বরগুনায় ভুয়া কাজি সেজে রিট, জরিমানা করলেন হাইকোর্ট

- আপডেট সময়ঃ ০৮:০১:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩
- / ১৫৩ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার দাবি করা রফরফের নিয়োগপত্র ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে এ টাকা সুপ্রিম কোর্টের কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ওইদিন মামলাটি পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন আদালত। হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ গত বুধবার এ আদেশ দেন। আজ শনিবার আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। আদালতে ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। রফরফের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম। রিটের বিষয়ে তুষার কান্তি রায় জানান, ২০২০ সালের ৪ এপ্রিল মো. ইব্রাহিমকে পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) হিসেবে নিয়োগ দেয় আইন মন্ত্রণালয়। মো. ইব্রাহিমের নিকাহ রেজিস্ট্রারের নিয়োগপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন রফরফ। রিটে তিনি নিজেকে প্রকৃত নিকাহ রেজিস্ট্রার দাবি করেন। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ইব্রাহিমের নিয়োগ স্থগিত করে আদেশ দেন। পরে মো. ইব্রাহিম এ রিটে পক্ষভুক্ত হন এবং স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, রফরফের নিয়োগপত্র জাল/ভুয়া। দেখা গেছে, ২০২০ সালের ৭ জুলাই আইন মন্ত্রণালয় থেকে রফরফকেও নিকাহ রেজিস্ট্রারের নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয়। রিট শুনানির একপর্যায়ে ২০২২ সালের ২৬ জুলাই কার নিয়োগ বৈধ সেটি যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট কোর্টের দায়িত্বরত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়কে তদন্তের নির্দেশ দেন। খোঁজ-খবর নিয়ে তদন্ত শেষ করে তুষার কান্তি রায় প্রতিবেদন জমা দেন হাইকোর্টে। ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট হাইকোর্টে দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়, রফরফের নিয়োগপত্রে সই করা আইন মন্ত্রণালয়ের ওই সময়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আনোয়ারুল হক ও আইন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখার বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী সচিব মুরাদ জাহান চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা করে জানা যায়, তার নিয়োগপত্র ভুয়া ও বানোয়াট। এ ধরনের কোনো চিঠি এ দপ্তর থেকে কখনো ইস্যু করা হয়নি। রফরফ নিজে অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য তৈরি করেছেন। আদালতের সময় নষ্ট করায় তাকে আপাতত ২০ হাজার টাকা জমা দিতে বলেছেন হাইকোর্ট। এর পরে আরও শুনানির জন্য আগামী ১৩ মার্চ পরবর্তী দিন ঠিক করেন আদালত।