ঢাকা, শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

মহানবী (সা.) ইসলাম কায়েমের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন: তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময়ঃ ১১:৪৩:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগ দূরীভূত করে ইসলাম কায়েমের মাধ্যমে সত্য, ন্যায়বিচার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। সমাজে অবহেলিত, নির্যাতিত, বঞ্চিত ও দুঃখী মানুষের সেবা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, পরমতসহিষ্ণুতা, দয়া ও ক্ষমা গুন, শিশুদের প্রতি দায়িত্ব এবং নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা:) এর আদর্শ অতুলনীয় এবং তাই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে স্বীকৃত।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্মসচিব রুহুল কবির রিজভীর মাধ্যমে পাঠানো বাণীতে তিনি এই কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, “ঈদে মিলাদুন্নবী, এই দিনটি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর দুনিয়াতে আগমনের আনন্দ ও তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে উদ্‌যাপন করা হয়। যিনি মানবজাতিকে পরিশোধন করেন এবং তাদের সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোরআন ও কাজের কথা শিক্ষা দেন। পৃথিবীতে সৃষ্টির সেরা মানব বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর আগমন দিবস মর্যাদাবান, গুরুত্ববহ এবং আনন্দের। আল্লাহ তাআলা তাঁকে দিয়েছেন মহিমান্বিত মর্যাদা।
মানবজাতি তাঁর আগমনে নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভসহ জগতের সমস্ত অন্যায়-অবিচার, কুসংস্কার, নিপীড়ণ-নির্যাতন এবং বৈষম্যের ঘোর অন্ধকার যুগ থেকে নিষ্কৃতি লাভের সন্ধান পায়। সেজন্যই তিনি হয়েছেন মানবতার মুক্তির দিশারী।

সমাজে অবহেলিত বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা কাজ করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ ন্যায় ও সৎ পথে চলার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত লাভ করে রাসুলের (সা:) দেখানো পথে। নিজ যোগ্যতা, সততা, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, আত্মপ্রত্যয়, অসীম সাহস, ধৈর্য, সৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস, নিষ্ঠা ও অপরিসীম দুঃখ যন্ত্রণা ভোগ করে তিনি তাঁর উপর অবতীর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের বাণী তথা তওহীদ প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালন করেন।

অন্ধকারের যুগ তথা আইয়ামে জাহেলিয়াতের আমলে আইন, বিচার ও প্রশাসনসহ সর্বক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যভিচার-অনাচারের অরাজকতা বিরাজমান ছিল। এই সময় যাঁর আগমন হয়েছিল তিনি হলেন রহমাতুল্লিল আলামীন। তিনি আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগ দূরীভূত করে ইসলাম কায়েমের মাধ্যমে সত্য, ন্যায়বিচার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

সমাজে অবহেলিত, নির্যাতিত, বঞ্চিত ও দুঃখী মানুষের সেবা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, পরমতসহিষ্ণুতা, দয়া ও ক্ষমা গুন, শিশুদের প্রতি দায়িত্ব এবং নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা:) এঁর আদর্শ অতুলনীয় এবং তাই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে স্বীকৃত।

তারেক রহমান বলেন, আমি আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের নিকট প্রার্থনা করি মহানবী (সা:) এঁর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি। আমি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম ভাই-বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আমি শেষ নবী সাইয়েদুল মুরছালিন হযরত মোহাম্মদ (সা:) এর জন্য অসংখ্য দরুদ ও তাঁর প্রতি সালাম জানাই।”

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মহানবী (সা.) ইসলাম কায়েমের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন: তারেক রহমান

আপডেট সময়ঃ ১১:৪৩:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগ দূরীভূত করে ইসলাম কায়েমের মাধ্যমে সত্য, ন্যায়বিচার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। সমাজে অবহেলিত, নির্যাতিত, বঞ্চিত ও দুঃখী মানুষের সেবা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, পরমতসহিষ্ণুতা, দয়া ও ক্ষমা গুন, শিশুদের প্রতি দায়িত্ব এবং নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা:) এর আদর্শ অতুলনীয় এবং তাই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে স্বীকৃত।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্মসচিব রুহুল কবির রিজভীর মাধ্যমে পাঠানো বাণীতে তিনি এই কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, “ঈদে মিলাদুন্নবী, এই দিনটি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর দুনিয়াতে আগমনের আনন্দ ও তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে উদ্‌যাপন করা হয়। যিনি মানবজাতিকে পরিশোধন করেন এবং তাদের সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোরআন ও কাজের কথা শিক্ষা দেন। পৃথিবীতে সৃষ্টির সেরা মানব বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর আগমন দিবস মর্যাদাবান, গুরুত্ববহ এবং আনন্দের। আল্লাহ তাআলা তাঁকে দিয়েছেন মহিমান্বিত মর্যাদা।
মানবজাতি তাঁর আগমনে নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভসহ জগতের সমস্ত অন্যায়-অবিচার, কুসংস্কার, নিপীড়ণ-নির্যাতন এবং বৈষম্যের ঘোর অন্ধকার যুগ থেকে নিষ্কৃতি লাভের সন্ধান পায়। সেজন্যই তিনি হয়েছেন মানবতার মুক্তির দিশারী।

সমাজে অবহেলিত বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা কাজ করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ ন্যায় ও সৎ পথে চলার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত লাভ করে রাসুলের (সা:) দেখানো পথে। নিজ যোগ্যতা, সততা, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, আত্মপ্রত্যয়, অসীম সাহস, ধৈর্য, সৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস, নিষ্ঠা ও অপরিসীম দুঃখ যন্ত্রণা ভোগ করে তিনি তাঁর উপর অবতীর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের বাণী তথা তওহীদ প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালন করেন।

অন্ধকারের যুগ তথা আইয়ামে জাহেলিয়াতের আমলে আইন, বিচার ও প্রশাসনসহ সর্বক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যভিচার-অনাচারের অরাজকতা বিরাজমান ছিল। এই সময় যাঁর আগমন হয়েছিল তিনি হলেন রহমাতুল্লিল আলামীন। তিনি আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগ দূরীভূত করে ইসলাম কায়েমের মাধ্যমে সত্য, ন্যায়বিচার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

সমাজে অবহেলিত, নির্যাতিত, বঞ্চিত ও দুঃখী মানুষের সেবা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, পরমতসহিষ্ণুতা, দয়া ও ক্ষমা গুন, শিশুদের প্রতি দায়িত্ব এবং নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা:) এঁর আদর্শ অতুলনীয় এবং তাই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে স্বীকৃত।

তারেক রহমান বলেন, আমি আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের নিকট প্রার্থনা করি মহানবী (সা:) এঁর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি। আমি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম ভাই-বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আমি শেষ নবী সাইয়েদুল মুরছালিন হযরত মোহাম্মদ (সা:) এর জন্য অসংখ্য দরুদ ও তাঁর প্রতি সালাম জানাই।”