মানবতাবিরোধী অপরাধে দ-প্রাপ্ত ত্রিশালের ৪ জনের আপিল

- আপডেট সময়ঃ ০৮:৪৪:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩
- / ১৪৭ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত ময়মনসিংহের ত্রিশালের চার আসামি খালাসের আর্জি জানিয়ে আপিল আবেদন করেছেন। দ-প্রাপ্ত চারজন হলেন- ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির আহমদ, ফখরুজ্জামান, আবদুস সাত্তার ও খন্দকার গোলাম রব্বানী। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আসামিদের পক্ষে এ আপিল দায়ের করা হয়েছে। আজ সোমবার আসামিদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গাজী এম এইচ তামিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় ময়মনসিংহের ত্রিশালের পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন। ২০১৫ সালের ১৯ মে এমপি হান্নানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন। মামলায় জাতীয় পার্টির তৎকালীন সংসদ সদস্য এম এ হান্নান ছাড়াও জামায়াত নেতা ফখরুজ্জামান ও গোলাম রব্বানীকে আসামি করা হয়। পরে তদন্তে আরও পাঁচজনের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় এ মামলার আসামি করা হয় মোট আটজনকে। ২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর এমপি হান্নানসহ আটজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১৯ সালের ২৭ মে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার আসামিরা হচ্ছেন- এম এ হান্নান, এম এ হান্নানের ছেলে রফিক সাজ্জাদ, ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির আহমদ, মিজানুর রহমান মিন্টু, মো. হরমুজ আলী, ফখরুজ্জামান, আবদুস সাত্তার ও খন্দকার গোলাম রব্বানী। এর মধ্যে কারাবন্দি অবস্থায় এম এ হান্নান ও তার ছেলে রফিক সাজ্জাদ এবং অপর এক আসামি মিজানুর রহমান মন্টু মারা গেছেন। বাকি পাঁচ আসামির মধ্যে বর্তমানে কারাগারে আছেন ডা. খন্দকার গোলাম সামানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দ-প্রাপ্ত চারজনের আপিলব্বির আহমদ, হরমুজ আলী, আবদুস সাত্তার, ফখরুজ্জামান ও খন্দকার গোলাম রব্বানী। আনুষ্ঠানিক অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, গুম, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ২১ এপ্রিল থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ত্রিশাল উপজেলায় তারা অপরাধগুলো করেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।