ঢাকা, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

পোশাকশ্রমিকরাও টিসিবির পণ্য পাবেন: বাণিজ্যমন্ত্রী

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৮:২৮:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০২২
  • / ১৭১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বর্তমান ঊর্ধ্বমূল্যের বাজারে পোশাকশ্রমিকদের সহায়তায় টিসিবির আওতায় নিত্যপণ্য সরবরাহ করার চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আজ বুধবার নগরীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘রিসেন্ট আরএমজি গ্রোথ’ শীর্ষক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালয় (সিপিডি) সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, অন্যান্য পরিবারের মতো টিসিবির পণ্য যেন পোশাকশ্রমিকেরাও পায় এ বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে। ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিকদের স্বার্থ যেমন দেখতে হবে তেমনই কারখানাও টিকিয়ে রাখতে হবে। মনে হচ্ছে পোশাক কারখানায় নারী শ্রমিকদের হার কমেছে। শ্রমিকদের জীবনমানও উন্নয়ন করা দরকার। কমপ্লায়েন্স রক্ষা করতে হবে। সিপিডির গবেষণায় উঠে এসেছে, দেশের ২৯ শতাংশ কারখানা ঘুস-দুর্নীতির শিকার হয়েছে। ৫১টি কারখানা নিয়ে এক জরিপে এ তথ্য বের হয়েছে। বিজিএমইএ সহ-সভাপতি শহিদুল্লা আজিম বলেন, যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিকের সংখ্যা কমবে। এ ক্ষেত্রে শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। ১ হাজার ১৩৪টি কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন আছে। এতে শ্রমিকদের কতটা ভাগ্যোন্নয়ন হয়? মালিকরা ইউনিয়নের জন্য ভীত নয়। তিনি বলেন, বায়ারদের পোশাকের দাম বাড়াতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি। শিল্পের জন্য সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। শ্রমিক নেতা মন্টু ঘোষ বলেন, বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। শ্রমিকের জীবনে সংকট বাড়ছে। চার বছর আগে মজুরি বেড়েছে। মজুরি বোর্ডের মাধ্যমে মজুরি বাড়ানোর কথা এখনো সরকার বিবেচনা করছে না। যত দ্রুত সম্ভব মজুরি বাড়ানো আবশ্যক। তিনি বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন সংকট সব খাতে আছে। নিয়ন্ত্রণের হাত থাকে সরকারের ওপর। ফলে শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। দু-এক মাসের মধ্যে শ্রমিকদের রেশনের জন্য উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনসহ সংশ্লিষ্টরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

পোশাকশ্রমিকরাও টিসিবির পণ্য পাবেন: বাণিজ্যমন্ত্রী

আপডেট সময়ঃ ০৮:২৮:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বর্তমান ঊর্ধ্বমূল্যের বাজারে পোশাকশ্রমিকদের সহায়তায় টিসিবির আওতায় নিত্যপণ্য সরবরাহ করার চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আজ বুধবার নগরীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘রিসেন্ট আরএমজি গ্রোথ’ শীর্ষক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালয় (সিপিডি) সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, অন্যান্য পরিবারের মতো টিসিবির পণ্য যেন পোশাকশ্রমিকেরাও পায় এ বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে। ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিকদের স্বার্থ যেমন দেখতে হবে তেমনই কারখানাও টিকিয়ে রাখতে হবে। মনে হচ্ছে পোশাক কারখানায় নারী শ্রমিকদের হার কমেছে। শ্রমিকদের জীবনমানও উন্নয়ন করা দরকার। কমপ্লায়েন্স রক্ষা করতে হবে। সিপিডির গবেষণায় উঠে এসেছে, দেশের ২৯ শতাংশ কারখানা ঘুস-দুর্নীতির শিকার হয়েছে। ৫১টি কারখানা নিয়ে এক জরিপে এ তথ্য বের হয়েছে। বিজিএমইএ সহ-সভাপতি শহিদুল্লা আজিম বলেন, যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিকের সংখ্যা কমবে। এ ক্ষেত্রে শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। ১ হাজার ১৩৪টি কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন আছে। এতে শ্রমিকদের কতটা ভাগ্যোন্নয়ন হয়? মালিকরা ইউনিয়নের জন্য ভীত নয়। তিনি বলেন, বায়ারদের পোশাকের দাম বাড়াতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি। শিল্পের জন্য সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। শ্রমিক নেতা মন্টু ঘোষ বলেন, বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। শ্রমিকের জীবনে সংকট বাড়ছে। চার বছর আগে মজুরি বেড়েছে। মজুরি বোর্ডের মাধ্যমে মজুরি বাড়ানোর কথা এখনো সরকার বিবেচনা করছে না। যত দ্রুত সম্ভব মজুরি বাড়ানো আবশ্যক। তিনি বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন সংকট সব খাতে আছে। নিয়ন্ত্রণের হাত থাকে সরকারের ওপর। ফলে শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। দু-এক মাসের মধ্যে শ্রমিকদের রেশনের জন্য উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনসহ সংশ্লিষ্টরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।