নাসিরনগরে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার পরিবারের অভিযোগ—ধর্ষণের পর হত্যা
- আপডেট সময়ঃ ০৭:৫৯:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ২৮ বার পড়া হয়েছে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হাবিবা আক্তার (৮) নামে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, ঘর থেকে ডেকে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের সংকরাদহ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত হাবিবা হরিণবেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। তিনি সংকরাদহ গ্রামের মনুস মিয়ার ছোট মেয়ে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে অন্য বোনদের সঙ্গে বসে পড়ালেখা করছিল হাবিবা। এ সময় কেউ একজন তাকে ঘর থেকে ডাক দেয়। ডাক শুনে বাইরে বের হওয়ার পর সে আর ঘরে ফেরেনি। রাতেই মাইকিং করে শিশুটির নিখোঁজ হওয়ার খবর প্রচার করা হয়।
বুধবার সকালে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত টিনের ঘরে তার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
হাবিবার বাবা মনুস মিয়া বলেন, ‘আমি সন্ধ্যার পর নামাজে ছিলাম। হঠাৎ মেয়েরা ফোন দিয়ে জানায় হাবিবাকে পাওয়া যাচ্ছে না। আজ সকালে তার লাশ পেলাম। কে বা কারা আমার মেয়েকে হত্যা করেছে জানি না। এর কঠোর বিচার চাই।’
নিহতের বড় বোন পারভীন আক্তার বলেন, ‘সন্ধ্যায় এক লোক গলা কাশি দিয়ে ডাকে। তখন আমার বোন বাইরে যায়। পরে আর ফিরে আসে নাই। তাকে ধর্ষণ কইরা মেরে ফেলছে।’
হরিপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সজল চন্দ্র দাস বলেন, ‘আট বছরের একটি বাচ্চাকে এমন নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও হত্যা—বর্ণনাতীত। আমরা দ্রুত অপরাধীর গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
হরিণবেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেহেনা আক্তার বলেন, ‘গতকালও সে পরীক্ষা দিয়ে গেছে। আজ সে আমাদের মাঝে নেই—এটা মেনে নেওয়া কঠিন। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।’
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, ‘একটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।





















