ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ | ই-পেপার

বাংলাদেশের উন্নয়ন ও মানবিক প্রচেষ্টায় জার্মানির সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:২৮:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৮ বার পড়া হয়েছে

জার্মানি বাংলাদেশের উন্নয়ন ও মানবিক অগ্রাধিকারগুলিতে সহযোগিতার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুর্নব্যক্ত করেছে।

অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন বিষয়ক জার্মান ভাইস মিনিস্টার জোহান সাতফ দু’দিনের ঢাকা সফরের শেষ দিন মঙ্গলবার এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

বুধবার জার্মান দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

উচ্চ পর্যায়ের এই সফরে তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ এবং একটি প্রতিনিধিদল। বাংলাদেশের সঙ্গে জার্মানির টেকসই উন্নয়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে গভীর সহযোগিতার প্রতি জোর দিয়েছেন সফররত প্রতিনিধিরা।

সফরকালে সাতফ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকিসহ সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ এবং জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক অংশীদার ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন ।

এসব বৈঠকে মূলত জলবায়ু ও জ্বালানি, সুশাসন এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করা নিয়ে আলোচনা হয়।

জোহান সাতফ রাষ্ট্রদূত লোটজকে সাথে নিয়ে কক্সবাজারও সফর করেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় নেওয়া চলমান উদ্যোগগুলো পর্যালোচনার লক্ষ্যে ইউনিসেফ ও স্থানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

সফরটি বাংলাদেশের মানবিক ও উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জার্মানীর অব্যাহত সমর্থনেরই প্রতিফলন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

সাতফ বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য স্থায়ী সমাধান খুঁজতে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সমর্থন করতে দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তার দেশ।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা জনগণের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে এবং মর্যাদার সঙ্গে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সুযোগ থাকা উচিত। তবে এর জন্য মিয়ানমারে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা অপরিহার্য। সেটি না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ, রোহিঙ্গা শরণার্থী ও হোস্ট কমিউনিটিকে যারা সহায়তা করছে আমরা তাদের পাশে থাকব।

জার্মানী বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগিতার অন্যতম প্রধান অংশীদার। যেখানে টেকসই অর্থনৈতিক পরিবর্তন, জলবায়ু সহনশীলতা এবং সামাজিক অন্তর্ভুক্তির ওপর জোর দেওয়া হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই সফর দু’দেশের দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করেছে, যা পারস্পরিক মূল্যবোধ ও শ্রদ্ধা এবং টেকসই অগ্রগতি ও মানবিক দায়িত্বের প্রতি যৌথ অঙ্গীকারের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশের উন্নয়ন ও মানবিক প্রচেষ্টায় জার্মানির সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত

আপডেট সময়ঃ ০৬:২৮:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

জার্মানি বাংলাদেশের উন্নয়ন ও মানবিক অগ্রাধিকারগুলিতে সহযোগিতার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুর্নব্যক্ত করেছে।

অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন বিষয়ক জার্মান ভাইস মিনিস্টার জোহান সাতফ দু’দিনের ঢাকা সফরের শেষ দিন মঙ্গলবার এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

বুধবার জার্মান দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

উচ্চ পর্যায়ের এই সফরে তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ এবং একটি প্রতিনিধিদল। বাংলাদেশের সঙ্গে জার্মানির টেকসই উন্নয়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে গভীর সহযোগিতার প্রতি জোর দিয়েছেন সফররত প্রতিনিধিরা।

সফরকালে সাতফ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকিসহ সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ এবং জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক অংশীদার ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন ।

এসব বৈঠকে মূলত জলবায়ু ও জ্বালানি, সুশাসন এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করা নিয়ে আলোচনা হয়।

জোহান সাতফ রাষ্ট্রদূত লোটজকে সাথে নিয়ে কক্সবাজারও সফর করেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় নেওয়া চলমান উদ্যোগগুলো পর্যালোচনার লক্ষ্যে ইউনিসেফ ও স্থানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

সফরটি বাংলাদেশের মানবিক ও উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জার্মানীর অব্যাহত সমর্থনেরই প্রতিফলন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

সাতফ বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য স্থায়ী সমাধান খুঁজতে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সমর্থন করতে দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তার দেশ।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা জনগণের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে এবং মর্যাদার সঙ্গে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সুযোগ থাকা উচিত। তবে এর জন্য মিয়ানমারে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা অপরিহার্য। সেটি না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ, রোহিঙ্গা শরণার্থী ও হোস্ট কমিউনিটিকে যারা সহায়তা করছে আমরা তাদের পাশে থাকব।

জার্মানী বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগিতার অন্যতম প্রধান অংশীদার। যেখানে টেকসই অর্থনৈতিক পরিবর্তন, জলবায়ু সহনশীলতা এবং সামাজিক অন্তর্ভুক্তির ওপর জোর দেওয়া হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই সফর দু’দেশের দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করেছে, যা পারস্পরিক মূল্যবোধ ও শ্রদ্ধা এবং টেকসই অগ্রগতি ও মানবিক দায়িত্বের প্রতি যৌথ অঙ্গীকারের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।