বিপদাপন্ন উদ্ভিদের তালিকা করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী

- আপডেট সময়ঃ ০৮:৪২:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩
- / ১১৭ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বর্তমান সরকার দেশের বিভিন্ন উদ্ভিদ প্রজাতির সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো এক হাজার উদ্ভিদের তালিকা প্রস্তুত করেছে। এরমধ্যে ৩৯৪ প্রজাতি সংকটাপন্ন। গবেষণালব্ধ এ ফলাফল দেশের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটি আমাদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং বিপন্ন উদ্ভিদ প্রজাতির সুরক্ষায় জাতীয় নীতি প্রণয়নে ভূমিকা রাখবে। এটি জীববৈচিত্র্য সংক্রান্ত কনভেনশন এবং সিআইটিইএস রিপোর্টিংয়ে সহায়তা করবে। গতকাল রোববার বন অধিদপ্তরে আয়োজিত ‘ফাইনাল ডিসেমিনেশন ওয়ার্কশপ অন ন্যাশনাল রেড লিস্ট অব প্লান্টস’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পরিবেশমন্ত্রী বলেন, লাল তালিকা মূল্যায়নের ফলাফল অনুযায়ী এক জাহার উদ্ভিদ প্রজাতির মধ্যে আটটি প্রাথমিকভাবে বিলুপ্ত, পাঁচটি মহাবিপন্ন, ১২৭টি বিপদাপন্ন, ২৬২টি সংকটাপন্ন, ৬৯টি প্রায় সংকটাপন্ন, ২৭১টি নূন্যতম উদ্বেগজনক এবং ২৫৮টি উদ্ভিদ প্রজাতিকে তথ্যের ঘাটতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মন্ত্রী দেশের বিলুপ্তির উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা মহাবিপন্ন বাশঁপাতা, ট্রায়াস অর্কিড, চালমুগড়া, বামন খেজুর উদ্ভিদ প্রজাতিগুলো সংরক্ষণে জরুরি পদক্ষেপ নিতে বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং অন্যান্য বিপন্ন উদ্ভিদের অস্তিত্ব রক্ষায়ও অগ্রাধিকারভিত্তিতে সংরক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। দেশের বিপন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ সংরক্ষণের লক্ষ্যে ফলাফলে প্রাপ্ত সংকটাপন্ন উদ্ভিদগুলোকে বনায়ন কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে বন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন পরিবেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ ধরনের প্রজাতির পূর্ণ তথ্য জানার জন্য দেশের অবশিষ্ট প্রায় তিনশ’ উদ্ভিদ প্রজাতির রেড লিস্ট এসেসমেন্ট সম্পন্ন করতে হবে। এই তালিকা হালনাগাদ করতে হবে নির্দিষ্ট সময় পরপর। সংকটাপন্ন উদ্ভিদ প্রজাতির সুরক্ষার জন্য বিদ্যমান আইন ও প্রবিধান মালার যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। সবাই যার যার অবস্থান থেকে সাধ্যমতো কাজ করলে পরিবেশ ও প্রতিবেশগত উন্নয়নে বাংলাদেশ পৃথিবীতে রোল মডেল হিসেবে স্থান করে নেবে। কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়ামের পরিচালক সঞ্জয় কুমার ভৌমিক প্রমুখ। বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সুফল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায়, আইইউসিএন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রাকিবুল আমীন প্রমুখ। চূড়ান্ত ফলাফলসহ মূল প্রবন্ধ যৌথভাবে উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মো. ওলিউর রহমান এবং অধ্যাপক ড. সালেহ আহমদ খান।