নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট চায় জামায়াতসহ ৮ দল
- আপডেট সময়ঃ ০৪:৪৫:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
- / ৮ বার পড়া হয়েছে
জুলাই জাতীয় সনদের টেকসই আইনি ভিত্তির জন্য নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি রাজনৈতিক দল। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীনের বরাবর দেওয়া স্মারকলিপিতে তারা এই দাবি জানায়। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনকৃত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) হুবহু বহাল রাখারও দাবি জানায় দলগুলো।
এদিন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সভাকক্ষে দুপুর ১টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের শেষে এক ব্রিফিংয়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষরের পর সরকার ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে ওই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য গণভোটের প্রস্তাব করেছে। আমরা আজকে আটটি দলের পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছি—জুলাই জাতীয় সনদের টেকসই আইনি ভিত্তির জন্য নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোটের আয়োজন করতে হবে। ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন হোক।
তিনি আরো বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের যে চেতনা, ছাত্র-জনতার রক্তের স্বীকৃতি দিতে হবে—সেজন্য জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একদিনে করা যাবে না। কিছু দল এ প্রস্তাব করলেও আমরা আটটি দল বলেছি—জুলাই সনদের স্বীকৃতির জন্য আগে নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট শেষ করতে হবে।’
জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সংশোধিত আরপিও। অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রিসভা–উপদেষ্টা পরিষদ যেটি অনুমোদন করেছে, সেটিকে হুবহু বহাল রাখতে হবে।
এখানে কোনো কাটাছেঁড়া বা সংশোধনী আনা যাবে না। সরকার যেটা মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে, সেটাকেই কার্যকর করে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। জুলাই সনদের আগে নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। অনেক জায়গায় দেখা যাচ্ছে, নারী প্রার্থীদের নির্বাচনী কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে—নোয়াখালী, নওগাঁসহ বিভিন্ন এলাকায় এমন ঘটনা ঘটছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে কোনো আল্টিমেটাম দিয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াতে এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘আজকে আমরা কোনো আল্টিমেটাম দিইনি।
তবে আমাদের আট দলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে—এই স্মারকলিপির পর কয়েক দিন অপেক্ষা করে আগামী ৩ তারিখ জাতীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বসে পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন ইনশাআল্লাহ।’
তিনি বলেন, ‘সিইসি আমাদের কথা শুনেছেন। দাবি বিবেচনার ক্ষেত্রে উনাদের ভূমিকার কথা বলেছেন। যারা জুলাই চেতনার পরিপন্থী কাজে থাকবে তারা ইনশাআল্লাহ জনগণের কাছে নিগৃহীত হবে। জুলাইয়ের প্রেক্ষাপটেই এত আয়োজন। তাই গণভোট আগে না করলে জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে।’
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালউদ্দিন, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ নেজাম ইসলামী পার্টির মহাসচিব মুসা বিন নেজার, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)-এর সহসভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির মহাসচিব নিজামুল হক নাঈম এবং জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম।




















