০৪:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫ | ই-পেপার

বান্দরবানে বৈষম্যহীন নিয়োগ দানের দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন

পার্বত্য জেলা পরিষদে সরকারী কর্মচারী নিয়োগে সকল সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা অনুপাতে বৈষম্যহীন নিয়োগ প্রদানের দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।

রবিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের জেলা পিসিএনপি এর কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মো: মজিবর রহমান।

এসময় তিনি বলেন, গত ৬ অক্টোবর সকালে ৪ হাজার পরীক্ষার্থী চাকুরীর লিখিত পরীক্ষা দেয়ারপর ওইদিনই সবার পরীক্ষার মূল্যায়ণ করে তড়িগড়ি করে রেজাল্ট প্রকাশ করা হয় এবং এতে অধিকাংশই পাহাড়ীরা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। মারমা ছাড়া ও অন্যান্য যে সকল সম্প্রদায় আছে ওদের মাঝে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি।

এটি অসম্ভব বলে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, কোন ভাবেই একদিনে ৪ হাজার পরীক্ষার্থীর খাতা মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়। পাহাড়ী ৫০ ভাগ ও বাঙ্গালী ৫০ ভাগ চাকুরী দেবার বিধান থাকলেও কোটা না মেনে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বৈষম্যহীনভাবে শুধুমাত্র পাহাড়ীদের নিয়োগ দিতে লিখিত পরীক্ষাতেই বাঙ্গালীদের বাদ দেয়া হচ্ছে।

আমরা ন্যায় বিচার চাই, সমতার ভিত্তিতে নিয়োগ চাই, নতুবা সামনে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে। এসময় তিনি সবকিছু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবীও তুলেন বর্তমান সরকারের কাছে।

এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কালাম, সেক্রেটারী নাসির উদ্দিনসহ বান্দরবান জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভাগাড়সহ কোনো স্থানেই ময়লা পোড়ানো যাবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা

বান্দরবানে বৈষম্যহীন নিয়োগ দানের দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন

আপডেট সময়ঃ ০৬:২৪:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩

পার্বত্য জেলা পরিষদে সরকারী কর্মচারী নিয়োগে সকল সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা অনুপাতে বৈষম্যহীন নিয়োগ প্রদানের দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।

রবিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের জেলা পিসিএনপি এর কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মো: মজিবর রহমান।

এসময় তিনি বলেন, গত ৬ অক্টোবর সকালে ৪ হাজার পরীক্ষার্থী চাকুরীর লিখিত পরীক্ষা দেয়ারপর ওইদিনই সবার পরীক্ষার মূল্যায়ণ করে তড়িগড়ি করে রেজাল্ট প্রকাশ করা হয় এবং এতে অধিকাংশই পাহাড়ীরা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। মারমা ছাড়া ও অন্যান্য যে সকল সম্প্রদায় আছে ওদের মাঝে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি।

এটি অসম্ভব বলে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, কোন ভাবেই একদিনে ৪ হাজার পরীক্ষার্থীর খাতা মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়। পাহাড়ী ৫০ ভাগ ও বাঙ্গালী ৫০ ভাগ চাকুরী দেবার বিধান থাকলেও কোটা না মেনে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বৈষম্যহীনভাবে শুধুমাত্র পাহাড়ীদের নিয়োগ দিতে লিখিত পরীক্ষাতেই বাঙ্গালীদের বাদ দেয়া হচ্ছে।

আমরা ন্যায় বিচার চাই, সমতার ভিত্তিতে নিয়োগ চাই, নতুবা সামনে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে। এসময় তিনি সবকিছু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবীও তুলেন বর্তমান সরকারের কাছে।

এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কালাম, সেক্রেটারী নাসির উদ্দিনসহ বান্দরবান জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।