ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ | ই-পেপার

মহেশখালী-মাতারবাড়ীতে নতুন শহরের জন্ম হবে : প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ০৭:৪৮:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১২৭ বার পড়া হয়েছে

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মহেশখালী-মাতারবাড়ীতে শুধু গভীর সমুদ্রবন্দর নয়, গড়ে উঠবে এক নতুন শহর।

আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (মিডা) সঙ্গে বৈঠকে এ ভিশন তুলে ধরেন তিনি।

বৈঠকে মিডার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুণ, সদস্য কমোডর তানজিম ফারুক ও মো. সারোয়ার আলম এবং প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. সাইফুল্লাহ পান্না উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে মিডার চেয়ারম্যান মহেশখালী-মাতারবাড়ী প্রকল্পের ওপর একটি প্রেজেন্টেশনের মধ্য দিয়ে তিনি মিডার আগামী চার মাসের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।

তিনি জানান, প্রকল্পটি তিন ধাপে সম্পন্ন হবে। প্রথম ধাপ ২০২৫ থেকে ২০৩০, দ্বিতীয় ধাপ ২০৩০ থেকে ২০৪৫, এবং তৃতীয় ধাপ ২০৪৫ থেকে ২০৫৫ পর্যন্ত। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে প্রায় ২৫ লাখ লোকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান হবে এবং জিডিপিতে দেড়শ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যুক্ত হবে।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শুধু গভীর সমুদ্র বন্দর নয়, আমাদের একটা ব্লু ইকনোমি গড়ে তোলার ভিশন নিয়ে কাজ করতে হবে। ওই এলাকা শুধু একটা ফ্যাসিলেটিং জোন হিসেবে না, বরং সেখানে একটা নতুন শহরের জন্ম হবে। সেখান থেকে আমাদের আন্তর্জাতিকভাবে কানেক্টিভিটি তৈরি হবে। সমুদ্রই হবে বিশ্বের পথে আমাদের মহাসড়ক।

তিনি গভীর সমুদ্র নিয়ে গবেষণা এবং আন্তর্জাতিক মানের ট্রেইনিং ফ্যাসিলিটি প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, আমরা সমুদ্র জগতে কখনো প্রবেশ করিনি। ওটা নিয়ে চিন্তাও করিনি। এ বিষয়ে গবেষণা, ফাইন্ডিংস নেই। এর সম্পর্কিত কী কী গবেষণা আছে, অন্য দেশের গবেষণাপত্র যেটা আমাদের সঙ্গেও মিলবে ভালো সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে এবং নিজস্ব গবেষণা করতে হবে। এজন্য প্রতিষ্ঠান দরকার। একাডেমিয়া গড়ে তুলতে হবে, ওশান ইকনোমি নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স আয়োজন করতে হবে।

এ ছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণ ও ইকো-ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণের বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেখানকার বনভূমি এখন কী অবস্থায় আছে, ভবিষ্যতে আমরা বনভূমিগুলোকে কী অবস্থায় দেখতে চাই সেই পরিকল্পনাও করতে হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

মহেশখালী-মাতারবাড়ীতে নতুন শহরের জন্ম হবে : প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময়ঃ ০৭:৪৮:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মহেশখালী-মাতারবাড়ীতে শুধু গভীর সমুদ্রবন্দর নয়, গড়ে উঠবে এক নতুন শহর।

আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (মিডা) সঙ্গে বৈঠকে এ ভিশন তুলে ধরেন তিনি।

বৈঠকে মিডার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুণ, সদস্য কমোডর তানজিম ফারুক ও মো. সারোয়ার আলম এবং প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. সাইফুল্লাহ পান্না উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে মিডার চেয়ারম্যান মহেশখালী-মাতারবাড়ী প্রকল্পের ওপর একটি প্রেজেন্টেশনের মধ্য দিয়ে তিনি মিডার আগামী চার মাসের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।

তিনি জানান, প্রকল্পটি তিন ধাপে সম্পন্ন হবে। প্রথম ধাপ ২০২৫ থেকে ২০৩০, দ্বিতীয় ধাপ ২০৩০ থেকে ২০৪৫, এবং তৃতীয় ধাপ ২০৪৫ থেকে ২০৫৫ পর্যন্ত। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে প্রায় ২৫ লাখ লোকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান হবে এবং জিডিপিতে দেড়শ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যুক্ত হবে।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শুধু গভীর সমুদ্র বন্দর নয়, আমাদের একটা ব্লু ইকনোমি গড়ে তোলার ভিশন নিয়ে কাজ করতে হবে। ওই এলাকা শুধু একটা ফ্যাসিলেটিং জোন হিসেবে না, বরং সেখানে একটা নতুন শহরের জন্ম হবে। সেখান থেকে আমাদের আন্তর্জাতিকভাবে কানেক্টিভিটি তৈরি হবে। সমুদ্রই হবে বিশ্বের পথে আমাদের মহাসড়ক।

তিনি গভীর সমুদ্র নিয়ে গবেষণা এবং আন্তর্জাতিক মানের ট্রেইনিং ফ্যাসিলিটি প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, আমরা সমুদ্র জগতে কখনো প্রবেশ করিনি। ওটা নিয়ে চিন্তাও করিনি। এ বিষয়ে গবেষণা, ফাইন্ডিংস নেই। এর সম্পর্কিত কী কী গবেষণা আছে, অন্য দেশের গবেষণাপত্র যেটা আমাদের সঙ্গেও মিলবে ভালো সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে এবং নিজস্ব গবেষণা করতে হবে। এজন্য প্রতিষ্ঠান দরকার। একাডেমিয়া গড়ে তুলতে হবে, ওশান ইকনোমি নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স আয়োজন করতে হবে।

এ ছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণ ও ইকো-ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণের বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেখানকার বনভূমি এখন কী অবস্থায় আছে, ভবিষ্যতে আমরা বনভূমিগুলোকে কী অবস্থায় দেখতে চাই সেই পরিকল্পনাও করতে হবে।