পর্ন-তারকা যুগল অন্য বাংলাদেশিদেরও যুক্ত করে, বলছে সিআইডি

- আপডেট সময়ঃ ০৪:৫২:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৬ বার পড়া হয়েছে
দেশে অবস্থান করেই আন্তর্জাতিক পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে অন্যতম শীর্ষস্থানে থাকা সেই আলোচিত যুগলকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মুহাম্মদ আজিম (২৮), পিতা- আবুল কালাম, মাতা- মর্তুজা বেগম, স্থায়ী সাং- আমির ফকিরের বাড়ী, বুরুমছড়া, থানা- আনোয়ারা, জেলা- চট্টগ্রাম। বৃষ্টি (২৮), পিতা- লুৎফর, মাতা-আমেনা, স্থায়ী সাং- গ্রাম- আন্ধারমানিক (খালপাড়), পোস্ট- বয়ড়া, থানা- হরিরামপুর, জেলা- মানিকগঞ্জ।
দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি জানায়, শুধু নিজেরাই পর্ন ভিডিও তৈরি করা নয় বরং আরও মানুষদেরকে এ জগতে সম্পৃক্ত করার মতো বেআইনি কর্মকাণ্ডের অভিযোগও রয়েছে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ যুগল পর্ন-তারকা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশিত হয়। এসব প্রকাশিত তথ্যেই উঠে আসে, গ্রেফতারকৃত ১. মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও ২. বৃষ্টি (২৮)দ্বয় মাত্র এক বছরেই পর্নতারকাদের আন্তর্জাতিক পারফর্মার ব্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থানীয়দের মধ্যে রয়েছে এবং ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী পারফর্মারদের মধ্যে তাদের অবস্থান অষ্টম।
তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, একাধিক আন্তর্জাতিক পর্ন ওয়েবসাইটে তারা ভিডিও আপলোড করতো। এভাবে খোলাখুলি প্রচারণার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রাম, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করেও তারা প্রচারণা চালাতো। এসব প্রচারণায় ইন্ডাস্ট্রিতে যুক্ত হওয়ার জন্য অন্যদেরকে প্রলুব্ধ করে বিভিন্ন বার্তা প্রকাশ করতো তারা। আগ্রহীরা নতুন ক্রিয়েটর হওয়ার জন্য তাদের সাথে টেলিগ্রামের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে নতুনদেরকে নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করাও ছিল তাদের কাজ। যেমনঃ টেলিগ্রাম চ্যানেলে নতুন ক্রিয়েটর এড করলে নগদ অর্থ প্রদান করা হবে মর্মে তারা বিজ্ঞাপন দিতো।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পার হতে না পারা এ যুগল দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসলেও অনলাইনে রয়েছে তাদের বিলাসবহুল জীবনধারার বহু ছবি। বিষয়টি সামাজিক ও নৈতিকভাবে উদ্বেগজনক এবং একইসাথে বেআইনি হওয়ায় সিআইডির এলআইসি এবং সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিট দ্রুততার সাথে এ পর্ন-তারকা যুগলকে করে। এসময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল, সিমকার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ পর্ন ভিডিও তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে তাদের প্রথম ভিডিও প্রকাশ হয়। পরবর্তীতে এক বছরে তাদের প্রকাশিত মোট ১১২টি ভিডিও ২ কোটি ৬৭ লক্ষেরও বেশিবার দেখা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে।