দীর্ঘ ৫ মাস যাবৎ তালাবদ্ধ ঘর : নিরাপত্তা হীনতায় ভুক্তভোগী পরিবার
- আপডেট সময়ঃ ০৬:৩২:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
- / ৫৫ বার পড়া হয়েছে
চিনু রঞ্জন তালুকদার, মৌলভীবাজার : আপন বড় ভাই ও ভাবীগংরা একমাত্র বসবাসের ঘরে দীর্ঘ ৫ মাস যাবৎ অবৈধভাবে তালাবদ্ধ করে রেখেছেন। স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের লোকজন বাড়ী ছাড়া। নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছেন সৌদি আরব প্রবাসী আলহাজ্ব সামছুল ইসলাম। গত বৃহস্পতিবার সকালে মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য ভুক্তভোগী সৌদি আরব প্রবাসী আলহাজ্ব সামছুল ইসলাম জানান- দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ তিনি সৈৗদি আরব বসবাস করেন। বড় ভাই মাহফুজুর রহমান ওরফে মোবারক ও তার স্ত্রী রত্না বেগম ব্যবসায়ীক কারণে মৌলভীবাজার শহরের মুসলিম কোয়াটারে প্রায় ২১ বছর যাবৎ বসবাস করে আসছেন। মাসহ পরিবারের লোকজন নিয়ে তিনি গ্রামের বাড়ী নাগড়া গ্রামে বসবাস করেন।
বৃদ্ধ মা বিগত ০৭/১২/২০২২ইং, বাড়ীতেই মৃত্যুবরন করেন। বাড়ীসহ অন্যান্য ভূমিতে ৩ বোনের ন্যায্য অংশ দিবেন না মর্মে বড় ভাইয়ের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলে, তিনি এসব বিষয়ের প্রতিবাদ করেন। এর ফলে বড় ভাই-ভাবীর সাথে পারিবারিক বিরোধ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ৩ বোন, একজন মামাতো ভাই ও সাবেক মেম্বার মিলে উক্ত ভূমি বন্টন হয়। সিদ্বান্ত হয়-বড় ভাই মাহফুজুর রহমান ওরফে মোবারক পূর্ব দিকে এবং তিনি অর্থাৎ আলহাজ্ব সামছুল ইসলাম পশ্চিম দিক। লিখিত বক্তব্য তিনি আরো জানান- জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ থাকার কারণে প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে বড় ভাই মাহফুজুর রহমান ওরফে মোবারক ও তার স্ত্রী রত্না বেগম-এর পরিকল্পনা মোতাবেক একটি সন্ত্রাসী গ্রুফের মাধ্যমে তার ছেলে সাহেল ইসলাম ওরফে সোহান (১৬)-কে প্রাণে হত্যার উদ্যোশে, মৌলভীবাজার সরকারি স্কুলের সামনে গত ০৯/১০/২০২৪ইং, গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এ হামলায় সে একটি দাঁত হারায়। দীর্ঘদিন পর তিনি জানতে পারেন, ছেলেকে রক্তাক্ত করার পেছনে বড় ভাই ও ভাবী জড়িত রয়েছেন। তিনি সৌদি আরব বিগত ০৯/০৪/২০২৫ইং কর্মস্থলে চলে যান।
অপরদিকে, মৌলভীবাজার সরকারি স্কুলে গত ১০/০৪/২০২৫ইং তার ছেলের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে রত্না বেগম এর হুকুমে তার বড় ভাই মাহফুজুর রহমান ওরফে মোবারক ও সহযোগীগং গত ১২/০৪/২০২৫ইং, তার বসত ঘরে প্রবেশ করে এবং ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর ও হামলা করেন। এবং সাহেল ইসলাম ওরফে সোহান যেনো কোনো ভাবেই পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে না পারে সে জন্য তার বই-খাতা, লেপটপ, মোবাইলসহ যাবতীয় মালামাল ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করার সময় তিনি নিজেই (মাহফুজুর রহমান ওরফে মোবারক) তার চোঁখের উঠিতে সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হন। এ ঘটনায় মৌলভীবাজার মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করতে চাইলে পারিবারিক ভাবে বিষয়টি সমাধান করা হবে মর্মে সময়ক্ষেপন করে উল্টো তাদের উপর একাধিক মামলা দায়ের করেন। পারিবারিক বিরোধে প্রতিশোধ নিতে নির্যাতন-জুলুম ও বসতঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। তাদের লালিত লোকজন দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করা হচ্ছে। লিখিত বক্তব্য তিনি আরো জানান- ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৬ইং পর্যন্ত বড় ভাই মাহফুজুর রহমান ওরফে মোবারক বেকার ছিলেন।
যৌত পরিবার থাকার কারণে বিদেশ থেকে রোজগারের টাকা দিয়ে ভাইকে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করে দেন। পরিবারের দায়িত্ব পালন করতে মৌলভীবাজার, সোনালী ব্যাংক, দিগীরপাড় বাজার শাখায় ভাইয়ের নামে একটি একাউন্ট এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রেরণ করতে থাকেন। কিন্তু তিনি উক্ত টাকা আত্বসাৎ করেছেন। যৌত পরিবার ভাগ-বন্টন হওয়ার আগে তিনি কৌশলে দুই বিঘা জমি নিয়ে নেন। তার নামের মালিকানা জমি ১৪ শতক তিনি অন্যত্র বিক্রি করে দেন। পরবর্তীতে, পরিবারের মান-সম্মান বিভেচনা করে উক্ত জমি রেজিষ্টারী করে দেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ভুক্তভোগী হালিমা ইসলাম, সাহেল ইসলাম ওরফে সোহান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাহফুজুর রহমান ওরফে মোবারক জানান- সামছুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মিথ্যাবাদী। আমার চোঁখ নষ্ট করেছে। তাদের অভিযোগ সঠিক নয়। এই ঘরটি আমার নিজের।

























