ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ | ই-পেপার

মরক্কোয় ‘জেন জি’ বিক্ষোভে সহিংসতা, ২৪০০ জনকে অভিযুক্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ০৪:৩৮:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৯ বার পড়া হয়েছে

মরক্কো সরকার সাম্প্রতিক ‘জেন জি’ বিক্ষোভের ঘটনায় ২ হাজার ৪৮০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। দেশটির ইতিহাসে এটি অন্যতম বড় রাজনৈতিক অস্থিরতার ঘটনা।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্তদের মধ্যে ১ হাজার ৪৭৩ জন বর্তমানে হেফাজতে আছেন এবং বিচার শুরুর অপেক্ষায় রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগে বিদ্রোহে অংশগ্রহণ, সরকারি কর্মকর্তার ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি ও অপরাধে প্ররোচনা দেওয়া উল্লেখ রয়েছে।

বিক্ষোভের সূত্রপাত হয় ‘জেনজি ২১২’ নামের এক তরুণদের সংগঠনের মাধ্যমে। তারা দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থান খাতের অবহেলা ও প্রশাসনের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় সম্পর্কে প্রতিবাদ জানিয়ে দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু করে। সংগঠনটি অভিযোগ করে যে, সরকার খেলাধুলার অবকাঠামো নির্মাণে বিপুল অর্থ ব্যয় করলেও মৌলিক খাতগুলো উপেক্ষা করছে।

যদিও সংগঠকরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছিলেন, কিছু শহরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এতে তিনজন নিহত হয়েছেন, অনেকে আহত হয়েছেন এবং দোকানপাট ও যানবাহনে ক্ষতি হয়েছে।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো সরকারের কঠোর অবস্থানের সমালোচনা করেছে। মরক্কান অ্যাসোসিয়েশন ফর হিউম্যান রাইটস গ্রেফতারগুলোকে এলোমেলো ও অন্যায্য বলে উল্লেখ করেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সহযোগী পরিচালক হানান সালাহ বলেন, তরুণদের ন্যায্য ভবিষ্যতের সুযোগ চাওয়ার জবাব গুলি ও দমননীতিতে দেওয়া যায় না।

গ্রেফতারদের মধ্যে রয়েছেন জনপ্রিয় র‍্যাপার হামজা রায়েদ, যিনি গত মাসে কাসাব্লাঙ্কা থেকে আটক হন। তার গান প্রায়ই রাজনীতি ও তরুণদের ক্ষোভের প্রকাশ করে।

এদিকে, সোমবার রাজধানীতে তিনজন অভিযুক্ত আদালতে হাজির হন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ—সরকারি সংস্থাকে অপমান করা ও অপরাধে প্ররোচনা দেওয়া। অভিযোগ রয়েছে, তারা জাতীয় ফুটবল দলের জার্সিতে প্রতিবাদী স্লোগান মুদ্রণ করেছিলেন। দোষী প্রমাণিত হলে তাদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মরক্কোয় ‘জেন জি’ বিক্ষোভে সহিংসতা, ২৪০০ জনকে অভিযুক্ত

আপডেট সময়ঃ ০৪:৩৮:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

মরক্কো সরকার সাম্প্রতিক ‘জেন জি’ বিক্ষোভের ঘটনায় ২ হাজার ৪৮০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। দেশটির ইতিহাসে এটি অন্যতম বড় রাজনৈতিক অস্থিরতার ঘটনা।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্তদের মধ্যে ১ হাজার ৪৭৩ জন বর্তমানে হেফাজতে আছেন এবং বিচার শুরুর অপেক্ষায় রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগে বিদ্রোহে অংশগ্রহণ, সরকারি কর্মকর্তার ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি ও অপরাধে প্ররোচনা দেওয়া উল্লেখ রয়েছে।

বিক্ষোভের সূত্রপাত হয় ‘জেনজি ২১২’ নামের এক তরুণদের সংগঠনের মাধ্যমে। তারা দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থান খাতের অবহেলা ও প্রশাসনের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় সম্পর্কে প্রতিবাদ জানিয়ে দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু করে। সংগঠনটি অভিযোগ করে যে, সরকার খেলাধুলার অবকাঠামো নির্মাণে বিপুল অর্থ ব্যয় করলেও মৌলিক খাতগুলো উপেক্ষা করছে।

যদিও সংগঠকরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছিলেন, কিছু শহরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এতে তিনজন নিহত হয়েছেন, অনেকে আহত হয়েছেন এবং দোকানপাট ও যানবাহনে ক্ষতি হয়েছে।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো সরকারের কঠোর অবস্থানের সমালোচনা করেছে। মরক্কান অ্যাসোসিয়েশন ফর হিউম্যান রাইটস গ্রেফতারগুলোকে এলোমেলো ও অন্যায্য বলে উল্লেখ করেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সহযোগী পরিচালক হানান সালাহ বলেন, তরুণদের ন্যায্য ভবিষ্যতের সুযোগ চাওয়ার জবাব গুলি ও দমননীতিতে দেওয়া যায় না।

গ্রেফতারদের মধ্যে রয়েছেন জনপ্রিয় র‍্যাপার হামজা রায়েদ, যিনি গত মাসে কাসাব্লাঙ্কা থেকে আটক হন। তার গান প্রায়ই রাজনীতি ও তরুণদের ক্ষোভের প্রকাশ করে।

এদিকে, সোমবার রাজধানীতে তিনজন অভিযুক্ত আদালতে হাজির হন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ—সরকারি সংস্থাকে অপমান করা ও অপরাধে প্ররোচনা দেওয়া। অভিযোগ রয়েছে, তারা জাতীয় ফুটবল দলের জার্সিতে প্রতিবাদী স্লোগান মুদ্রণ করেছিলেন। দোষী প্রমাণিত হলে তাদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।