নিউইয়র্কে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর হামলার ঘটনায় কয়েকজন গ্রেফতার

- আপডেট সময়ঃ ০৪:২৯:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২২ বার পড়া হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক কনস্যুলেটে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তজা।
শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।
গোলাম মোর্তজা লিখেছেন, পুরো প্রক্রিয়াটি এখনও তদন্তাধীন। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী হামলার বিষয়টি নিয়ে নানা মন্তব্য করা হচ্ছে, এমনকি আমার নাম উল্লেখ করে কেউ কেউ দাবি করছেন, একটি মামলা হয়েছিল এবং আমি নাকি আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপস করেছি। আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি, তবে ভিত্তিহীন ও অসত্য বক্তব্যের জবাব দেওয়ার কিছু নেই। তাই কিছু সত্য তথ্য তুলে ধরতে চাই।
প্রেস মিনিস্টার তার পোস্টে তিনটি বিষয় উল্লেখ করেন—
১. ঘটনাটি ঘটেছে নিউইয়র্ক কনস্যুলেটে। আমি ওয়াশিংটন ডিসির দূতাবাসে কর্মরত। ওই অনুষ্ঠানে আমি অতিথি হিসেবে অংশ নিয়েছি ও সহায়তা করেছি।
২. আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী হামলার বিষয়টি লিখিতভাবে কনস্যুলেট কর্তৃপক্ষ ভিডিও ফুটেজসহ নিউইয়র্ক পুলিশ ও সিক্রেট সার্ভিসকে জানিয়েছে। ওয়াশিংটন দূতাবাস থেকেও স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও সিক্রেট সার্ভিসকে জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তদন্ত এখনো চলছে।
৩. তদন্ত শেষ হলে নিউইয়র্ক কনস্যুলেট ও দূতাবাসকে বিস্তারিত জানাবে সংশ্লিষ্ট মার্কিন সংস্থা। তদন্তের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে মামলা করা হবে। এখন পর্যন্ত অভিযোগ জানানো হয়েছে, কিন্তু মামলা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের আইনি প্রক্রিয়ায় এটি স্বাভাবিক।
তিনি আরও বলেন, “২৪ আগস্টের ঘটনা, আজ ১৮ সেপ্টেম্বর—এত সময় লাগছে কেন, এমন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে তদন্ত সাধারণত সময়সাপেক্ষ, এখানে কারও প্রভাবে দ্রুত তদন্ত হয় না। তদন্ত চলাকালীন সময়ে কনস্যুলেট বা দূতাবাসের মন্তব্য করাও শোভনীয় নয়।”
গোলাম মোর্তজা স্পষ্ট করে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত মানবতাবিরোধী অপরাধী আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনও আপস হয়নি, এর কোনও সুযোগও নেই।”
তিনি জানান, তদন্তের সর্বশেষ তথ্যসহ নিউইয়র্ক কনস্যুলেট বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবে। এখানে আপস বা গোপনীয়তার কোনও সুযোগ নেই।