বগুড়ার ধুনটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গিয়ে হামলার শিকার ভুমি কর্মকর্তা

- আপডেট সময়ঃ ০৭:০৪:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১৬ বার পড়া হয়েছে
আব্দুল মোমিনঃ বগুড়ার ধুনটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে নিমগাছি ইউনিয়ন ভুমি উপসহকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন মারধরে শিকার হয়েছেন। সন্ত্রানীরা ওই কর্মকর্তকে শুধু মারধর করে খ্যান্ত হয় নি । মব সৃষ্টি করে তার নিকট থেকে সাদা ষ্ঠ্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ তিন ঘন্টা পর সন্ত্রাসীদের জিম্মিদশা থেকে ওই কর্মকর্তাকে উদ্ধার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার বিকেলে উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের পিরাপাট বাজার এলাকায়।
জানা গেছে , জয়শিং – বগুড়া সড়কের পিরাপাট বাজার এলাকায় সুকলু মিয়ার ও তার ভাইদের সড়ে ছয় শতক জমি ২০০৪ সালে বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাস্তা নির্মানের জন্য অধিগ্রহন করে। সুকলু মিয়া অধিগ্রহন করা ওই জমির মুল্য বাবদ ২০,৬১৬/৭৫ টাকা ও উত্তোলন করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, সড়ক নির্মানের অভিগ্রহন করা অবশিষ্ট জমিতে সুকলু মিয়া ও তার সহযোগী শাহাদুল হোসেন মন্ডল, গোদামন্ডল, আব্দুল কাফী, সফিকুল ইসলাম , ইংরেজ উদ্দিন ও কালুমিয়া অবৈধ ভাবে দখল করে ঘর নির্মান করে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের চলাচলে রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়ে। এলাকাবাসরি পক্ষে ব্যবশায়ী শহিদুল ইসলাম প্রতিকার চেয়ে ধুনট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ সংশ্লিস্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনার সত্যতা পেয়ে সড়কের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য সুকলু মিয়া ও তার সহযোগীদের নির্দেশ দেন। সুকলু মিয়া ও তার সহযোগীরা ইউএনও নির্দেশ অমান্য করে সড়কের জায়গায় আরো স্থাপনা নির্মান করে। গত বুধবার ইউএনও খৃষ্টফার হিমেল রিছিল অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য নিমগাছি ইউনিয়ন ভুমি উপসহকারী কর্মকর্তা আনোযার হোসেনকে নির্দেশ দেন।
ভুমি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, বুধবার বিকাল ৪টার দিকে পিরাপাট বাজার এলাকায় গিয়ে অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দেওয়ার চেষ্টা করায় সুকলু মিয়া ও তার সহযোগী সহ অন্তত ৪০/৫০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে ঘিরে ধরে মারধর করে এবং জিম্মি করে অবরুদ্ধ করে। এরপর তিন শত টাকা মুল্যমানের সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেয়। খরব পেয়ে ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম একদল ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভুমি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনকে তিন ঘন্টা পর সন্ত্রাসীদের জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করে।
ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম ঘটনার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থালে গিয়ে ভুমি কর্মকর্তার স্বাক্ষর নেওয়া সাদা ষ্ট্যাম্প সহ তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে ভুমি কর্মকর্তা মামলা দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভুমি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী অফিসার খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, একজন সরকারী কর্মকর্তাকে লাঞ্চিত ও জিম্মি করে ষ্ঠ্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া দুঃখ জনক ঘটনা এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।