ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

ড. ইউনূসের মামলা আপসে ১২ কোটি টাকা লেনদেন, প্রশ্ন হাইকোর্টের

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:৩৫:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২
  • / ১৮১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ টেলিকমের মামলার সমঝোতা ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে হাইকোর্টে। শ্রমিকদের আইনজীবীকে অর্থের বিনিময়ে হাত করে তাদেরকে মামলায় আপস করতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ সংক্রান্ত মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

শুনানিতে উচ্চ আদালতের কোম্পানি বেঞ্চ বলেছেন, আমরা শুনেছি শ্রমিকদের আইনজীবীকে অর্থের বিনিময়ে হাত করে তাদেরকে মামলায় আপস করতে বাধ্য করা হয়েছে।

হাইকোর্ট বলেন, আদালতকে ব্যবহার করে অনিয়ম যেন না হয়ে থাকে। যদি সবকিছু আইন অনুযায়ী না হয় তবে বিষয়টি সিরিয়াসলি দেখা হবে। আমি চাই না কোর্ট এবং আইনজীবীর সততা নিয়ে যেনো কোনো প্রশ্ন ওঠে।

এ সময় আদালত বিস্ময় প্রকাশ করে আরও বলেন, বাংলাদেশ কেন, উপমহাদেশের এমন কোনো আইনজীবী জন্ম নেয়নি যার ফিস ১২ কোটি টাকা হবে।

এ পর্যায়ে আদালত ডক্টর ইউনূসের আইনজীবীকে বলেন, আপনি কত টাকা ফিস নিয়েছেন? তখন আইনজীবী বলেন আমি ২০ লাখ টাকা নিয়েছি।

এসময় আদালত বলেন, আপনি তো ২০ লাখ নিয়েছেন, কিন্তু চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের আইনজীবী কীভাবে ১২ কোটি টাকা নেন।

এরপর আদালত শ্রমিকরা কে কত টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন তার তালিকা দাখিল করার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত নথিও দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এ পর্যায়ে আইনজীবীরা আদালতকে জানায়, চাকরীচ্যুত শ্রমিকরা এ পর্যন্ত ৩৮০ কোটি টাকা পেয়েছে। বাকী ৮ শ্রমিকের মধ্যে ৪ জন দেশের বাইরে থাকায় তাদের টাকা পরিশোধ করা হয়নি। আর ৪ জন শ্রমিক মারা যাওয়ায় এবং তাদের ওয়ারিশগণ জটিলতা নিরসন না হওয়ায় তাদের অর্থ পরিশোধ সম্ভব হয়নি।

প্রসঙ্গত গ্রামীণ টেলিকমের এ মামলায় ৪৩৭ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ সংশ্লিষ্ট ফান্ডে দেয়া হয়েছে। আদালত বলেন এতগুলো টাকা কি কারণে প্রদান করেছেন তার সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা লিখিতভাবে দাখিল করবেন।

আদালতে গ্রামীণ টেলিকমের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। শ্রমিকদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী।

এদিকে অভিযোগ ওঠা শ্রমিকদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী গণমাধ্যমকে বলেন, ১২ কোটি টাকা নেওয়ার খবর একটা গুজব। অখ্যাত নিউজপোর্টাল এটা কোনো তথ্য ছাড়া নিউজ ছেপেছে।

এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ টেলিকমের অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষে এ আবেদন দায়ের করা হয়। সূত্র-ল’ইয়ৃর্সক্লাব।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ড. ইউনূসের মামলা আপসে ১২ কোটি টাকা লেনদেন, প্রশ্ন হাইকোর্টের

আপডেট সময়ঃ ০৬:৩৫:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ টেলিকমের মামলার সমঝোতা ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে হাইকোর্টে। শ্রমিকদের আইনজীবীকে অর্থের বিনিময়ে হাত করে তাদেরকে মামলায় আপস করতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ সংক্রান্ত মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

শুনানিতে উচ্চ আদালতের কোম্পানি বেঞ্চ বলেছেন, আমরা শুনেছি শ্রমিকদের আইনজীবীকে অর্থের বিনিময়ে হাত করে তাদেরকে মামলায় আপস করতে বাধ্য করা হয়েছে।

হাইকোর্ট বলেন, আদালতকে ব্যবহার করে অনিয়ম যেন না হয়ে থাকে। যদি সবকিছু আইন অনুযায়ী না হয় তবে বিষয়টি সিরিয়াসলি দেখা হবে। আমি চাই না কোর্ট এবং আইনজীবীর সততা নিয়ে যেনো কোনো প্রশ্ন ওঠে।

এ সময় আদালত বিস্ময় প্রকাশ করে আরও বলেন, বাংলাদেশ কেন, উপমহাদেশের এমন কোনো আইনজীবী জন্ম নেয়নি যার ফিস ১২ কোটি টাকা হবে।

এ পর্যায়ে আদালত ডক্টর ইউনূসের আইনজীবীকে বলেন, আপনি কত টাকা ফিস নিয়েছেন? তখন আইনজীবী বলেন আমি ২০ লাখ টাকা নিয়েছি।

এসময় আদালত বলেন, আপনি তো ২০ লাখ নিয়েছেন, কিন্তু চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের আইনজীবী কীভাবে ১২ কোটি টাকা নেন।

এরপর আদালত শ্রমিকরা কে কত টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন তার তালিকা দাখিল করার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত নথিও দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এ পর্যায়ে আইনজীবীরা আদালতকে জানায়, চাকরীচ্যুত শ্রমিকরা এ পর্যন্ত ৩৮০ কোটি টাকা পেয়েছে। বাকী ৮ শ্রমিকের মধ্যে ৪ জন দেশের বাইরে থাকায় তাদের টাকা পরিশোধ করা হয়নি। আর ৪ জন শ্রমিক মারা যাওয়ায় এবং তাদের ওয়ারিশগণ জটিলতা নিরসন না হওয়ায় তাদের অর্থ পরিশোধ সম্ভব হয়নি।

প্রসঙ্গত গ্রামীণ টেলিকমের এ মামলায় ৪৩৭ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ সংশ্লিষ্ট ফান্ডে দেয়া হয়েছে। আদালত বলেন এতগুলো টাকা কি কারণে প্রদান করেছেন তার সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা লিখিতভাবে দাখিল করবেন।

আদালতে গ্রামীণ টেলিকমের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। শ্রমিকদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী।

এদিকে অভিযোগ ওঠা শ্রমিকদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী গণমাধ্যমকে বলেন, ১২ কোটি টাকা নেওয়ার খবর একটা গুজব। অখ্যাত নিউজপোর্টাল এটা কোনো তথ্য ছাড়া নিউজ ছেপেছে।

এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ টেলিকমের অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষে এ আবেদন দায়ের করা হয়। সূত্র-ল’ইয়ৃর্সক্লাব।