ম্যাচ শেষে হাত মেলায়নি ভারত, ক্ষুব্ধ পাকিস্তান কোচ

- আপডেট সময়ঃ ০১:৫০:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১৬ বার পড়া হয়েছে
বুমরাহর ইয়র্কার সামলানো এরচেয়ে বেশ সহজ, অভিষেক শর্মার ছক্কা গুলোও হজম করে নেওয়া যেতে পারে মন খারাপ কর ! কিন্তু রোববার দুবাইয়ে ম্যাচের পর মুখের সামনে ড্রেসিংরুমের দরজা বন্ধ করে সূর্যকুমাররা যে বার্তাটি দিয়েছেন পাকিস্তানকে তা একেবারেই মানতে পারছে না সালমান আগারা।
ভারতের কাছে ৭ উইকেটের হারের যন্ত্রণার সঙ্গে যোগ হয়েছে তাদের সঙ্গে ‘হ্যান্ড শেক’ না করায়। টসের পর ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার সৌজন্যতার হাত না বাড়িয়ে দুই হাত বুকের ওপর রেখে সড়ে আসেন একটু দূরে। ম্যাচের পরেও পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোন ধরনের হাত না মিলিয়ে ড্রেসিংরুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। সেখানেই নিজেদের মধ্যে পয়ত্রিশ তম জন্মদিনে কেক কাটেন তিনি। ভারতীয়দের এই প্রতিবাদের পাল্টা দিতে এদিন পুরস্কার মঞ্চেও আসেনি পাকিস্তান অধিনায়ক। জিও টিভির সাংবাদিক সোহেল ইমরান জানান পুরস্কার মঞ্চে ভারতীয় উপস্থাপক থাকায় তা বয়কট করা হয়েছে।
রাগে ক্ষোভে কিছুটা অপমানেও ওই রাতেই ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রাফটের বিরুদ্বে লিখিত অভিযোগ জানান পাকিস্তান দলের ম্যানেজার। যেখানে বলা হয় টসের সময় নাকি এই ম্যাচ রেফারিই পাকিস্তান অধিনায়ককে জানিয়েছিলেন হাত মেলানোর দরকার নেই।
গত এপ্রিলে পেহেলগাম হামলার ক্ষতটা যে ভারতের হৃদয় থেকে শুকাইনি, সে কথা এদিন ম্যাচের পর পুরস্কার মঞ্চে এসে বলেছেন সূর্যকুমার। ‘ পেহেলগামে নিহতদের পরিবারের পাশে আমরা আছি, এই জয় আমরা উৎসর্গ করতে চাই আমাদের আর্মড ফোর্সেসকে, যারা আমাদের জীবন সুরক্ষিত রাখেন।’ তার এই মন্তব্যেই পরিস্কার শুধু ম্যাচটিই খেলতে এসেছেন তারা, সৌজ্যতা বা হৃদতা নেই সেখানে। ‘আমাদের সরকার এবং ভারতীয় বোর্ড মিলে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
কিন্তু ক্রিকেটে প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মেলানোতো সৌজন্যতা, এতে কি স্পোর্টিং স্পিরিট নষ্ঠ হয়নি ? উত্তরে সূর্যকুমার। ‘জীবনে কিছু কিছু ব্যাপার থাকে যা কিনা স্পোর্টসম্যানশিপ স্পিরিটের চেয়েও বেশিকিছু।’
ভারত–পাকিস্তানের রাজনৈতিক এই প্রেক্ষাপট জানেন মাইক হ্যাসেন। তবে নিউজিল্যান্ডের মানুষ তিনি, অতশত বুঝতে পারেননি পাকিস্তান কোচ। ‘ ম্যাচের পর আমরা হ্যান্ড শেক করার জন্য তৈরি ছিলাম, কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটাররা ততক্ষণে ড্রেসিংরুমে চলে যায় এবং দরজা বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি অবশ্যই হতাশার।’