর্থাৎ ১৫ এপ্রিল বিক্রি হয়েছে ২৫ এপ্রিলের টিকিট। ১৬ এপ্রিল বিক্রি হয়েছে ২৬ এপ্রিলের, ১৭ এপ্রিল ২৭ এপ্রিলের, ১৮ এপ্রিল ২৮ এপ্রিলের, ১৯ এপ্রিল ২৯ এপ্রিলের এবং ২০ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ৩০ এপ্রিলের টিকিট। ঈদযাত্রার সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, আমাদের শতভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এবারই প্রথমবারের মতো শতভাগ অনলাইন মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। ট্রিকিট প্রদর্শন করেই স্টেশনে প্রবেশ করতে পারবেন। তাছাড়া যাত্রার দিনে স্টান্ডবাই টিকিট দেওয়া হবে। টিকিট ছাড়া তথাকথিত যাত্রীরা ট্রেন ভ্রমণ করতে পারবেন না। প্রতিদিন আন্তঃনগর ট্রেনে টিকিট ও দাঁড়ানো টিকিট মিলে প্রায় ৪৫ হাজার যাত্রী ঢাকা ছাড়বেন।