ঢাকা, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

বিএনপি উসকানি দিয়ে লাশ ফেলতে চায়: কাদের

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৮:৫৪:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২
  • / ১২৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি উসকানি দিয়ে লাশ ফেলতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। খুলনার জনসভায় দলটি চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের জড়ো করেছে দাবি করে তিনি বলেন, এখন তাদের উদ্দেশ্য হলো একটা ঘটনা ঘটানো, তাদের উদ্দেশ্য হলো তারা লাশ ফেলতে চায়। লাশ ফেলে আন্দোলন জমাতে চায়। কিন্তু তাদের এই উদ্দেশ্য আমরা সফল হতে দেবো না। আমরা কোনো প্রকাশ উসকানি দেবো না। আজ শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে নিরাপদ সড়ক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। আওয়ামী লীগ কোনো উসকানি দেবে না দাবি করে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা যা বলছি রাজনৈতিকভাবে বলছি। আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে চাই। আর তারা যদি তাদের ২০১৩/১৪ সালের মতো সহিংসতার অবস্থানে আসে, ১৩/১৪ সাল? এখন ২০২২ সাল। এখানে উদ্ভূত পরিস্থিতি যেভাবে মোকাবিলা করতে হয় তার সমুচিত জবাব আমরা দেবো। কোনো নেতাকর্মী আহত-নিহত হলে এর দায় সরকারকে নিতে হবে- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাব দিয়ে তিনি বলেন, এখন তারা যদি উসকানি দিয়ে লাশ ফেলতে চায়, এখানে সরকার দায় নেবে না। বিএনপি রাজপথ দখলে নিয়েছে বলে যে দাবি করেছে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজপথ, সেটা রাজধানী ঢাকার রাজপথে সময় হলে দেখা যাবে। আমি তো তাদের বলেছি, আপনারা খেলতে চান? আসুন মাঠে। রাজপথ আমরা কাউকে ইজারা দেই নাই। তিনি বলেন, ডিসেম্বরের রাজপথের চেতনা আমরা ধারণ করি। বিজয়ের চেতনা বিএনপির নেই। কাজেই রাজপথের যে মোকাবিলা, বিএনপির এখানে চ্যালেঞ্জ করার কোনো কিছু নেই। ডিসেম্বর মাস আসুক, আমরা ক্ষমতায় আছি। আমরা হুট করে মাথা গরম করবো এটা উচিত নয়। আওয়ামী লীগ সরকার দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশটা শান্তিতে থাকুক, মানুষ স্বস্তিতে থাকুক, সেটাই আমরা চাই। আমরা চাই না দেশে অশান্তি হোক, বিশৃঙ্খলা হোক। সেটা তো ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আমাদেরই ক্ষতি। তিনি বলেন, আমরা ক্ষতিটা কেন গায়ে পড়ে ডেকে আনবো? আমরা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি। তারা এখন লাঠির সঙ্গে জাতীয় পতাকা নিয়ে এলো, ভয় দেখাচ্ছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, সেতু নির্মাণে ১১০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে জাপানিদের হাতে। তবে চুরি চামারিও আছে, এটা অভ্যাস, চলতেই থাকবে। এদের কত টাকা দরকার, কত অর্থ, কত সম্পদের দরকার। রাস্তা করি, বৃষ্টি হলে রাস্তা নেই, টাকা কোথায় যায়। এ টাকা সরকারের টাকা, জনগণের ট্যাক্সের টাকা। সচিব সাহেব, এই মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতিবাজ থাকবে না, দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করুক। যেখানে দুর্নীতি হয়, সেখানে তদন্ত করতে হবে। ওবায়দুল কাদের এ সময় নিজে কোনো পার্সেন্টেজ নেননি দাবি করে বলেন, শেখ হাসিনার মতো সৎ নেতা চাই। তার মতো সততা, ভালো মানুষ পঁচাত্তরের পরে একজনও আসেনি। কয়জন জনপ্রতিনিধি জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন, কয়জন পকেটের উন্নয়ন করেন সে হিসাব দিতে হবে। শেখ হাসিনা নিজে সৎ থাকবেন অন্য পকেটের উন্নয়ন করবে সেটা হবে না। এতো বছরেও আইন (সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮) বাস্তবে আলোর মুখ দেখেনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সড়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের বলেন, গতবারের প্রত্যাশা ছিল দুর্ঘটনা, যানজট ও মোটরসাইকেলের উপদ্রব কমানোর। এই ঢাকা শহরে এখন আর হেলমেট ছাড়া কোনো যাত্রী দেখি না, রাস্তায় যারা হেলমেট ছাড়া চলে তারা পলিটিক্সের লোক। পলিটিক্স ঠিক না হলে কিছু ঠিক হবে না। রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্য সেতু মন্ত্রী বলেন, মানুষের অসুবিধা করে রং সাইডে যাবেন, আপনি কী নেতা, কেমন রাজনীতিবিদ? আপনাদের দিয়ে জনগণের কী কাজে আসবে? শৃঙ্খলা না থাকলে সাফল্য ম্লান হয়ে যাবে। সড়কে শৃঙ্খলা আনতে হবে। আগের সচিবকেও বলেছি, এদেরকে নিয়মের মধ্যে আনতে হবে। নীতিমালা করলে হবে না, নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে। ঢাকা-চট্রগ্রাম(মহাসড়ক) খারাপ হতে চলেছে। সড়ক পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, আগামী বছর মাপবো, এবারের প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তি কতটুকু হলো। সবাইকে অন্তত একটি দায়িত্ব পালন করতে হবে। আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকারী সভাপতি শাহজাহান খান বলেন, নিরাপদ সড়ক দিবস আরও কয়েকদিন ধরে উদযাপন প্রয়োজন যাতে শ্রমিকরা জানতে পারে, সচেতন হতে পারে। মিশুক মনির নিহত হওয়ার দিন, চট্টগ্রাম ৪৫ ছাত্রের মৃত্যুর দিন, সচিব রাজিয়া দুর্ঘটনায় নিহতের দিনগুলোতে নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন করতে হবে। খুলনার বিএনপির সমাবেশে গাড়ি চলাচল বন্ধ নিয়ে বলেন, শ্রমিক ফেডারেশন কখনো ধর্মঘট ডাকে না। গত ১২ বছরে ডাকে নাই। এটা বিএনপি একসময় শুরু করেছিল। সড়ক পরিবহন ও সেতু সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকারী সভাপতি শাজাহান খান, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গা, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী ও নিরাপদ সড়ক চাই- এর সভাপতি অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন বক্তব্য রাখেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএনপি উসকানি দিয়ে লাশ ফেলতে চায়: কাদের

আপডেট সময়ঃ ০৮:৫৪:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি উসকানি দিয়ে লাশ ফেলতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। খুলনার জনসভায় দলটি চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের জড়ো করেছে দাবি করে তিনি বলেন, এখন তাদের উদ্দেশ্য হলো একটা ঘটনা ঘটানো, তাদের উদ্দেশ্য হলো তারা লাশ ফেলতে চায়। লাশ ফেলে আন্দোলন জমাতে চায়। কিন্তু তাদের এই উদ্দেশ্য আমরা সফল হতে দেবো না। আমরা কোনো প্রকাশ উসকানি দেবো না। আজ শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে নিরাপদ সড়ক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। আওয়ামী লীগ কোনো উসকানি দেবে না দাবি করে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা যা বলছি রাজনৈতিকভাবে বলছি। আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে চাই। আর তারা যদি তাদের ২০১৩/১৪ সালের মতো সহিংসতার অবস্থানে আসে, ১৩/১৪ সাল? এখন ২০২২ সাল। এখানে উদ্ভূত পরিস্থিতি যেভাবে মোকাবিলা করতে হয় তার সমুচিত জবাব আমরা দেবো। কোনো নেতাকর্মী আহত-নিহত হলে এর দায় সরকারকে নিতে হবে- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাব দিয়ে তিনি বলেন, এখন তারা যদি উসকানি দিয়ে লাশ ফেলতে চায়, এখানে সরকার দায় নেবে না। বিএনপি রাজপথ দখলে নিয়েছে বলে যে দাবি করেছে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজপথ, সেটা রাজধানী ঢাকার রাজপথে সময় হলে দেখা যাবে। আমি তো তাদের বলেছি, আপনারা খেলতে চান? আসুন মাঠে। রাজপথ আমরা কাউকে ইজারা দেই নাই। তিনি বলেন, ডিসেম্বরের রাজপথের চেতনা আমরা ধারণ করি। বিজয়ের চেতনা বিএনপির নেই। কাজেই রাজপথের যে মোকাবিলা, বিএনপির এখানে চ্যালেঞ্জ করার কোনো কিছু নেই। ডিসেম্বর মাস আসুক, আমরা ক্ষমতায় আছি। আমরা হুট করে মাথা গরম করবো এটা উচিত নয়। আওয়ামী লীগ সরকার দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশটা শান্তিতে থাকুক, মানুষ স্বস্তিতে থাকুক, সেটাই আমরা চাই। আমরা চাই না দেশে অশান্তি হোক, বিশৃঙ্খলা হোক। সেটা তো ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আমাদেরই ক্ষতি। তিনি বলেন, আমরা ক্ষতিটা কেন গায়ে পড়ে ডেকে আনবো? আমরা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি। তারা এখন লাঠির সঙ্গে জাতীয় পতাকা নিয়ে এলো, ভয় দেখাচ্ছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, সেতু নির্মাণে ১১০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে জাপানিদের হাতে। তবে চুরি চামারিও আছে, এটা অভ্যাস, চলতেই থাকবে। এদের কত টাকা দরকার, কত অর্থ, কত সম্পদের দরকার। রাস্তা করি, বৃষ্টি হলে রাস্তা নেই, টাকা কোথায় যায়। এ টাকা সরকারের টাকা, জনগণের ট্যাক্সের টাকা। সচিব সাহেব, এই মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতিবাজ থাকবে না, দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করুক। যেখানে দুর্নীতি হয়, সেখানে তদন্ত করতে হবে। ওবায়দুল কাদের এ সময় নিজে কোনো পার্সেন্টেজ নেননি দাবি করে বলেন, শেখ হাসিনার মতো সৎ নেতা চাই। তার মতো সততা, ভালো মানুষ পঁচাত্তরের পরে একজনও আসেনি। কয়জন জনপ্রতিনিধি জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন, কয়জন পকেটের উন্নয়ন করেন সে হিসাব দিতে হবে। শেখ হাসিনা নিজে সৎ থাকবেন অন্য পকেটের উন্নয়ন করবে সেটা হবে না। এতো বছরেও আইন (সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮) বাস্তবে আলোর মুখ দেখেনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সড়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের বলেন, গতবারের প্রত্যাশা ছিল দুর্ঘটনা, যানজট ও মোটরসাইকেলের উপদ্রব কমানোর। এই ঢাকা শহরে এখন আর হেলমেট ছাড়া কোনো যাত্রী দেখি না, রাস্তায় যারা হেলমেট ছাড়া চলে তারা পলিটিক্সের লোক। পলিটিক্স ঠিক না হলে কিছু ঠিক হবে না। রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্য সেতু মন্ত্রী বলেন, মানুষের অসুবিধা করে রং সাইডে যাবেন, আপনি কী নেতা, কেমন রাজনীতিবিদ? আপনাদের দিয়ে জনগণের কী কাজে আসবে? শৃঙ্খলা না থাকলে সাফল্য ম্লান হয়ে যাবে। সড়কে শৃঙ্খলা আনতে হবে। আগের সচিবকেও বলেছি, এদেরকে নিয়মের মধ্যে আনতে হবে। নীতিমালা করলে হবে না, নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে। ঢাকা-চট্রগ্রাম(মহাসড়ক) খারাপ হতে চলেছে। সড়ক পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, আগামী বছর মাপবো, এবারের প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তি কতটুকু হলো। সবাইকে অন্তত একটি দায়িত্ব পালন করতে হবে। আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকারী সভাপতি শাহজাহান খান বলেন, নিরাপদ সড়ক দিবস আরও কয়েকদিন ধরে উদযাপন প্রয়োজন যাতে শ্রমিকরা জানতে পারে, সচেতন হতে পারে। মিশুক মনির নিহত হওয়ার দিন, চট্টগ্রাম ৪৫ ছাত্রের মৃত্যুর দিন, সচিব রাজিয়া দুর্ঘটনায় নিহতের দিনগুলোতে নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন করতে হবে। খুলনার বিএনপির সমাবেশে গাড়ি চলাচল বন্ধ নিয়ে বলেন, শ্রমিক ফেডারেশন কখনো ধর্মঘট ডাকে না। গত ১২ বছরে ডাকে নাই। এটা বিএনপি একসময় শুরু করেছিল। সড়ক পরিবহন ও সেতু সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকারী সভাপতি শাজাহান খান, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গা, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী ও নিরাপদ সড়ক চাই- এর সভাপতি অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন বক্তব্য রাখেন।