নিউইয়র্কে হামলার ঘটনায় সরকারের গভীর ‘দুঃখ প্রকাশ’

- আপডেট সময়ঃ ০৮:৪১:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১৫ বার পড়া হয়েছে
নিউইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছে যে গত সোমবার নিউইয়র্কে ঘটে যাওয়া একটি নিন্দনীয় ঘটনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং ন্যাশনাল সিটিজেন্স পার্টি (এনসিপি)-এর নেতা আখতার হোসেন ও তাসনিম জারা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলার শিকার হয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, এই হামলা ঘটিয়েছে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও সমর্থকরা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই জঘন্য ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, সেই বিষাক্ত ও সহিংস রাজনৈতিক সংস্কৃতির কথা, যা হাসিনার শাসনামলে ছড়িয়ে পড়েছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ—এই অশুভ উত্তরাধিকার ভেঙে দিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে।’
এতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গী রাজনৈতিক নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একাধিক বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। জন এফ. কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর প্রতিনিধি দলকে প্রথমে ভিভিআইপি গেট দিয়ে নেওয়া হয় এবং নিরাপদ যানবাহনে তোলা হয়। কিন্তু হঠাৎ করে ভিসা-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে শেষ মুহূর্তে বিকল্প পথে বের হতে বাধ্য হন তারা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে ভিভিআইপি প্রটোকল ও নিরাপত্তা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানানো হলেও, দুঃখজনকভাবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে। এর ফলে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ঝুঁকির মুখে পড়েন। ঘটনার পরপরই নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়েছে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা ও প্রতিনিধি দলের সবার নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন ফেডারেল ও স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আবারও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছে, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন রক্ষায় আমাদের অঙ্গীকার অটল। বাংলাদেশ কিংবা দেশের বাইরে, যেখানেই হোক না কেন, রাজনৈতিক সহিংসতা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের কোনো ঘটনা বরদাশত করা হবে না। এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনি ও কূটনৈতিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।