ডাকসু নির্বাচন স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ল চেম্বার আদালতে, কাল শুনানি

- আপডেট সময়ঃ ০৭:০৬:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২১ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় আগামীকাল পর্যন্ত অকার্যকর থাকবে। বুধবার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানি হবে।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এ আদেশ দেন।
এসময় আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির শুনানি করেন।
এর আগে, সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি এস কে তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করে আদেশ দেন।
আদেশে রিটকারী ও ডাকসু নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলমকে জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ডাকসুর নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে দাখিল করতে বলা হয়।
হাইকোর্টের আদেশের পর তাৎক্ষণিক হাতে লেখা আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। যা নিয়েই আজ শুনানি হয়।
চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ডাকসু নির্বাচনে হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে আবেদন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে এক আদেশে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। ফলে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো বাধা রইল না।
গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট মনোনীত এবং ছাত্র শিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন বামজোট মনোনীত প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বিএম ফাহমিদা আলম।
ডাকসু নির্বাচন ঘিরে এরই মধ্যে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ও বামপন্থি ছাত্রসংগঠনগুলো পৃথক প্যানেল ঘোষণা করেছে। পূর্ণ ও আংশিক মিলিয়ে এবার ১০টির মতো প্যানেল দেওয়া হয়েছে।
ডাকসু ভোটে এবার ২৮টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন। তাদের মধ্যে নারী প্রার্থী ৬২ জন। সদস্যপদে সবচেয়ে বেশি রয়েছেন ২১৭ প্রার্থী।
এর বাইরে ঢাবির ১৮টি হলে ১৩টি পদে চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এক হাজার ৩৫ প্রার্থী।