প্রচুর সময় ব্যয় করে একজন জঙ্গি গ্রেপ্তার করতে হয়: ডিএমপি কমিশনার

- আপডেট সময়ঃ ০৮:৪৬:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩
- / ১৫১ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, এক একটি জঙ্গি ধরতে আমাদের প্রচুর সময় লাগে। জঙ্গিরা কোন নরমাল টেলিফোন বা নরমাল অ্যাপস ব্যবহার করে না। প্রচুর সময় ব্যয় করে এক একজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করতে হয়। আজ শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ চলচিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) ঢাকা ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অপারেশনে যারা জড়িত ছিল তাদের বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা অপারেশনে জড়িত ছিল তাদেরকে আগে গ্রেপ্তার করতে পেরেছি। আমার ধারণা, যে দুজন জঙ্গি পালিয়ে আছে, তাদের আমরা শিগগিরই গ্রেপ্তার করতে পারব। পুলিশ কমিশনার বলেন, বঙ্গবাজারের পাশে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরে বিক্ষিপ্ত কিছু জনতা ভাঙচুর করেছে। এ সময় অফিসও কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। মনে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের হামলাটি পরিকল্পিত আক্রমণ। আমরা এই মামলা রেকর্ড করেছি। এর মধ্যে ১১ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। গ্রেপ্তারদের সঙ্গে ভিডিও ফুটেজের অনেকের চেহারার মিল আছে। আমরা তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কমিশনার বলেন, ফায়ার সার্ভিসে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব। এখানে অন্য কোনো পরিকল্পনা ছিল কিনা, ভিন্ন কোনো দৃষ্টিকোণ বা ভিন্ন কোনো গোষ্ঠীর থেকে এই ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা বের করতে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তথ্য পেলে জানাব। এর আগে, গত ২০ ডিসেম্বর দুপুরে দুই জঙ্গিকে একটি মামলায় ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়। হাজিরা শেষে পুলিশ সদস্যরা তাদের নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশের চোখে-মুখে স্প্রে করে জঙ্গি সদস্য মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এই দুই জঙ্গি দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি। দিন-দুপুরে আদালত চত্ত্বর থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের পর নড়েচড়ে বসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর টানা অভিযানে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও এখনো অধরা রয়েছেন ছিনিয়ে নেওয়া দুই জঙ্গি। বঙ্গবাজারে অগ্নিকা-ের দিন ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরে হামলার ঘটনাকে পরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মনে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের হামলাটি পরিকল্পিত আক্রমণ। আমরা এই মামলা রেকর্ড করেছি। এর মধ্যে ১১ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, বঙ্গবাজারের পাশে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরে বিক্ষিপ্ত কিছু জনতা ভাঙচুর করেছে। এ সময় অফিসও কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। মনে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের হামলাটি পরিকল্পিত আক্রমণ। আমরা এই মামলা রেকর্ড করেছি। এর মধ্যে ১১ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। গ্রেপ্তারদের সঙ্গে ভিডিও ফুটেজের অনেকের চেহারার মিল আছে। আমরা তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, ফায়ার সার্ভিসে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করব। এখানে অন্য কোন পরিকল্পনা, ভিন্ন কোনো দৃষ্টিকোণ ও ভিন্ন কোনো গোষ্ঠীর থেকে এই ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তথ্য পেলে জানাব। পুলিশ কমিশনার বলেন, আমি মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি বঙ্গবাজারের আগুন লাগাযর স্থানে বহুতল ভবন করার কথা ছিল। ব্যবসায়ীদের এক অংশ এখানে বহুতল ভবন করার বিপক্ষে। তাদের (ব্যবসায়ীদের) মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে। বঙ্গবাজারে আগুন লাগার কারণ কি, সেটা নিয়ে তদন্ত কমিটি করেছে ফায়ার সার্ভিস ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আগুন লাগার কারণ তারাই তদন্ত করছেন। খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহারে কিশোর অপরাধ বেড়েছে। শুধুমাত্র আইনের আওতায় এনে কিশোর অপরাধ দমন সম্ভব নয়। এজন্য বাড়াতে হবে সামাজিক ও পারিবারিক সচেতনতা। গতকাল শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) ঢাকা ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহারের কারণেই কিশোর অপরাধ বাড়ছে শীর্ষক বিষয়ে ছায়া সংসদের আদলে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় নওগাঁ জেলার মান্দা থানা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও বিপক্ষে ঢাকার সামসুল হক খান স্কুলের বির্তাকিকরা। এ সময় অনলাইনে বিভিন্ন অপরাধ এবং অফলাইনের অপরাধ নিয়ে দুপক্ষের বক্তাদের মধ্যে চলে নানা যুক্তি খ-ন। প্রতিযোগিতায় ঢাকার সামসুল হক খান স্কুলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় নওগাঁ জেলার মান্দা থানা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়। প্রতিযোগিতার সঞ্চালনা করেন, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।