ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

বড় দল অংশ না নিলে ভোট অবৈধ হয় না: সিইসি

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ১০:৩৭:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১১০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, বড় বড় দল অংশ না নিলে নির্বাচন অবৈধ হয় না। নির্বাচনের ন্যায্যতা খর্ব হয়। আজ মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। সিইসি বলেন, আমরা সব সময় অংশগ্রহণমূলক (দ্বাদশ সংসদ) নির্বাচনের কথা বলেছি। জাতির উদ্দেশ্যে শেষ ভাষণেও বলেছিলাম বিএনপির জন্য সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি। ফোনে কথা বলেছি, ডিও লেটার দিয়ে আহ্বান জানিয়েছি। আহ্বানে সাড়া দেয়নি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, খুবই খুশি হতাম যদি নির্বাচনটা আরও অনেক বেশি অংশগ্রহণমূলক হতো। তাহলে ভোটার উপস্থিতি বেশি হতো। বড় বড় দল অংশ না দিলে নির্বাচন অবৈধ হয় না। তবে নির্বাচনের ন্যায্যতা, গ্রহণযোগ্যতা খর্ব হয়। সঠিক সমন্বয় ঘটাতে পারি নির্বাচন আরও সুন্দর হবে বলেও মনে করেন সিইসি। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনটা (দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন) ভালো হয়েছে কী খারাপ হয়েছে সেটা আমাদের বিবেচ্য বিষয় না। সামনে অনেকগুলো নির্বাচন আছে, উপ-নির্বাচন, সেগুলোকেও খাটো দেখার অবকাশ নেই। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, গণমাধ্যমকে সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে। সমালোচনার জায়গায় ছাড় দেওয়া যাবে না। এটিই গণমাধ্যমের ভূমিকা। সিইসি বলেন, ক্ষমতা নয়, দায়িত্বটিই আমাদের নিতে হয়। ক্ষমতা শব্দটিকে যদি আমরা পরিহার করতে পারি, তাহলে দেশে সমাজ অনেক বেশি এগিয়ে যেতে পারে। গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে লম্বা বক্তৃতা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। অনেক সময় কিন্তু রাষ্ট্রের স্তম্ভগুলো কাজ করে না, তখন সবগুলো কাজ গণমাধ্যম একাই করে সমাজকে বাঁচিয়ে রাখে। তিনি বলেন, গণমাধ্যমকে আমরা পছন্দ করি না বা ঘৃণা করি। যখন আমাদের প্রশংসা করা হয়, তখন ভালো লাগে। কিন্তু আমাকে জানতে হবে, প্রশংসা নয়, সমালোচনার জায়গায় সমালোচনা করতে হবে। সমালোচনার জায়গায় ছাড় দেওয়া যাবে না। এ সাহসী ভূমিকা গণমাধ্যমের পালন করতে হবে। এটিই গণমাধ্যমের ভূমিকা। সিইসি বলেন, আমি দেশের গণমাধ্যমের প্রতি যথেষ্ট আস্থাশীল। অনেক পেপার-পত্রিকা পড়ি, চ্যানেলগুলো দেখি- আমাদের গণমাধ্যমের ভূমিকা যে খুব নেতিবাচক, তা বলা যাবে না। আমি তখনই ক্ষুব্ধ হয়ে যাই, যখন আমার বিরুদ্ধে কিছু থাকে- এ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমার বিরুদ্ধে বা সরকারের বিরুদ্ধে থাকলেও গণমাধ্যম সাহসী ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার গুরুত্ব আছে। বিশ্বের দিকে যদি দেখি, ক্ষমতার যে শক্তি, সেই শক্তি যে কত বড় শক্তি, তা আমরা গাজায় দেখেছি। গণমাধ্যম আমাদের জাগ্রত করে রেখেছে। আমরা অনেক সময় চোখের পানিও ফেলি। গণমাধ্যম যদি ব্ল্যাকআউট করে দিত, তাহলে গাজায় কী হচ্ছে, আমরা জানতাম না। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, বস্তুনিষ্ঠতা খুব কাম্য। আরেকটি হলো অতিরঞ্জন। এটিকে আমি মন্দভাবে দেখি না। অতিরঞ্জনের মধ্যে সাহিত্যের উপাদান থাকে। কিন্তু, বিকৃত হলে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। কমিশন কতটা দায়িত্ব পালন করছে, সরকার কতটা সহায়তা করছে, কী করছে না, এগুলো প্রচার হলে সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ গড়ে ওঠে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে সিইসি বলেন, অনেক সময় এটি আদায় করে নিতে হয়। স্বাধীনতা সবসময় থাকবে না। তবে স্বাধীনভাবে কাজ করলে সবসময় চাপ আসবে, তা নয়। গণমাধ্যমের ভূমিকাকে আরও শক্তিশালী কীভাবে করা যায়, তা নিয়ে কাজ করতে হবে। উন্নত বিশ্বে শাসকদের ঠিক জায়গায় রাখতে গণমাধ্যমে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। যাদের জনপ্রিয়তা আছে, স্থানীয় জনগণের সঙ্গে যাদের নিবিড় সম্পর্ক, তারা যে দলেরই হোক না কেন তাদের সবাইকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান সিইসি। ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৪, ১১, ১৮ ও ২৫ মে চার ধাপে দেশের ৪৫২টি স্থানীয় এই সরকারের ভোটগ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে জাতীয় নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকারের সবচেয়ে বড় এই ভোটেও দলীয় প্রতীক থাকবে না বলে আলোচনা চলছে বিভিন্ন মহলে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, দলীয় প্রতীক না থাকলে এটার ভালো দিক আছে। এটা তো জাতির জন্য নয়, এলাকার জন্য। স্থানীয় সরকার ছোট একটা এলাকায় পরিচালিত হয় সীমিত ক্ষমতা নিয়ে। পাকিস্তানেও (জাতীয় নির্বাচনের ইমরান খানের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রতীকে ভোট করেছেন সম্প্রতি) বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে। দলীয় প্রতীক নিয়ে, বা ছাড়াই হোক, আমরা চাই সুন্দর হোক। তিনি বলেন, আমরা আশা করবো সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বিশিষ্টজনরা, যারা স্থানীয়দের ভালোবাসেন, জনপ্রিয়তা আছে, তারা যে দলেরই হোক, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। ভোটার উপস্থিতি স্থানীয় নির্বাচনে সব সময় অনেক বেশি। সেখানে প্রার্থীর সঙ্গে ভোটারের সম্পর্ক অনেক নিবিড়। আমরা আশা করবো আগামীতে আরও নির্বাচন হবে, স্থানীয় নির্বাচনে আপনারা (গণমাধ্যম) দৃষ্টি রাখুন। সিইসি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে নেতৃত্ব যদি শক্তিশালী না হয়, তাহলে জাতীয় পর্যায়েও নেতৃত্ব শক্তিশালী হবে না। তৃণমূলের সংস্থাগুলোয় নেতৃত্ব গড়ে তোলার প্রয়োজন আছে। সেখানেও গণমাধ্যমের ভূমিকা আছে। সেখানে গণতন্ত্র কতটা কাজ করছে, কতটা কাজ করছে না, এগুলো তুলে আনতে হবে। নির্বাচনকে যদি আরও স্বচ্ছ, উন্নত করা যায় সেটা নিয়ে আমাদের কাজ করা প্রয়োজন। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমার সহকর্মীরা চমৎকার কাজ করেছেন, একটা জেলার মধ্যে তিনটা পর্বে নির্বাচন করি, ভারতে যেমন তিন মাস ধরে হয়, আর এখানে যদি তিনটা পর্বে হয়, একই জেলায়; তাহলে একই ডিসি, একই পুলিশ সুপারের অধীনে নির্বাচন করা যায়। এটা নির্বাচনকে অনেক সহজ করে দেবে। একই জেলার মধ্যে হওয়ার কারণে প্রশাসনের জন্য এটা সহজ হয়ে যাবে। ভোটার আসছে কিনা, সহিংসতার সম্ভাবনা আছে কি-না, এমন বিষয় পর্যালোচনা করে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া যায়। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এটা প্রয়োগ হচ্ছে। এটার বেশ কিছু ক্ষেত্রে ইতিবাচক হতে পারে। নির্বাচন কমিশনের খবর সংগ্রহকারী সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি-আরএফইডির পুরোনো কমিটির দায়িত্ব হস্তান্তর ও নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অন্য নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আয়োজন সংগঠকের নেতা ও সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বড় দল অংশ না নিলে ভোট অবৈধ হয় না: সিইসি

আপডেট সময়ঃ ১০:৩৭:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, বড় বড় দল অংশ না নিলে নির্বাচন অবৈধ হয় না। নির্বাচনের ন্যায্যতা খর্ব হয়। আজ মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। সিইসি বলেন, আমরা সব সময় অংশগ্রহণমূলক (দ্বাদশ সংসদ) নির্বাচনের কথা বলেছি। জাতির উদ্দেশ্যে শেষ ভাষণেও বলেছিলাম বিএনপির জন্য সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি। ফোনে কথা বলেছি, ডিও লেটার দিয়ে আহ্বান জানিয়েছি। আহ্বানে সাড়া দেয়নি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, খুবই খুশি হতাম যদি নির্বাচনটা আরও অনেক বেশি অংশগ্রহণমূলক হতো। তাহলে ভোটার উপস্থিতি বেশি হতো। বড় বড় দল অংশ না দিলে নির্বাচন অবৈধ হয় না। তবে নির্বাচনের ন্যায্যতা, গ্রহণযোগ্যতা খর্ব হয়। সঠিক সমন্বয় ঘটাতে পারি নির্বাচন আরও সুন্দর হবে বলেও মনে করেন সিইসি। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনটা (দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন) ভালো হয়েছে কী খারাপ হয়েছে সেটা আমাদের বিবেচ্য বিষয় না। সামনে অনেকগুলো নির্বাচন আছে, উপ-নির্বাচন, সেগুলোকেও খাটো দেখার অবকাশ নেই। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, গণমাধ্যমকে সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে। সমালোচনার জায়গায় ছাড় দেওয়া যাবে না। এটিই গণমাধ্যমের ভূমিকা। সিইসি বলেন, ক্ষমতা নয়, দায়িত্বটিই আমাদের নিতে হয়। ক্ষমতা শব্দটিকে যদি আমরা পরিহার করতে পারি, তাহলে দেশে সমাজ অনেক বেশি এগিয়ে যেতে পারে। গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে লম্বা বক্তৃতা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। অনেক সময় কিন্তু রাষ্ট্রের স্তম্ভগুলো কাজ করে না, তখন সবগুলো কাজ গণমাধ্যম একাই করে সমাজকে বাঁচিয়ে রাখে। তিনি বলেন, গণমাধ্যমকে আমরা পছন্দ করি না বা ঘৃণা করি। যখন আমাদের প্রশংসা করা হয়, তখন ভালো লাগে। কিন্তু আমাকে জানতে হবে, প্রশংসা নয়, সমালোচনার জায়গায় সমালোচনা করতে হবে। সমালোচনার জায়গায় ছাড় দেওয়া যাবে না। এ সাহসী ভূমিকা গণমাধ্যমের পালন করতে হবে। এটিই গণমাধ্যমের ভূমিকা। সিইসি বলেন, আমি দেশের গণমাধ্যমের প্রতি যথেষ্ট আস্থাশীল। অনেক পেপার-পত্রিকা পড়ি, চ্যানেলগুলো দেখি- আমাদের গণমাধ্যমের ভূমিকা যে খুব নেতিবাচক, তা বলা যাবে না। আমি তখনই ক্ষুব্ধ হয়ে যাই, যখন আমার বিরুদ্ধে কিছু থাকে- এ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমার বিরুদ্ধে বা সরকারের বিরুদ্ধে থাকলেও গণমাধ্যম সাহসী ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার গুরুত্ব আছে। বিশ্বের দিকে যদি দেখি, ক্ষমতার যে শক্তি, সেই শক্তি যে কত বড় শক্তি, তা আমরা গাজায় দেখেছি। গণমাধ্যম আমাদের জাগ্রত করে রেখেছে। আমরা অনেক সময় চোখের পানিও ফেলি। গণমাধ্যম যদি ব্ল্যাকআউট করে দিত, তাহলে গাজায় কী হচ্ছে, আমরা জানতাম না। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, বস্তুনিষ্ঠতা খুব কাম্য। আরেকটি হলো অতিরঞ্জন। এটিকে আমি মন্দভাবে দেখি না। অতিরঞ্জনের মধ্যে সাহিত্যের উপাদান থাকে। কিন্তু, বিকৃত হলে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। কমিশন কতটা দায়িত্ব পালন করছে, সরকার কতটা সহায়তা করছে, কী করছে না, এগুলো প্রচার হলে সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ গড়ে ওঠে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে সিইসি বলেন, অনেক সময় এটি আদায় করে নিতে হয়। স্বাধীনতা সবসময় থাকবে না। তবে স্বাধীনভাবে কাজ করলে সবসময় চাপ আসবে, তা নয়। গণমাধ্যমের ভূমিকাকে আরও শক্তিশালী কীভাবে করা যায়, তা নিয়ে কাজ করতে হবে। উন্নত বিশ্বে শাসকদের ঠিক জায়গায় রাখতে গণমাধ্যমে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। যাদের জনপ্রিয়তা আছে, স্থানীয় জনগণের সঙ্গে যাদের নিবিড় সম্পর্ক, তারা যে দলেরই হোক না কেন তাদের সবাইকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান সিইসি। ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৪, ১১, ১৮ ও ২৫ মে চার ধাপে দেশের ৪৫২টি স্থানীয় এই সরকারের ভোটগ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে জাতীয় নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকারের সবচেয়ে বড় এই ভোটেও দলীয় প্রতীক থাকবে না বলে আলোচনা চলছে বিভিন্ন মহলে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, দলীয় প্রতীক না থাকলে এটার ভালো দিক আছে। এটা তো জাতির জন্য নয়, এলাকার জন্য। স্থানীয় সরকার ছোট একটা এলাকায় পরিচালিত হয় সীমিত ক্ষমতা নিয়ে। পাকিস্তানেও (জাতীয় নির্বাচনের ইমরান খানের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রতীকে ভোট করেছেন সম্প্রতি) বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে। দলীয় প্রতীক নিয়ে, বা ছাড়াই হোক, আমরা চাই সুন্দর হোক। তিনি বলেন, আমরা আশা করবো সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বিশিষ্টজনরা, যারা স্থানীয়দের ভালোবাসেন, জনপ্রিয়তা আছে, তারা যে দলেরই হোক, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। ভোটার উপস্থিতি স্থানীয় নির্বাচনে সব সময় অনেক বেশি। সেখানে প্রার্থীর সঙ্গে ভোটারের সম্পর্ক অনেক নিবিড়। আমরা আশা করবো আগামীতে আরও নির্বাচন হবে, স্থানীয় নির্বাচনে আপনারা (গণমাধ্যম) দৃষ্টি রাখুন। সিইসি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে নেতৃত্ব যদি শক্তিশালী না হয়, তাহলে জাতীয় পর্যায়েও নেতৃত্ব শক্তিশালী হবে না। তৃণমূলের সংস্থাগুলোয় নেতৃত্ব গড়ে তোলার প্রয়োজন আছে। সেখানেও গণমাধ্যমের ভূমিকা আছে। সেখানে গণতন্ত্র কতটা কাজ করছে, কতটা কাজ করছে না, এগুলো তুলে আনতে হবে। নির্বাচনকে যদি আরও স্বচ্ছ, উন্নত করা যায় সেটা নিয়ে আমাদের কাজ করা প্রয়োজন। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমার সহকর্মীরা চমৎকার কাজ করেছেন, একটা জেলার মধ্যে তিনটা পর্বে নির্বাচন করি, ভারতে যেমন তিন মাস ধরে হয়, আর এখানে যদি তিনটা পর্বে হয়, একই জেলায়; তাহলে একই ডিসি, একই পুলিশ সুপারের অধীনে নির্বাচন করা যায়। এটা নির্বাচনকে অনেক সহজ করে দেবে। একই জেলার মধ্যে হওয়ার কারণে প্রশাসনের জন্য এটা সহজ হয়ে যাবে। ভোটার আসছে কিনা, সহিংসতার সম্ভাবনা আছে কি-না, এমন বিষয় পর্যালোচনা করে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া যায়। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এটা প্রয়োগ হচ্ছে। এটার বেশ কিছু ক্ষেত্রে ইতিবাচক হতে পারে। নির্বাচন কমিশনের খবর সংগ্রহকারী সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি-আরএফইডির পুরোনো কমিটির দায়িত্ব হস্তান্তর ও নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অন্য নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আয়োজন সংগঠকের নেতা ও সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।