ঢাকা, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

ফেরারি আসামিকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার বিধান যুক্ত করার প্রস্তাব ইসির

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ০৪:৪৬:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৯ বার পড়া হয়েছে

সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পদ্ধতি বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া যেকোনো পলাতক আসামি ভোটে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ‘অযোগ্য’ বিবেচিত হবেন।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেছেন, যেকোনো ফৌজদারি মামলার ফেরারি আসামি ভোটে অংশ নিতে পারবেন না। যদি এটি নিয়ে কোনো ধরনের মিস ইউজ হয় তবে পুনরায় ভেবে দেখা হবে। কিন্তু অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে না।

‘প্রার্থী বা তার প্রস্তাবকারী/সমর্থনকারীকে সশরীরে রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে’- যোগ করেন এ নির্বাচন কমিশনার।

এসব বিধানসহ একগুচ্ছ সংশোধনী এনে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ চূড়ান্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠিয়েছে ইসি।

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী যোগ করা হয়েছে। পোলিং স্টেশন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তৈরি করবেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডিতে থাকা কোনো ব্যক্তি প্রার্থী হতে পারবেন না।। হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে ওই ব্যক্তির প্রার্থিতা বাতিল হবে এবং সংসদ সদস্য পদ হারাবেন। প্রার্থীর জামানত ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) আদালতের দৃষ্টিতে ফেরারি আসামিকে ভোটে অযোগ্য রাখার বিধান যুক্ত করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে কমিশন।

ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আরপিওতে যোগ্যতা-অযোগ্যতায় আগে ব্যক্তি কোনো অপরাধে সাজা পেলে তবেই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হতেন। তবে নতুন এ বিধানের ফলে মামলার রায় ঘোষণার আগে শুনানিতে অনুপস্থিতির দায়ে আদালত কাউকে পলাতক ঘোষণা করলে তিনি প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ফেরারি আসামিকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার বিধান যুক্ত করার প্রস্তাব ইসির

আপডেট সময়ঃ ০৪:৪৬:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পদ্ধতি বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া যেকোনো পলাতক আসামি ভোটে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ‘অযোগ্য’ বিবেচিত হবেন।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেছেন, যেকোনো ফৌজদারি মামলার ফেরারি আসামি ভোটে অংশ নিতে পারবেন না। যদি এটি নিয়ে কোনো ধরনের মিস ইউজ হয় তবে পুনরায় ভেবে দেখা হবে। কিন্তু অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে না।

‘প্রার্থী বা তার প্রস্তাবকারী/সমর্থনকারীকে সশরীরে রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে’- যোগ করেন এ নির্বাচন কমিশনার।

এসব বিধানসহ একগুচ্ছ সংশোধনী এনে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ চূড়ান্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠিয়েছে ইসি।

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী যোগ করা হয়েছে। পোলিং স্টেশন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তৈরি করবেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডিতে থাকা কোনো ব্যক্তি প্রার্থী হতে পারবেন না।। হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে ওই ব্যক্তির প্রার্থিতা বাতিল হবে এবং সংসদ সদস্য পদ হারাবেন। প্রার্থীর জামানত ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) আদালতের দৃষ্টিতে ফেরারি আসামিকে ভোটে অযোগ্য রাখার বিধান যুক্ত করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে কমিশন।

ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আরপিওতে যোগ্যতা-অযোগ্যতায় আগে ব্যক্তি কোনো অপরাধে সাজা পেলে তবেই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হতেন। তবে নতুন এ বিধানের ফলে মামলার রায় ঘোষণার আগে শুনানিতে অনুপস্থিতির দায়ে আদালত কাউকে পলাতক ঘোষণা করলে তিনি প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা