ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

ভবিষ্যতে বিমান প্রশিক্ষণের স্থান নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে: নৌ-উপদেষ্টা

দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৯:৪০:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
  • / ৩০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ভবিষ্যতে বিমান প্রশিক্ষণ কোথায় হবে, তা নতুন করে ভাবতে হবে। উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনার পর এ প্রশ্ন আরও জোরালো হয়েছে। বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান পরিচালনার বিষয়টি নিয়ে আরও বিবেচনা করা জরুরি। আজ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আহতদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। নৌ উপদেষ্টা বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে প্রশিক্ষণের বিষয়ে সংস্থা এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে আরও যাচাই-বাছাই করতে হবে। তিনি মনে করেন, ‘বিমান নানা কারণে বিধ্বস্ত হতে পারে। এর মধ্যে প্রধান কারণ পাইলট এরর এবং টেকনিক্যাল সমস্যা। যদিও বিমানগুলো পুরোনো। এগুলো ট্রেনিং জেট। আমার জানামতে, এগুলো পুরোনো হলেও ভেতরের যে অ্যাম্বিয়েন্ট ও কম্পোনেন্ট আপডেট করা হয়। এখন এটার ব্ল্যাকবক্স অ্যানালাইসিস না করা পর্যন্ত বোঝা যাবে না, এটা কী টেকনিক্যাল এরর নাকি পাইলট এরর। পাইলট এররের কারণেও বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। বিমান যিনি উড়াচ্ছিলেন তিনি মারা গেছেন, এটা খুবই মর্মান্তিক। হতাহতদের বিষয়ে তিনি বলেন, বার্ন ইনস্টিটিউটে ইতোমধ্যে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অনেকের শরীরে ক্ষতের পরিমাণ অনেক বেশি। তাদের নিয়ে চিকিৎসকরা চিন্তা করছেন। কিছু কিছু রোগী আছেন, যাদের দীর্ঘ সময় চিকিৎসা লাগবে। সিঙ্গাপুর থেকে টিম আসছে, তাদের দেখে যদি দরকার হয়, সিঙ্গাপুর নিয়ে যাবে। এম সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আহতদের চিকিৎসায় যা প্রয়োজন তার সবই করা হবে। যতজনকে বাইরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব, চিকিৎসকের পরামর্শে তাদের বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে। আমাদের তরফ থেকে যা করার প্রয়োজন তা করছি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ভবিষ্যতে বিমান প্রশিক্ষণের স্থান নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে: নৌ-উপদেষ্টা

আপডেট সময়ঃ ০৯:৪০:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :
নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ভবিষ্যতে বিমান প্রশিক্ষণ কোথায় হবে, তা নতুন করে ভাবতে হবে। উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনার পর এ প্রশ্ন আরও জোরালো হয়েছে। বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান পরিচালনার বিষয়টি নিয়ে আরও বিবেচনা করা জরুরি। আজ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আহতদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। নৌ উপদেষ্টা বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে প্রশিক্ষণের বিষয়ে সংস্থা এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে আরও যাচাই-বাছাই করতে হবে। তিনি মনে করেন, ‘বিমান নানা কারণে বিধ্বস্ত হতে পারে। এর মধ্যে প্রধান কারণ পাইলট এরর এবং টেকনিক্যাল সমস্যা। যদিও বিমানগুলো পুরোনো। এগুলো ট্রেনিং জেট। আমার জানামতে, এগুলো পুরোনো হলেও ভেতরের যে অ্যাম্বিয়েন্ট ও কম্পোনেন্ট আপডেট করা হয়। এখন এটার ব্ল্যাকবক্স অ্যানালাইসিস না করা পর্যন্ত বোঝা যাবে না, এটা কী টেকনিক্যাল এরর নাকি পাইলট এরর। পাইলট এররের কারণেও বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। বিমান যিনি উড়াচ্ছিলেন তিনি মারা গেছেন, এটা খুবই মর্মান্তিক। হতাহতদের বিষয়ে তিনি বলেন, বার্ন ইনস্টিটিউটে ইতোমধ্যে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অনেকের শরীরে ক্ষতের পরিমাণ অনেক বেশি। তাদের নিয়ে চিকিৎসকরা চিন্তা করছেন। কিছু কিছু রোগী আছেন, যাদের দীর্ঘ সময় চিকিৎসা লাগবে। সিঙ্গাপুর থেকে টিম আসছে, তাদের দেখে যদি দরকার হয়, সিঙ্গাপুর নিয়ে যাবে। এম সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আহতদের চিকিৎসায় যা প্রয়োজন তার সবই করা হবে। যতজনকে বাইরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব, চিকিৎসকের পরামর্শে তাদের বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে। আমাদের তরফ থেকে যা করার প্রয়োজন তা করছি।