ট্রেনে ঘরমুখো মানুষের চাপ, স্টেশনে মিলছে ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট

- আপডেট সময়ঃ ১১:২৪:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৩
- / ১৫১ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঈদে বরাবরই ঘরমুখো মানুষের চাপ থাকে ট্রেনে। ট্রেনের কোচে মানুষের ভিড় বেশি থাকায় অনেকেই ওঠেন ট্রেনের ছাদে। কিন্তু এবার টিকিট ছাড়া যাতায়াতের কোনো সুযোগ না থাকায় ছাদে উঠতে পারছেন না কেউ। এমনকি টিকিট ছাড়া প্ল্যাটফরমেও ঢোকা যাচ্ছে না। তবে যাত্রীদের চাহিদা বেশি থাকায় যাত্রার দিন আন্তঃনগর ট্রেনের আসনের ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত স্ট্যান্ডিং টিকিট দেওয়া হচ্ছে। টিকিট থাকা সাপেক্ষে ট্রেন ছাড়ার আগ মুহূর্তেও পাওয়া যাচ্ছে স্ট্যান্ডিং টিকিট। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে ও স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সরোয়ার তার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদেরও এসব জানান। প্রতিদিন ৪৫ হাজার মানুষ ট্রেনে যাতায়াতের সুযোগ পাচ্ছে। তবে ট্রেনে মানুষের চাপ তারচেয়ে কয়েকগুণ বেশি। ফলে সিটসহ টিকিটের পাশাপাশি স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। আরিফ নামের এক যাত্রী বলেন, অনলাইনে আগে টিকিট কাটতে পারিনি। স্টেশন থেকে কিছু স্ট্যান্ডিং টিকিট দেওয়া হবে জেনে আগেই স্টেশনে এসেছি। লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণ পূর্বে টিকিট পেয়েছি। এদিকে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সরোয়ার বলেন, আমরা প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনের মোট সিটের ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত যাত্রীর জন্য স্ট্যান্ডিং টিকিট দিয়ে থাকি। বর্তমানে ঈদযাত্রায় তারচেয়েও বেশি চাহিদা রয়েছে। আন্তঃনগর ট্রেন ছাড়ার আগে স্টেশনে স্ট্যান্ডিং টিকিট দেওয়া হচ্ছে। এদিকে গত সোমবার থেকে ট্রেনের ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। প্রথমদিনেই ‘ধূমকেতু এক্সপ্রেস’ ২০ মিনিট বিলম্বে ছেড়েছিল। গতকাল মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনেও ৪০ মিনিট দেরিতে ছাড়ে ট্রেনটি। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনটি সকাল ৬টায় ছাড়ার কথা থাকলেও গতকাল মঙ্গলবার ছাড়ে ৬টা ৪০ মিনিটে। ধূমকেতু এক্সপ্রেসের মতো চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী (৭০৪) এক ঘণ্টা ৫৫ মিনিট দেরিতে কমলাপুর ছাড়ে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে, সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ৫৫ মিনিট বিলম্বে ৮টা ১০ মিনিটে, দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ১৫ মিনিট বিলম্বে ৭টা ৪৫ মিনিটে, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসও ছাড়েনি নির্ধারিত সময়ে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ঢাকা (কমলাপুর) রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী (৭০৪) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু ট্রেনটি এক ঘণ্টা ৫৫ মিনিট দেরিতে কমলাপুর ছাড়ে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে। ট্রেনটির চট্টগ্রামে পৌঁছানোর স্বাভাবিক সময় দুপুর ২টা হলে এটি দুই ঘণ্টা বিলম্বে বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম পৌঁছাবে। চট্টগ্রামগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ৫৫ মিনিট বিলম্বে ৮টা ১০ মিনিটে ছেড়েছে। অন্যদিকে, সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস ৬টা ২০ মিনিটে (সঠিক সময়ে), নীলফামারীগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ২০ মিনিট বিলম্বে ৮টায়, কিশোরগঞ্জগামী এগারো সিন্ধুর প্রভাতী ৭টা ২০ মিনিটে এবং দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ১৫ মিনিট বিলম্বে ৭টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা স্টেশন ছেড়ে গেছে। চট্টগ্রামগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের এক যাত্রী বলেন, চট্টগ্রামগামী সকালের ট্রেনও দেরি করে ছেড়েছে। আমাদের ট্রেনটি ৩০ মিনিট পার হলেও এখনো ছাড়েনি। ১৫ থেকে ২০ মিনিট বিলম্ব হলে মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু আধা ঘণ্টা এক ঘণ্টা হলে তা বিরক্তিকর। এ বিষয়ে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারওয়ার বলেন, দু-একটি ট্রেন ছাড়া বাকি সব ট্রেন সঠিক সময়ে ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছে। ২০ থেকে ৩০ মিনিট দেরিতে ছাড়াকে খুব বেশি বিলম্বে বলা যায় না। তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম রুটে দুর্ঘটনার কারণে দুই ঘণ্টা বিলম্ব ছিল। সেটা কমে এক ঘণ্টা হয়েছে। ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে।