ঢাকা, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

বিচারকের সই জাল: দুই পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ৩ জুলাই

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৯:৫০:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪
  • / ৮৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শেখ সাদীর সই জাল করার অভিযোগের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত। ওই দুই পুলিশ সদস্য হলেন- আদালতের মোটরযান শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ ও পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফুয়াদ উদ্দিন এবং একই শাখার কনস্টেবল আবু মুসা। আজ রোববার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই সাইফুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিল করেননি। এজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩ জুলাই ধার্য করেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, লাইসেন্স না থাকায় দুটি গাড়ির (ঢাকা মেট্রো-ল ২ ৫৫ ৮২২০ এবং ঢাকা মেট্রো- ল ৩৪ ০৯১৮) চালককে জরিমানা করে ট্রাফিক পুলিশ। জরিমানার টাকা না দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে নন এফআইআর পৃথক দুই মামলা আদালতে প্রেরণ করা হয়। এরপর আদালত দুই চালকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে পরোয়ানা ফেরতের কাগজে বিচারকের সই জাল করেন এসআই ফুয়াদ উদ্দিন ও কনস্টেবল আবু মুসা। এ ঘটনা জানাজানি হলে তারা পালিয়ে যান। এই দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন সিএমএম আদালত-১০ এর বেঞ্চ সহকারী ইমরান হোসেন। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে কমিশনার বরাবর লিখিত দেয় আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগ। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘আমরা স্যারের (মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শেখ সাদী) ১০ নম্বর আদালতের পাশাপাশি মোটরযান সম্পর্কিত মামলা পরিচালনার দায়িত্বে থাকি। ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে আদালতের মোটরযান শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ এসআই ফুয়াদ উদ্দিন নন এফআইআর দুটি মামলা বিচারকের কাছে উপস্থাপন করেন।’ ‘পরে মামলা দুটির আসামি না থাকায় বিচারক কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেননি। পরে বিচারক জানতে পারেন যে, মামলা দুটির জব্দ করা আলামত এসআই ফুয়াদ ও মোটরযান শাখার জিআরও আবু মুসা অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে পরোয়ানা ফেরত কাগজে ম্যাজিস্ট্রেট স্যারের সইয়ের জায়গায় নিজেরাই সই দিয়ে আসামিদের দেন।’ এজাহারে আরও বলা হয়, মামলার নথিতে বিচারকের কোনো সই নেই এবং কোনো জরিমানা করেননি। এরইমধ্যে বিচারক জানতে পারেন যে, ফুয়াদ উদ্দিন ও মো. আবু মুসা দীর্ঘদিন ধরে বিচারকের সই জাল করে একই ধরনের অপরাধ করে আসছেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বিচারকের সই জাল: দুই পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ৩ জুলাই

আপডেট সময়ঃ ০৯:৫০:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :
দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শেখ সাদীর সই জাল করার অভিযোগের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত। ওই দুই পুলিশ সদস্য হলেন- আদালতের মোটরযান শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ ও পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফুয়াদ উদ্দিন এবং একই শাখার কনস্টেবল আবু মুসা। আজ রোববার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই সাইফুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিল করেননি। এজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩ জুলাই ধার্য করেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, লাইসেন্স না থাকায় দুটি গাড়ির (ঢাকা মেট্রো-ল ২ ৫৫ ৮২২০ এবং ঢাকা মেট্রো- ল ৩৪ ০৯১৮) চালককে জরিমানা করে ট্রাফিক পুলিশ। জরিমানার টাকা না দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে নন এফআইআর পৃথক দুই মামলা আদালতে প্রেরণ করা হয়। এরপর আদালত দুই চালকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে পরোয়ানা ফেরতের কাগজে বিচারকের সই জাল করেন এসআই ফুয়াদ উদ্দিন ও কনস্টেবল আবু মুসা। এ ঘটনা জানাজানি হলে তারা পালিয়ে যান। এই দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন সিএমএম আদালত-১০ এর বেঞ্চ সহকারী ইমরান হোসেন। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে কমিশনার বরাবর লিখিত দেয় আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগ। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘আমরা স্যারের (মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শেখ সাদী) ১০ নম্বর আদালতের পাশাপাশি মোটরযান সম্পর্কিত মামলা পরিচালনার দায়িত্বে থাকি। ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে আদালতের মোটরযান শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ এসআই ফুয়াদ উদ্দিন নন এফআইআর দুটি মামলা বিচারকের কাছে উপস্থাপন করেন।’ ‘পরে মামলা দুটির আসামি না থাকায় বিচারক কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেননি। পরে বিচারক জানতে পারেন যে, মামলা দুটির জব্দ করা আলামত এসআই ফুয়াদ ও মোটরযান শাখার জিআরও আবু মুসা অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে পরোয়ানা ফেরত কাগজে ম্যাজিস্ট্রেট স্যারের সইয়ের জায়গায় নিজেরাই সই দিয়ে আসামিদের দেন।’ এজাহারে আরও বলা হয়, মামলার নথিতে বিচারকের কোনো সই নেই এবং কোনো জরিমানা করেননি। এরইমধ্যে বিচারক জানতে পারেন যে, ফুয়াদ উদ্দিন ও মো. আবু মুসা দীর্ঘদিন ধরে বিচারকের সই জাল করে একই ধরনের অপরাধ করে আসছেন।