ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

ঢাকা ব্যাংক পরিচালক বুলুর মামলা এক বছরের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৯:০৯:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩
  • / ১৫২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনএস গ্রুপের কর্ণধার এবং ঢাকা ব্যাংকের পরিচালক ব্যবসায়ী এম এন এইচ বুলুর মামলা বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলাটি চলবে। একই সঙ্গে এক বছরের মধ্যে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে মামলাটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। আদালতে পিটিশনারের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনসুরুল হক চৌধুরী ও মো. বোরহান খান। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি ও মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ। ১০৯ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং প্রায় ২৫ কোটি টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি করা হয়। এজাহারে বলা হয়, দুদকের নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে এম এন এইচ বুলু ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল দুদকের একটি সম্পদ বিবরণী জমা দেন। তাতে ২৫৭ কোটি ৮০ লাখ ৬১ হাজার ৮৪৬ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ৬০ কোটি ৩৩ লাখ ৭৭ হাজার ৫ টাকার অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি ৩৬৯ কোটি ৭০ লাখ ১৫ হাজার ১৫৭ টাকার দায়-দেনার তথ্যও দিয়েছেন। সম্পদ বিবরণীর তথ্য যাচাইয়ের সময় দেখা গেছে, তার স্থাবর সম্পদের হিসাব ঠিক রয়েছে। অস্থাবর সম্পদ যাচাইকালে দেখা যায়, তিনি জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে নিজ ও নিজ নামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক সমাপনী উদ্বৃত্ত এবং প্রতিষ্ঠানসমূহের দায়-দেনা দেখালেও ব্যবসায়িক পুঁজির হাতে নগদ বা লিকুইড অংশ দেখাননি। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এম এন এইচ বুলু ১০৯ কোটি ১৭ লাখ ৫৬ হাজার ৯৮১ টাকা মূল্যমানের সম্পদের তথ্য গোপন করেন। এ ছাড়া ২৪ কোটি ৭৮ লাখ ৬৬ হাজার ৬২২ টাকা মূল্যমানের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তা ভোগদখলে রেখেছেন। ‘ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্যসংবলিত’ সম্পদ বিবরণী দাখিল এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় দুদকের উপ-পরিচালক ওয়াকিল আহমেদ রমনা মডেল থানায় ২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর মামলা করেন। পরে ২০২২ সালের ৮ মার্চ অভিযোগপত্র দায়ের করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক। মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৮ এ বিচারাধীন আছে। গত ৩১ জানুয়ারি বিচারিক আদালত তার বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ঢাকা ব্যাংক পরিচালক বুলুর মামলা এক বছরের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ

আপডেট সময়ঃ ০৯:০৯:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনএস গ্রুপের কর্ণধার এবং ঢাকা ব্যাংকের পরিচালক ব্যবসায়ী এম এন এইচ বুলুর মামলা বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলাটি চলবে। একই সঙ্গে এক বছরের মধ্যে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে মামলাটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। আদালতে পিটিশনারের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনসুরুল হক চৌধুরী ও মো. বোরহান খান। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি ও মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ। ১০৯ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং প্রায় ২৫ কোটি টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি করা হয়। এজাহারে বলা হয়, দুদকের নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে এম এন এইচ বুলু ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল দুদকের একটি সম্পদ বিবরণী জমা দেন। তাতে ২৫৭ কোটি ৮০ লাখ ৬১ হাজার ৮৪৬ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ৬০ কোটি ৩৩ লাখ ৭৭ হাজার ৫ টাকার অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি ৩৬৯ কোটি ৭০ লাখ ১৫ হাজার ১৫৭ টাকার দায়-দেনার তথ্যও দিয়েছেন। সম্পদ বিবরণীর তথ্য যাচাইয়ের সময় দেখা গেছে, তার স্থাবর সম্পদের হিসাব ঠিক রয়েছে। অস্থাবর সম্পদ যাচাইকালে দেখা যায়, তিনি জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে নিজ ও নিজ নামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক সমাপনী উদ্বৃত্ত এবং প্রতিষ্ঠানসমূহের দায়-দেনা দেখালেও ব্যবসায়িক পুঁজির হাতে নগদ বা লিকুইড অংশ দেখাননি। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এম এন এইচ বুলু ১০৯ কোটি ১৭ লাখ ৫৬ হাজার ৯৮১ টাকা মূল্যমানের সম্পদের তথ্য গোপন করেন। এ ছাড়া ২৪ কোটি ৭৮ লাখ ৬৬ হাজার ৬২২ টাকা মূল্যমানের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তা ভোগদখলে রেখেছেন। ‘ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্যসংবলিত’ সম্পদ বিবরণী দাখিল এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় দুদকের উপ-পরিচালক ওয়াকিল আহমেদ রমনা মডেল থানায় ২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর মামলা করেন। পরে ২০২২ সালের ৮ মার্চ অভিযোগপত্র দায়ের করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক। মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৮ এ বিচারাধীন আছে। গত ৩১ জানুয়ারি বিচারিক আদালত তার বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে।