ঢাকা, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

ফরিদপুরে ধর্ষণ-হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদ-

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ১০:১২:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ৬০৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মাদ্রাসাছাত্রী রুপালী খানম ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় জিন্দার আলী শেখ নামের এক আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্রদীপ কুমার এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জিন্দার আলী শেখ বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের কদমী গ্রামের সালাম শেখের ছেলে। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের কদমী গ্রামের মনোয়ার শেখের মেয়ে রুপালীকে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করতেন একই এলাকার জিন্দার আলী শেখ ওরফে পলাশ। পরে জিন্দার আলী রুপালীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। রুপালীর পরিবার ওই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়। ২০১০ সালের ২০ মে রুপালী খানম বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন। পরদিন তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে ধর্ষণ শেষে হত্যার প্রমাণ মেলে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মনোয়ার শেখ বাদী হয়ে জিন্দার আলীকে আসামি করে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় দীর্ঘ শুনানি শেষে গতকাল মঙ্গলবার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি জিন্দার আলী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শুনে স্বামীকে নির্দোষ দাবি করে কান্নাকাটি শুরু করেন তার স্ত্রী। ফরিদপুর জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) স্বপন কুমার পাল বলেন, মামলাটি আমি পরিচালনা করেছি। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আসামির মৃত্যুদ- দিয়েছেন। এ রায়ে আমরা খুশি। সত্যের জয় হয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ফরিদপুরে ধর্ষণ-হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদ-

আপডেট সময়ঃ ১০:১২:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মাদ্রাসাছাত্রী রুপালী খানম ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় জিন্দার আলী শেখ নামের এক আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্রদীপ কুমার এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জিন্দার আলী শেখ বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের কদমী গ্রামের সালাম শেখের ছেলে। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের কদমী গ্রামের মনোয়ার শেখের মেয়ে রুপালীকে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করতেন একই এলাকার জিন্দার আলী শেখ ওরফে পলাশ। পরে জিন্দার আলী রুপালীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। রুপালীর পরিবার ওই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়। ২০১০ সালের ২০ মে রুপালী খানম বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন। পরদিন তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে ধর্ষণ শেষে হত্যার প্রমাণ মেলে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মনোয়ার শেখ বাদী হয়ে জিন্দার আলীকে আসামি করে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় দীর্ঘ শুনানি শেষে গতকাল মঙ্গলবার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি জিন্দার আলী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শুনে স্বামীকে নির্দোষ দাবি করে কান্নাকাটি শুরু করেন তার স্ত্রী। ফরিদপুর জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) স্বপন কুমার পাল বলেন, মামলাটি আমি পরিচালনা করেছি। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আসামির মৃত্যুদ- দিয়েছেন। এ রায়ে আমরা খুশি। সত্যের জয় হয়েছে।