পরিবেশ রক্ষা করে সমন্বিত যোগাযোগব্যবস্থা গড়ার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার
- আপডেট সময়ঃ ১০:০২:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫
- / ১০ বার পড়া হয়েছে
নৌপথের সমন্বিত উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান।
বৈঠকটি ছিল ‘সেন্ট্রাল ইন্টিগ্রেটেড মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট সেক্টর মাস্টার প্ল্যান অব বাংলাদেশ’–এর প্রান্তিক মূল্যায়ন ও কৌশলগত পরিকল্পনা বিষয়ক। এতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের যোগাযোগব্যবস্থা এখনো বিশৃঙ্খল অবস্থায় আছে। এটি দ্রুত শৃঙ্খলায় না আনলে তা অর্থনীতির জন্য গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়াবে।
তিনি বলেন, “পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করেই আমাদের কাজটা করতে হবে। নদীর ওপর কোনো আঘাত করা যাবে না, পানিকে শান্ত রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, পানি আমাদের জন্য এক বিশাল সম্পদ।”
বৈঠকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ একটি প্রাথমিক কৌশলগত পরিকল্পনা উপস্থাপন করে, যা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পারস্পরিক সমন্বয়ের ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হয়। এতে তুলে ধরা হয়, দেশের বিদ্যমান সড়ক, রেল ও নৌপথের যথাযথ ব্যবহার এবং কিছু ক্ষেত্রে সম্প্রসারণ ঘটালে যোগাযোগ খাতে বড় ধরনের অগ্রগতি সম্ভব।
এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে এখন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। তিনি জানান, এই পরিকল্পনা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে করতে হবে। পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের সংযোগ আরও দৃঢ় করার ওপরও গুরুত্ব দিতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা যখন যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে নদীর কথা ভাবি, তখন মনে রাখতে হবে নদীগুলোই আমাদের প্রাণ।”
বৈঠকে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, কিছু অঞ্চলে অল্প কিছু সড়ক নির্মাণ করলেই পুরো এলাকাকে জাতীয় যোগাযোগ নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করা সম্ভব। এজন্য দ্রুত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন দরকার।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় পরিকল্পনাকে আরও গতিশীল করতে একটি নতুন প্ল্যানার্স উইং গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন বলেন, “যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি সামষ্টিক মডেল তৈরি করার চেষ্টা চলছে, যাতে অর্থনৈতিক লাইফলাইন শক্ত ভিত্তি পায়।”
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রামে আরও তিনটি নতুন বন্দর চালু হবে। তাই এখন থেকেই এসব বন্দরকে কেন্দ্র করে সড়ক যোগাযোগ সহজ ও কার্যকর করার পরিকল্পনা নেওয়া প্রয়োজন।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবসহ সংশ্লিষ্ট সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।




















