১০:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫ | ই-পেপার

বান্দরবানে সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগে মামলা

মোঃ জুয়েল হোসাইন :
বান্দরবানে নাইক্ষংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিব উল্লাহসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেছে এক ভুক্তভোগী নারী। মামলার বিষয়ে গত শুক্রবার (২৭ মে) বাদী পক্ষের আইনজীবী উবাথোয়াই মারমা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আইনজীবী ও মামলা সুত্রে জানা যায়, বাদিনীর নিজ জায়গায় গাছের চারা লাগাতে গেলে চেয়ারম্যান ও তার বাহিনীর লোকজন বাঁধা দেয় এবং তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন বলে জানায়! গত ১৪ মে শনিবার সকালে অপরিচিত লোক এসে খবর দেয় নালিশকারীনির ভাই ও ছেলেকে অপহরণ করে দোছড়ি খইয়াতলি পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই খবর পেয়ে নালিশকারীনির তিন বোনসহ উক্ত স্থানে গেলে চেয়ারম্যান দলবলে ঘেরাও করে কাপড় চোপর ছিঁড়ে শরীরের স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানী ও মেরে মাথা থেঁতলে দেয় এবং পা ভেঙ্গে দেয়। এই বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় অভিযোগ করতে গেলে ওসি আদালতের মামলায় করিতে পরামর্শ দেয়। চিকিৎসা শেষে ২৫ মে বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে অভিযোগ দায়ের করিলে আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে বান্দরবান টুরিস্ট পুলিশকে তদন্তের করার জন্য নির্দেশ দেন বিচারক মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সিদ্দিক ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক চেয়ারম্যান হাবিব উল্লাহ জানান, উক্ত ঘটনার দিন সকাল ৯ টা থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা কর্মকর্তা নান্টু সাহার কক্ষে অবস্থান ছিল তার। বাদীর অভিযোগ সত্য না হওয়ায় থানা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করেনি। ষড়যন্ত্র মূলক তাকে হয়রানী করার জন্য মামলায় দায়ের করেছে বাদীনি। নাইক্ষ্যংছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নান্টু সাহার নিকট উক্ত হাবিব উল্লাহর বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি চট্টগ্রাম নিউজকে বলেন, হাবিব উল্লাহ ঐ দিন থানায় অবস্থানের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা,তিনি ঐদিন দুপুরে থানায় এসেছিলেন।
মামলার আসামী হাবীব উল্লাহ” র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন মামলার বাদী ও স্বাক্ষীগন পরস্পর যোগসাজসে তার বিরুদ্ধে মিথ্যামামলা দায়ের করেছেন। মামলার বাদীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বান্দরবান চীফ জুডিডিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা চলমান ও আছে বলে! হাবীব উল্লাহ আরো বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা দোছড়ি ইউনিয়নে একটানা ২৫বছর চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি খারাপ হলে কি করে এতো বছর চেয়ারম্যান ছিলেন? তাই তার বিরুদ্ধে এই মামলা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। নারী ও শিশু নির্যাতনদমন ট্রাইবুনাল আদালতের পিপি এ্যাডভোকেট বাসিং থোয়াই মার্মা মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং আদালত ট্যুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানায়। ট্যুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মামলার ব্যাপারে শুনেছি কিন্তু এখনো আদালতের নির্দেশ বা মামলার নথি পাননি। পেলে আদলতের নির্দেশ মোতাবেক সুনির্দিষ্ট ভাবেই তদন্ত করবে বলে জানান তিনি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভাগাড়সহ কোনো স্থানেই ময়লা পোড়ানো যাবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা

বান্দরবানে সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগে মামলা

আপডেট সময়ঃ ০৭:৫৩:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ মে ২০২২

মোঃ জুয়েল হোসাইন :
বান্দরবানে নাইক্ষংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিব উল্লাহসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেছে এক ভুক্তভোগী নারী। মামলার বিষয়ে গত শুক্রবার (২৭ মে) বাদী পক্ষের আইনজীবী উবাথোয়াই মারমা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আইনজীবী ও মামলা সুত্রে জানা যায়, বাদিনীর নিজ জায়গায় গাছের চারা লাগাতে গেলে চেয়ারম্যান ও তার বাহিনীর লোকজন বাঁধা দেয় এবং তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন বলে জানায়! গত ১৪ মে শনিবার সকালে অপরিচিত লোক এসে খবর দেয় নালিশকারীনির ভাই ও ছেলেকে অপহরণ করে দোছড়ি খইয়াতলি পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই খবর পেয়ে নালিশকারীনির তিন বোনসহ উক্ত স্থানে গেলে চেয়ারম্যান দলবলে ঘেরাও করে কাপড় চোপর ছিঁড়ে শরীরের স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানী ও মেরে মাথা থেঁতলে দেয় এবং পা ভেঙ্গে দেয়। এই বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় অভিযোগ করতে গেলে ওসি আদালতের মামলায় করিতে পরামর্শ দেয়। চিকিৎসা শেষে ২৫ মে বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে অভিযোগ দায়ের করিলে আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে বান্দরবান টুরিস্ট পুলিশকে তদন্তের করার জন্য নির্দেশ দেন বিচারক মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সিদ্দিক ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক চেয়ারম্যান হাবিব উল্লাহ জানান, উক্ত ঘটনার দিন সকাল ৯ টা থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা কর্মকর্তা নান্টু সাহার কক্ষে অবস্থান ছিল তার। বাদীর অভিযোগ সত্য না হওয়ায় থানা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করেনি। ষড়যন্ত্র মূলক তাকে হয়রানী করার জন্য মামলায় দায়ের করেছে বাদীনি। নাইক্ষ্যংছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নান্টু সাহার নিকট উক্ত হাবিব উল্লাহর বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি চট্টগ্রাম নিউজকে বলেন, হাবিব উল্লাহ ঐ দিন থানায় অবস্থানের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা,তিনি ঐদিন দুপুরে থানায় এসেছিলেন।
মামলার আসামী হাবীব উল্লাহ” র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন মামলার বাদী ও স্বাক্ষীগন পরস্পর যোগসাজসে তার বিরুদ্ধে মিথ্যামামলা দায়ের করেছেন। মামলার বাদীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বান্দরবান চীফ জুডিডিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা চলমান ও আছে বলে! হাবীব উল্লাহ আরো বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা দোছড়ি ইউনিয়নে একটানা ২৫বছর চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি খারাপ হলে কি করে এতো বছর চেয়ারম্যান ছিলেন? তাই তার বিরুদ্ধে এই মামলা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। নারী ও শিশু নির্যাতনদমন ট্রাইবুনাল আদালতের পিপি এ্যাডভোকেট বাসিং থোয়াই মার্মা মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং আদালত ট্যুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানায়। ট্যুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মামলার ব্যাপারে শুনেছি কিন্তু এখনো আদালতের নির্দেশ বা মামলার নথি পাননি। পেলে আদলতের নির্দেশ মোতাবেক সুনির্দিষ্ট ভাবেই তদন্ত করবে বলে জানান তিনি।