পদ হারাচ্ছেন থাই প্রধানমন্ত্রী, আদালতের রায়ে বরখাস্ত

- আপডেট সময়ঃ ০৪:৪৩:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫
- / ১৬ বার পড়া হয়েছে
থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে তার পদ থেকে স্থায়ীভাবে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) থাই আদালত নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে তাকে এ সাজা দেওয়া হচ্ছে।
কম্বোডিয়ার নেতা হুন সেনের সঙ্গে এক ফোনালাপকে কেন্দ্র করে হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে এ রায় থাইল্যান্ডের সিনাওয়াত্রা পরিবারের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে; এটি দেশটিতে নতুন রাজনৈতিক অস্থিরতার সূচনা করতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর মাধ্যমে থাইল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া পেতংতার্ন তার মেয়াদের মাত্র এক বছর কাটানোর পরই ক্ষমতাচ্যুত হলেন।
এ রায় থাইল্যান্ডের সিনাওয়াত্রা পরিবারের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এটি দেশটিতে নতুন রাজনৈতিক অস্থিরতার সূচনা করতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সিএনএন জানায়, ফাঁস হওয়া সেই ফোনকলে তাকে কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনকে ‘আঙ্কেল’ বলতে শোনা যায়। ওই সময় তিনি তার নিজ দেশের সেনাবাহিনীর সমালোচনা করে বলেন, তার সেনাদের কারণেই কম্বোডিয়ার এক সেনার প্রাণ গেছে।
তার এ ফোনকলের রেকর্ড ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এর কয়েকমাস পর থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষও শুরু হয়েছিল। যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় থেমেছিল।
গত ১৫ জুনের ওই ফোনকলে কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে পেতোংতার্নকে আরও বলতে শোনা যায় “যে কোনো কিছু চাইলে, আমাকে বলবেন। আমি বিষয়টি দেখব।” তার এ কথাটি নিয়েই মূলত বেশি সমালোচনা শুরু হয়।
ফোনকলটি ফাঁস হওয়ার সময় দুই দেশের সীমান্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল। ওই সময় থাইল্যান্ডের মানুষের মধ্যে জাতীয়তাবাদও প্রচণ্ডরকমভাবে দেখা যাচ্ছিল। তখনই ফোনকলটি সামনে আসে। যা সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিরূপ প্রভাব ফেলে। বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করে পেতোংতার্ন গোপনে থাইল্যান্ডের স্বার্থকে বিসর্জন দিচ্ছেন।
এরপর তিনি সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চান। তিনি দাবি করেন, কম্বোডিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনের কৌশল হিসেবে তিনি এভাবে কথা বলেছিলেন।
কিন্তু গত ১ জুলাই দেশটির সাংবিধানিক আদালত তার প্রধানমন্ত্রীর পদ স্থগিত করে দেয়। যদিও তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিসভায় রয়ে গিয়েছিলেন।