ঢাকা, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ১১:৫৯:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১১৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি চায় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক। কিন্তু তারা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার গ্যারান্টি চায়, সেটা তো সরকার কিংবা নির্বাচন কমিশন দিতে পারবে না। আজ বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কাল এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন তারা কী করেছিল, একটু পেছনের দিকে তাকালেই সেটা দেখতে পাবেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও যদি একটু পেছনে ফিরে তাকান, তাহলে তিনি বুঝতে পারবেন, তারা কী পরিমাণ নির্যাতন ও অত্যাচার আওয়ামী লীগ ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর করেছিল। তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে লাঠিপেটা করেছিল। দেশের একজন নাগরিক ও রাজনীতিবিদ মতিয়া চৌধুরীকে রাস্তায় টানাহেঁচড়া করেছিল। তারা প্রকাশ্য জনসভায় হামলা চালিয়ে আমাদের দলের এমপি আহসানউল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করেছে। শেখ হেলাল, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় হামলা চালিয়েছিল। একুশে আগস্টে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু গত ১৫ বছরে তাদের জনসভায় একটি পটকাও ফোটেনি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আমাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে দুই পাশে স্থায়ীভাবে কাঁটাতারের বেড়া থাকত। সেখান থেকে বের হওয়া যেত না। মির্জা ফখরুলকে আয়নায় নিজের চেহারা দেখতে বিনীতি অনুরোধ জানাই। সেই তুলনায়, কোনো নির্যাতন তাদের ওপর করা হচ্ছে না। এতেই প্রমাণিত হয়, সরকার কোনো নির্যাতন চালাচ্ছে না। শুধু শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমুর আলম খন্দকার নয়, আরও অনেকেই বিএনপি থেকে পালাবেন বলে মন্তব্য করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির সিনিয়র নেতা শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমুর আলম খন্দকার সেখানে (তৃণমূল বিএনপি) যোগদান করেছেন। যে দল নেতাদের সম্মান দিতে জানে না, আর যে দল কাউকে নির্বাচন করতে দেয় না; সে দল তো সবাই করবে না। সুতরাং শুধু শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমুর আলম খন্দকার নয়, আরো বহুজনই আসবে, একটু অপেক্ষা করুন, দেখবেন। মির্জা আব্বাস বলেছেন, সারাদেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবেন। এতে সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা আব্বাস সাহেব এটা গত সাড়ে ১৪ বছর ধরে বলছেন, নতুন কিছু নয়। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির প্রয়াত নেতা নাজমুল হুদার প্রতিষ্ঠিত দল ‘তৃণমূল বিএনপি’তে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমুর আলম খন্দকার। শমসের মবিন চৌধুরীকে দলের চেয়ারম্যান আর তৈমুর আলম খন্দকারকে দলের মহাসচিব করা হয়েছে। তাদের পাশাপাশি দলটির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট অন্তরা হুদা নির্বাচিত হয়েছেন এক্সিকিউটিভ চেয়ারপারসন। মোট ২৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয় তৃণমূল বিএনপির।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময়ঃ ১১:৫৯:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি চায় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক। কিন্তু তারা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার গ্যারান্টি চায়, সেটা তো সরকার কিংবা নির্বাচন কমিশন দিতে পারবে না। আজ বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কাল এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন তারা কী করেছিল, একটু পেছনের দিকে তাকালেই সেটা দেখতে পাবেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও যদি একটু পেছনে ফিরে তাকান, তাহলে তিনি বুঝতে পারবেন, তারা কী পরিমাণ নির্যাতন ও অত্যাচার আওয়ামী লীগ ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর করেছিল। তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে লাঠিপেটা করেছিল। দেশের একজন নাগরিক ও রাজনীতিবিদ মতিয়া চৌধুরীকে রাস্তায় টানাহেঁচড়া করেছিল। তারা প্রকাশ্য জনসভায় হামলা চালিয়ে আমাদের দলের এমপি আহসানউল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করেছে। শেখ হেলাল, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় হামলা চালিয়েছিল। একুশে আগস্টে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু গত ১৫ বছরে তাদের জনসভায় একটি পটকাও ফোটেনি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আমাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে দুই পাশে স্থায়ীভাবে কাঁটাতারের বেড়া থাকত। সেখান থেকে বের হওয়া যেত না। মির্জা ফখরুলকে আয়নায় নিজের চেহারা দেখতে বিনীতি অনুরোধ জানাই। সেই তুলনায়, কোনো নির্যাতন তাদের ওপর করা হচ্ছে না। এতেই প্রমাণিত হয়, সরকার কোনো নির্যাতন চালাচ্ছে না। শুধু শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমুর আলম খন্দকার নয়, আরও অনেকেই বিএনপি থেকে পালাবেন বলে মন্তব্য করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির সিনিয়র নেতা শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমুর আলম খন্দকার সেখানে (তৃণমূল বিএনপি) যোগদান করেছেন। যে দল নেতাদের সম্মান দিতে জানে না, আর যে দল কাউকে নির্বাচন করতে দেয় না; সে দল তো সবাই করবে না। সুতরাং শুধু শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমুর আলম খন্দকার নয়, আরো বহুজনই আসবে, একটু অপেক্ষা করুন, দেখবেন। মির্জা আব্বাস বলেছেন, সারাদেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবেন। এতে সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা আব্বাস সাহেব এটা গত সাড়ে ১৪ বছর ধরে বলছেন, নতুন কিছু নয়। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির প্রয়াত নেতা নাজমুল হুদার প্রতিষ্ঠিত দল ‘তৃণমূল বিএনপি’তে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমুর আলম খন্দকার। শমসের মবিন চৌধুরীকে দলের চেয়ারম্যান আর তৈমুর আলম খন্দকারকে দলের মহাসচিব করা হয়েছে। তাদের পাশাপাশি দলটির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট অন্তরা হুদা নির্বাচিত হয়েছেন এক্সিকিউটিভ চেয়ারপারসন। মোট ২৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয় তৃণমূল বিএনপির।