ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের জন্য নয়: আইনমন্ত্রী

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ১০:২৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩
  • / ১৪১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রোধ বা গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়নি বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ সোমবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সিলেট-৩ আসনের এমপি হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়। আইনমন্ত্রী বলেন, সাইবার অপরাধ দমনের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি করা হয়েছে। এ আইনের অপব্যবহার যেন না হয় সেজন্য সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। জাাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে একটি ‘টেকনিক্যাল নোট’ দিয়েছে। সেটিরও পর্যালোচনাও প্রায় শেষ। শিগগির এ আইন সংশোধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, নিরস্ত্র, নিরীহ মানুষকে হত্যাকারী জঙ্গিদের বিচারাধীন মামলা দ্রুত বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। গত ৩১ মে ২০২৩ পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালগুলোতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৬৪৫টি। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের বিধি অনুযায়ী সাব-রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিষয়াদি আইন মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত। ফলে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও সাব-রেজিস্ট্রার পদ নিবন্ধন অধিপ্তদের আওতায় থাকাই যৌক্তিক। সাব-রেজিস্ট্রার পদগুলো আইন ও বিচার বিভাগ থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। রেজিস্ট্রশন সংক্রান্ত বিষয় আইন ও বিচার বিভাগের আওতাধীন থাকার ব্যাপারটি নিষ্পত্তিকৃত বিষয়। মন্ত্রী জানান, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসকে স্ব স্ব প্রশাসনিক এখতিয়ারের মধ্যে রেখে এরইমধ্যে আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। ২০২১ সালের ১০ জুন থেকে ২০২৩ সালের ১৩ জুন পর্যন্ত ১৭টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ৭৮ হাজার ১৯৫টি দলিল ই-রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে। ফলে ভূমি শ্রেণি পরিবর্তন ও জাল খতিয়ানের মাধ্যমে দলিল নিবন্ধন বন্ধ হয়েছে। রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা কমেছে। স্বল্প সময়ে ও কম খরচে মানসম্মত সেবা নিশ্চিত হয়েছে। সরকারি দলের এমপি হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, সারাদেশের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে কর্মরত নকলনবিশের সংখ্যা ১৬ হাজার ৪৫৬ জন। বর্তমানে কর্মরত অধিকাংশ নকলনবিশ তালিকাভুক্ত আছেন। বাকিদের তালিকাভুক্তির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ময়মনসিংহ-১১ আসনের এমপি কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, নকলনবিশদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত অ্যাসিড নিক্ষেপ সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৭৬টি। এ-সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলা সবচেয়ে বেশি ঢাকায়, ৪০টি। তবে রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, লক্ষ্মীপুর, জয়পুরহাট, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, সুনামগঞ্জ, নীলফামারী ও পঞ্চগড় জেলায় এ-সংক্রান্ত বিচারাধীন কোনো মামলা নেই। বিচারকরা এডিস নিক্ষেপ সংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করেন জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, দ্রুত নিষ্পত্তির কারণেই বিচারাধীন মামলার সংখ্যা তুলনামূলক কম। এডিস নিক্ষেপ সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ভবিষ্যতে আরও কমবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের জন্য নয়: আইনমন্ত্রী

আপডেট সময়ঃ ১০:২৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রোধ বা গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়নি বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ সোমবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সিলেট-৩ আসনের এমপি হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়। আইনমন্ত্রী বলেন, সাইবার অপরাধ দমনের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি করা হয়েছে। এ আইনের অপব্যবহার যেন না হয় সেজন্য সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। জাাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে একটি ‘টেকনিক্যাল নোট’ দিয়েছে। সেটিরও পর্যালোচনাও প্রায় শেষ। শিগগির এ আইন সংশোধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, নিরস্ত্র, নিরীহ মানুষকে হত্যাকারী জঙ্গিদের বিচারাধীন মামলা দ্রুত বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। গত ৩১ মে ২০২৩ পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালগুলোতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৬৪৫টি। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের বিধি অনুযায়ী সাব-রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিষয়াদি আইন মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত। ফলে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও সাব-রেজিস্ট্রার পদ নিবন্ধন অধিপ্তদের আওতায় থাকাই যৌক্তিক। সাব-রেজিস্ট্রার পদগুলো আইন ও বিচার বিভাগ থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। রেজিস্ট্রশন সংক্রান্ত বিষয় আইন ও বিচার বিভাগের আওতাধীন থাকার ব্যাপারটি নিষ্পত্তিকৃত বিষয়। মন্ত্রী জানান, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসকে স্ব স্ব প্রশাসনিক এখতিয়ারের মধ্যে রেখে এরইমধ্যে আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। ২০২১ সালের ১০ জুন থেকে ২০২৩ সালের ১৩ জুন পর্যন্ত ১৭টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ৭৮ হাজার ১৯৫টি দলিল ই-রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে। ফলে ভূমি শ্রেণি পরিবর্তন ও জাল খতিয়ানের মাধ্যমে দলিল নিবন্ধন বন্ধ হয়েছে। রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা কমেছে। স্বল্প সময়ে ও কম খরচে মানসম্মত সেবা নিশ্চিত হয়েছে। সরকারি দলের এমপি হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, সারাদেশের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে কর্মরত নকলনবিশের সংখ্যা ১৬ হাজার ৪৫৬ জন। বর্তমানে কর্মরত অধিকাংশ নকলনবিশ তালিকাভুক্ত আছেন। বাকিদের তালিকাভুক্তির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ময়মনসিংহ-১১ আসনের এমপি কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, নকলনবিশদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত অ্যাসিড নিক্ষেপ সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৭৬টি। এ-সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলা সবচেয়ে বেশি ঢাকায়, ৪০টি। তবে রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, লক্ষ্মীপুর, জয়পুরহাট, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, সুনামগঞ্জ, নীলফামারী ও পঞ্চগড় জেলায় এ-সংক্রান্ত বিচারাধীন কোনো মামলা নেই। বিচারকরা এডিস নিক্ষেপ সংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করেন জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, দ্রুত নিষ্পত্তির কারণেই বিচারাধীন মামলার সংখ্যা তুলনামূলক কম। এডিস নিক্ষেপ সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ভবিষ্যতে আরও কমবে।