তোফাজ্জল হত্যায় জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে: ডিএমপি

- আপডেট সময়ঃ ০৮:২৯:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৬৮ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও যারা জড়িত আছে, তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। আজ সোমবার সকাল ১১টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। তিনি বলেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম হলের অতিথি কক্ষে মারধরের শিকার হয়ে তোফাজ্জল হোসেনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ১৯ সেপ্টেম্বর ছয় শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এ ঘটনায় আট শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা পেয়ে বহিস্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তালেবুর রহমান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই ঘটনার শুরু থেকেই পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত ছিল। মামলার পর আমাদের ঊর্ধ্বতনরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তিনি বলেন, এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের কাছে ছয় জন ছাত্রকে সোপর্দ করেছে। গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিছু ফাইন্ডিংস আমাদের জানিয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। বাকি যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার তৎপরতা অব্যাহত আছে। আমাদের তদন্ত চলমান। তদন্তে যদি আরও কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। যেসব পুলিশ সদস্যরা কর্মস্থলে অনুপস্থিত তাদের বিষয়ে জানতে চাইলে মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, আমাদের কিছু আইন ও বিধির মধ্যে চলতে হয়। চাকরিতে কিছু নিয়ম-কানুন আছে। কেউ বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকলে চাকরি বিধি মেনে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির এই মুখপাত্র বলেন, ঢাকার ২২টি থানা আংশিক বা পরিপূর্ণ ধ্বংস হয়েছে, সব মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২১৬টি স্থাপনা। আমরা চেষ্টা করছি, অল্প সময়ে সংস্কার করে আগের পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার। ডিএমপির লুণ্ঠিত অস্ত্রের বিষয়ে এখনও হিসেব-নিকেশ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু অনেকগুলো স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমরা এখনও পরিপূর্ণ তথ্য পাইনি। এটার কাজ চলছে, শেষ হলে আপনাদের পরিপূর্ণ তথ্য দিতে পারবো।
মোহাম্মদপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক গ্রেপ্তার: ২০ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদপুরে রায়েরবাজার বধ্যভূমি সংলগ্ন বেড়িবাঁধে নাসির বিশ্বাস (২৯) ও মুন্না (২২) নামে দুই জনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মিরাজ মোল্লা নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উপ-কমিশনার তালেবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই সুমন বিশ্বাসের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মোহাম্মদপুর থানায় গত রোববার একটি মামলা হয়। মামলাটি তদন্তকালে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় ওই দিনই মিরাজ মোল্লাকে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার মিরাজ মোল্লা এলাকার এলেক্স ইমন গ্রুপের সদস্য। এই গ্রুপ মোহাম্মদপুর এলাকায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকা- সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মিরাজের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় আগের একটি মামলা রয়েছে। নাসির হত্যার সঠিক কারণ উদঘাটন এবং অন্যান্য আসামিকে গ্রেপ্তারে তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।