মিন্টুকে গ্রেপ্তার করে চাপে নেই ডিবি: হারুন

- আপডেট সময়ঃ ০৮:০৩:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪
- / ৯০ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকা-ে গ্রেপ্তার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কোনো চাপে নেই বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, মতিঝিলের টিপু হত্যা, কামরাঙ্গীচরের শিল্পপতি হত্যাকা- ও বুয়েটের ফারদিন হত্যাকা-সহ অনেক ক্লুলেস হত্যাকা- ঢাকা শহরে ঘটেছে। ডিবির চৌকস টিম প্রতিটি হত্যাকা-ের মোটিভ বের করেছে। এমপি আনার কলকাতায় হত্যাকা-ের শিকার হন। এই হত্যাকা-ের ক্লু বের করতে ডিবি পুলিশের দল রাত-দিন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের টিম নেপালে গিয়েছে এবং আমাদের তথ্যের ভিত্তিতে নেপালে সিয়াম গ্রেপ্তার হয়েছে। এ ছাড়া কলকাতায় গিয়েও আমরা বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছি আলামত উদ্ধারে। এই হত্যাকা-ের মূল কিলার শিমুল ভুঁইয়াসহ আরও অনেককে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। আদালতে স্বীকারোক্তিতে গ্যাস বাবু বলেছেন, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিন্টু তার কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে কোথাও ছুড়ে ফেলেছে। এই মোবাইলগুলো উদ্ধারে ডিবি পুলিশ কোনো তৎপরতা চালাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আলামত নষ্ট করার তথ্য আমরাও জিজ্ঞাসাবাদে পেয়েছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা আদালতে একটি চিঠি দিয়েছি। যেহেতু গ্যাস বাবুর মোবাইলে ডিজিটাল এভিডেন্স রয়েছে, যদিও দুই পক্ষের কাছে ডিজিটাল এভিডেন্স রয়েছে। এর মধ্যে একপক্ষের ডিজিটাল এভিডেন্স আমরা পেয়েছি। গ্যাস বাবুকে আমরা আরও জিজ্ঞাসাবাদ করবো এবং মোবাইলগুলো কোথায় ফেলে দিয়েছেন সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করবো। সাইদুল করিম মিন্টুর রিমান্ড শেষ হওয়ার আগে তাকে কারাগারে কেন পাঠিয়ে দিয়েছে ডিবি এই প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, এখানে আইনের কোনো ব্যত্যয় হয়নি। তদন্তকারী কর্মকর্তা যখন কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তখন তার সেটিসফেকশনের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা যদি মনে করেন কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার কাছ থেকে আপাতদৃষ্টিতে আর কিছু জানার নেই, তিনি সব কিছু জানতে পেরেছেন, তখন তিনি আদালতের মাধ্যমে আসামিকে জেলহাজতে পাঠাতে পারেন। তবে আবার যদি বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে মনে করেন ওই আসামিকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন তখন তিনি জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ পাবেন। তিনি বলেন, এরমধ্যে চারজন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আমরা যদি চাপ অনুভব করতাম তাহলে আমাদের এত অ্যাচিভমেন্ট হতো না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একাধিকবার বলেছেন, কোনো চাপ নেই এই মামলার তদন্ত কাজে। তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন যেন নিরপেক্ষভাবে মামলার তদন্ত করা হয়। ডিবি নিরপেক্ষভাবে এ মামলার তদন্ত কাজ করছে। মামলায় কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হবে না এবং কাউকে অযথা ডাকাডাকি করা হবে না। সুস্পষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। এমপি আনার হত্যায় মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কোনো অগ্রগতি আছে কিনা জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান বলেন, মামলার তদন্ত কাজ অনেকটা কনক্লুসিভ পর্যায়ে, আমরা অনেককে গ্রেপ্তার করেছি। কিছুকিছু নাম পেয়েছি, তাদেরও গ্রেপ্তারে চেষ্টা করছি। এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড শাহীন যুক্তরাষ্ট্রে আছে। যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের বন্দি বিনিময় চুক্তি আছে সেহেতু ভারতীয় পুলিশকে বলেছি যেন তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরিয়ে আনা হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে আমরা টিম নিয়ে গিয়ে কথা বলেছি। এ ছাড়া পুলিশ সদর দপ্তরের এমসিবি শাখার মাধ্যমে ইন্টারপোলকে চিঠি দিয়েছি। শাহীনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য দুই দেশ কাজ করছে। আরও এক দুই জন আসামি বাকি রয়েছে, তাদের গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা করছি। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করা হবে। এমপি আনারের মেয়ে ডরিন ডিএনএ নমুনা দেওয়ার জন্য কলকাতায় যাওয়ার কথা জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, ভারতীয় পুলিশ দূতাবাসের মাধ্যমে ডরিনকে জানিয়েছে ভারতে যাওয়ার জন্য। ডরিনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ডরিন কয়েকদিন ধরে জ¦রে ভুগছেন। স্বাস্থ্য ভালো হলে মনে হয় শিগগিরই ভারতে যাবেন।