০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ই-পেপার

তিস্তার পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দি ৩ হাজার মানুষ

  • দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ১১:১৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৪৯ বার পড়া হয়েছে

নীলফামারী প্রতিনিধি:

টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে ক্রমশ বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার দুই সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে সকাল ৯টার দিকে পানি আবার বিপৎসীমার এক সেন্টিমিটার নিচে নেমে আসে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পানি পরিমাপক নুরুল ইসলাম  এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে পানি বৃদ্ধিতে নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ২০টি গ্রামের অন্তত তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

 

ডিমলা উপজেলার কালীগঞ্জের বাসিন্দা সোহাগ ইসলাম বলেন, তিস্তা নদীর পানি বাড়ায় বন্যা দেখা দিয়েছে। আমাদের গ্রামের প্রায় ৩০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির অভাব।

খগার চর এলাকার কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, বন্যায় ধানক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গবাদিপশুর খাদ্য পাওয়া যাচ্ছে না। খুব সমস্যায় পড়েছি।

নীলফামারী জেলা প্রশাসক মো. নায়িরুজ্জামান বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্লাবিত এলাকায় কাজ করছেন। ইতিমধ্যে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। মজুদ আছে পর্যাপ্ত ত্রাণ। বন্যকবলিত মানুষ ও গবাদিপশু উদ্ধারে নৌকা ও আশ্রয়ণকেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির একতরফা নির্বাচন বাতিলের দাবি

তিস্তার পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দি ৩ হাজার মানুষ

আপডেট সময়ঃ ১১:১৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নীলফামারী প্রতিনিধি:

টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে ক্রমশ বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার দুই সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে সকাল ৯টার দিকে পানি আবার বিপৎসীমার এক সেন্টিমিটার নিচে নেমে আসে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পানি পরিমাপক নুরুল ইসলাম  এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে পানি বৃদ্ধিতে নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ২০টি গ্রামের অন্তত তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

 

ডিমলা উপজেলার কালীগঞ্জের বাসিন্দা সোহাগ ইসলাম বলেন, তিস্তা নদীর পানি বাড়ায় বন্যা দেখা দিয়েছে। আমাদের গ্রামের প্রায় ৩০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির অভাব।

খগার চর এলাকার কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, বন্যায় ধানক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গবাদিপশুর খাদ্য পাওয়া যাচ্ছে না। খুব সমস্যায় পড়েছি।

নীলফামারী জেলা প্রশাসক মো. নায়িরুজ্জামান বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্লাবিত এলাকায় কাজ করছেন। ইতিমধ্যে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। মজুদ আছে পর্যাপ্ত ত্রাণ। বন্যকবলিত মানুষ ও গবাদিপশু উদ্ধারে নৌকা ও আশ্রয়ণকেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।