ট্রেনে ঢাকায় ফেরা যাত্রীর চাপ বাড়লেও ভিড় নেই

- আপডেট সময়ঃ ১১:৫২:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ জুলাই ২০২২
- / ১৬৫ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে যারা নাড়ির টানে ঢাকা ছেড়েছিলেন, জীবিকার তাগিদে তারা কর্মব্যস্ত নগরে ফিরছেন। এরইমধ্যে ঈদুল আজহার ছুটি শেষে খুলেছে সরকারি-বেসরকারি অফিস। আজ বুধবার সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সরেজমিনে দেখা যায়, মঙ্গলবারের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে ঢাকায় ফেরা যাত্রীর চাপ। তবে, যাত্রীর চাপ বাড়লেও ট্রেনগুলোতে তেমন ভিড় নেই। নাড়ির টানে ঘরেফেরা মানুষ ঈদের পরদিন থেকেই রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন। ট্রেনগুলোতে প্রতিদিনই ঢাকায় ফেরার মানুষের চাপ বাড়ছে। তবে চাপ বাড়লেও তেমন ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। দেশের বিভিন্ন গন্তব্যস্থল থেকে ঢাকায় আসা ট্রেন। ফেরার পথে নির্দিষ্ট স্টেশন থেকে সময়মতো ট্রেন ছেড়েছে বলেও জানান যাত্রীরা। তবে নীলসাগরসহ দু’একটি ট্রেন কিছুটা দেরিতে এসেছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। জামালপুর থেকে যমুনা এক্সপ্রেসে কমলাপুরে আসা রুবেল হোসেন বলেন, ঈদের ছুটি শেষে আবার ঢাকায় ফিরলাম। ট্রেনে তেমন ভিড় নেই। যাত্রীর চাপ কমই মনে হয়েছে। যমুনা এক্সপ্রেসে ঢাকায় আসা ফাতেমা আক্তার বলেন, বাসে অনেক জ্যাম থাকে। তাই ট্রেনে আসলাম। বাড়িতে যাওয়ার সময় গাদাগাদি করে গিয়েছিলাম। আসার পথে একটু ভালোভাবে এসেছি। আরেক যাত্রী সাগর বলেন, কাজ থাকায় ঢাকায় চলে আসলাম। ঈদ ভালোই কেটেছে। আরও ২/১ দিন থাকতে পারলে ভালো লাগতো। অন্যদিকে, অধিকাংশ ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে এলেও নীলসাগরসহ দু’একটি ট্রেন কিছুটা বিলম্ব করেছে। দেড় ঘণ্টা বিলম্ব করে কমলাপুরে এসেছে সুন্দরবন এক্সপ্রেস। সুন্দরবন এক্সপ্রেসে ঢাকায় আসা সাইফুল বলেন, কোনো যাত্রীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখিনি। ট্রেন খুলনা থেকে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় ছেড়েছে। কমলাপুরে সকাল ৭টায় পৌঁছানোর কথা থাকলেও দেড় ঘণ্টা দেরিতে সকাল সাড়ে ৮ টায় ঢাকায় এসেছে। নীলসাগর এক্সপ্রেসও একঘণ্টা দেরি করেছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আসতে। নীলসাগর এক যাত্রী বলেন, জরুরিকাজে ঢাকা চলে আসতে হলো। তবে ট্রেন একঘণ্টা দেরি হয়েছে আসতে। কমলাপুর রেলস্টেশন স্টেশন মাস্টার মো. আফছার উদ্দিন বলেন, সকাল থেকে দশটা পর্যন্ত ১১টি ট্রেন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছেছে। ট্রেনগুলোর অধিকাংশই নির্ধারিত সময়েই স্টেশনে এসেছে। নীলসাগর, সুন্দরবনসহ দুএকটি ট্রেন কিছুটা বিলম্বে এসে পৌঁছেছে। ট্রেনগুলোতে ঈদের পর দিন থেকে প্রতিদিন কিছুটা চাপ বাড়ছে।